প্রিয় নেতা মারা গেছেন। পিয়ংইয়ংয়ের রাস্তায় রাস্তায় তাই কান্নার রোল। দুঃসংবাদটা যে যেখানে শুনছেন, তখনই কেঁদে উঠছেন। দোকানে পণ্য বিক্রি করতে করতে কাঁদছেন বিক্রেতা। পথচারী, বাসের যাত্রী, ট্রেনের যাত্রী কেউ বাদ নেই।
দুঃসংবাদ কানে যাওয়া মাত্র ডুকরে কেঁদে উঠছেন তাঁরা। টেলিভিশনে খবরটি পড়ার সময়ও আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিলেন না সংবাদ উপস্থাপিকা—কেঁদে কেঁদে উত্তর কোরীয়দের খবরটি জানালেন তিনি। একপর্যায়ে তাঁর কণ্ঠ রোধ হয়ে আসে। তবু তাঁকে শোনাতে হয় দুঃসংবাদটি। প্রিয় নেতার মৃত্যুতে এমনই আবেগাপ্লুত হয়ে উঠেছে কোরিয়ার জনগণ।আজ সোমবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এই দুঃসংবাদ জানানো হয়। ঘোষণায় বলা হয়, ১৭ ডিসেম্বরের ট্রেন সফরের সময় হঠাত্ হূদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান কিম জং ইল। উত্তর কোরিয়ার টেলিভিশনে এক সংবাদ উপস্থাপিকা বলেন, ‘আমি গভীর ভারাক্রান্ত হূদয়ে ঘোষণা করছি, কিম জং ইল আর নেই।’
চীনের অধিবাসীরাও কিম জং ইলের মৃত্যুসংবাদ পেয়ে স্তম্ভিত। বেইজিংয়ের অধিবাসী নিং জিয়া অং বলেন, ‘কিমের মৃত্যুতে আমি শোকাহত।’ এদিকে দক্ষিণ কোরীয়রাও কিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে।
জাপানের চিফ কেবিনেট সেক্রেটারি ওসামু ফুজিমুরা বলেছেন, তিনি আশা করেন, কিমের মৃত্যুতে উত্তর কোরিয়ার শান্তি ও স্থিতিশীলতায় কোনো ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে না।
উত্তর কোরিয়ার সংবাদপত্রগুলোতে কিমের মৃত্যুর খবর প্রধান শিরোনাম হয়েছে। সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ পাতা বের করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার পার্শ্ববর্তী দেশ চীনের দূতাবাসেও পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়েছে।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ১৯/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment