রাজশাহীর পবা উপজেলার মদুসুদনপুর-মদনহাটি সড়কের ধারে বিষাক্ত আগাছ ‘পার্থেনিয়াম’ গাছ
দেখতে অনেকটা ধনেগাছের মতো। উচ্চতা দুই থেকে তিন ফুট। পাতা সবুজ, ফুল সাদা। দূর থেকে ঘন ঝোপ মনে হয়। রাজশাহীর পবা ও মোহনপুর উপজেলায় এমন অসংখ্য ঝোপালো গাছ কয়েক বছর ধরে থাকলেও স্থানীয় ব্যক্তিরা এর নাম জানেন না। তবে বিজ্ঞানী ও কৃষিবিদেরা বলেছেন, এগুলো একধরনের বিষাক্ত আগাছা। নাম পার্থেনিয়াম (Parthenium)। বৈজ্ঞানিক নাম Parthenium Hysterophorus L।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ইসরাইল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়া ও ভারতে প্রচুর পার্থেনিয়াম আগাছা রয়েছে। আমাদের দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্তে রাজশাহী, যশোর ও কুষ্টিয়ায় এই আগাছার সন্ধান পাওয়া গেছে। এই আগাছা রাজশাহীর ফসলি জমিতে এখনো ছড়ায়নি। তবে রাস্তার দুই পাশে, আম, লিচুবাগান ও পতিত জমিতে দেখা গেছে।
বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ অ্যাডকিনস ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি যশোর ও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন বলে বাংলাদেশ আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হযরত আলী জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে পার্থেনিয়াম প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালের মে মাসে। ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম এই আগাছার সন্ধান পান। প্রাথমিক জরিপে যশোর সীমান্তে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সীমান্ত এলাকায় এই আগাছা বেশি থাকা প্রসঙ্গে কৃষিবিদেরা বলেন, যানবাহনের চাকায় লেগে থাকা কাদার সঙ্গে পার্থেনিয়ামের বীজ এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়ায়। সোনামসজিদ ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পার্থেনিয়ামের বীজ বাংলাদেশে ঢুকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পবা ও মোহনপুরে আগাছার বিস্তার: ৯ ডিসেম্বর সরেজমিনে পবা উপজেলার মধুসূদনপুর-মদনহাটি সড়কে দেখা যায়, সড়কের দুই ধারে প্রচুর পার্থেনিয়াম আগাছা হয়েছে। সড়কের মাথায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিবিড় বনায়ন প্রকল্পের একটি নামফলক রয়েছে। কিন্তু এ সড়কে কোনো গাছ নেই, রয়েছে পার্থেনিয়ামের নিবিড় ঝোপ।
মদনহাটি গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন (৪০) জানান, দুই বছর ধরে রাস্তার ধারে এই আগাছা তাঁরা দেখছেন। এর নাম তাঁরা জানেন না।
মধুসূদনপুরের একটি পুকুরের পাড়েও প্রচুর পার্থেনিয়াম দেখা গেছে।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ বলেন, জেলার মোহনপুর উপজেলার পত্রপুর ঈদগাহ মাঠজুড়ে এই আগাছা হয়েছিল। গত ঈদুল ফিতরের সময় নামাজ পড়ার জন্য লোকজন এগুলো কেটে মাঠ পরিষ্কার করে।
মধুসূদনপুরে চর্মরোগ ও অ্যালার্জি: পবার মধুসূদনপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক। গ্রামটিতে এই আগাছা বেশি দেখা গেছে। ১৪ ডিসেম্বর গ্রামটির রাস্তার পাশের একটি পাড়ায় ঢুকে বেশ কয়েকটি বাড়ির লোকজনের মাঝে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা গেছে।
তবে আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্থেনিয়ামের কারণে আমাদের দেশে মানুষের কোনো রোগ হয়েছে কি না, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
বিষয়টি সরেজমিনে দেখতে অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক স্টিভ অ্যাডকিনস ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশে এসেছেন। তিনি যশোর ও রাজশাহীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করবেন বলে বাংলাদেশ আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হযরত আলী জানিয়েছেন।
অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে পার্থেনিয়াম প্রথম শনাক্ত হয় ২০০৮ সালের মে মাসে। ময়মনসিংহে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক এস এম রেজাউল করিম এই আগাছার সন্ধান পান। প্রাথমিক জরিপে যশোর সীমান্তে এর অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
সীমান্ত এলাকায় এই আগাছা বেশি থাকা প্রসঙ্গে কৃষিবিদেরা বলেন, যানবাহনের চাকায় লেগে থাকা কাদার সঙ্গে পার্থেনিয়ামের বীজ এক দেশ থেকে অন্য দেশে ছড়ায়। সোনামসজিদ ও বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পার্থেনিয়ামের বীজ বাংলাদেশে ঢুকে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পবা ও মোহনপুরে আগাছার বিস্তার: ৯ ডিসেম্বর সরেজমিনে পবা উপজেলার মধুসূদনপুর-মদনহাটি সড়কে দেখা যায়, সড়কের দুই ধারে প্রচুর পার্থেনিয়াম আগাছা হয়েছে। সড়কের মাথায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নিবিড় বনায়ন প্রকল্পের একটি নামফলক রয়েছে। কিন্তু এ সড়কে কোনো গাছ নেই, রয়েছে পার্থেনিয়ামের নিবিড় ঝোপ।
মদনহাটি গ্রামের কৃষক জসিম উদ্দিন (৪০) জানান, দুই বছর ধরে রাস্তার ধারে এই আগাছা তাঁরা দেখছেন। এর নাম তাঁরা জানেন না।
মধুসূদনপুরের একটি পুকুরের পাড়েও প্রচুর পার্থেনিয়াম দেখা গেছে।
রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম শাহ বলেন, জেলার মোহনপুর উপজেলার পত্রপুর ঈদগাহ মাঠজুড়ে এই আগাছা হয়েছিল। গত ঈদুল ফিতরের সময় নামাজ পড়ার জন্য লোকজন এগুলো কেটে মাঠ পরিষ্কার করে।
মধুসূদনপুরে চর্মরোগ ও অ্যালার্জি: পবার মধুসূদনপুর গ্রামের ভেতর দিয়ে চলে গেছে রাজশাহী-নওগাঁ মহাসড়ক। গ্রামটিতে এই আগাছা বেশি দেখা গেছে। ১৪ ডিসেম্বর গ্রামটির রাস্তার পাশের একটি পাড়ায় ঢুকে বেশ কয়েকটি বাড়ির লোকজনের মাঝে চর্মরোগ, শ্বাসকষ্ট ও অ্যালার্জির সমস্যা দেখা গেছে।
তবে আগাছা বিজ্ঞান সমিতির সভাপতি হযরত আলী প্রথম আলোকে বলেন, ‘পার্থেনিয়ামের কারণে আমাদের দেশে মানুষের কোনো রোগ হয়েছে কি না, সে তথ্য আমাদের কাছে নেই।’
সূত্র: প্রথম আলো.কম
No comments:
Post a Comment