যেসব পুরুষ জেন্ডার বা নারী-পুরুষের সমতা বিষয়ে নেতিবাচক মনোভাব পোষণ করে, তাদের মধ্যে নারী যৌনসঙ্গীকে শারীরিক ও যৌন নির্যাতন করার আশঙ্কা অন্যদের তুলনায় বেশি।
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওই গবেষণার তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে জেন্ডার ও নারী নির্যাতন বিষয়ে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিবিষয়ক এ গবেষণায় সহায়তা করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। আইসিডিডিআরবি ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অপরাধীকে রক্ষা করার একটা মানসিকতা সমাজে আছে। তবে যৌন হয়রানি বন্ধে ও অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি দিতে সরকার চেষ্টা করছে।
আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এম এ সালাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি আর্থার আরকেন বলেন, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে জেন্ডার সমতাবিষয়ক ধারণায়ও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করার সময় রুচিরা তাবাস্সুম বলেন, দেশের ৬০ শতাংশের বেশি পুরুষ মনে করে, কিছু ক্ষেত্রে নারীর মার খাওয়া দরকার। নগরের অর্ধেক ও গ্রামীণ পুরুষদের বেশির ভাগই (৬৫%) বিশ্বাস করে, পরিবার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নারীর নির্যাতন সহ্য করা উচিত। বেশির ভাগ পুরুষ বিশ্বাস করে, নারীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, পরিবারের জন্য রান্নাবান্না ও সংসার দেখাশোনা করা।
গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রাম ও শহরে প্রায় ৫২ শতাংশ পুরুষ তাদের নারী যৌনসঙ্গীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে। উভয় এলাকাতেই শৈশবে মানসিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা আছে, এমন পুরুষের মধ্যে যৌনসঙ্গীকে নির্যাতন করার প্রবণতা দ্বিগুণ।
দেশের একটি নগরের ৫৫টি মহল্লা ও ১৪৪টি গ্রামের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ গবেষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
সূত্র : প্রথমআলো.কম, ২১/১২/২০১১
আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশের (আইসিডিডিআরবি) এক গবেষণায় এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ওই গবেষণার তথ্য আনুষ্ঠানিকভাবে তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে জেন্ডার ও নারী নির্যাতন বিষয়ে পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গিবিষয়ক এ গবেষণায় সহায়তা করেছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)। আইসিডিডিআরবি ও ইউএনএফপিএ যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, অপরাধীকে রক্ষা করার একটা মানসিকতা সমাজে আছে। তবে যৌন হয়রানি বন্ধে ও অপরাধীকে যথাযথ শাস্তি দিতে সরকার চেষ্টা করছে।
আইসিডিডিআরবির ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক এম এ সালাম অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের প্রতিনিধি আর্থার আরকেন বলেন, আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হলে জেন্ডার সমতাবিষয়ক ধারণায়ও ইতিবাচক পরিবর্তন আসে।
গবেষণার তথ্য উপস্থাপন করার সময় রুচিরা তাবাস্সুম বলেন, দেশের ৬০ শতাংশের বেশি পুরুষ মনে করে, কিছু ক্ষেত্রে নারীর মার খাওয়া দরকার। নগরের অর্ধেক ও গ্রামীণ পুরুষদের বেশির ভাগই (৬৫%) বিশ্বাস করে, পরিবার টিকিয়ে রাখার স্বার্থে নারীর নির্যাতন সহ্য করা উচিত। বেশির ভাগ পুরুষ বিশ্বাস করে, নারীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, পরিবারের জন্য রান্নাবান্না ও সংসার দেখাশোনা করা।
গবেষণায় দেখা গেছে, গ্রাম ও শহরে প্রায় ৫২ শতাংশ পুরুষ তাদের নারী যৌনসঙ্গীকে শারীরিকভাবে আঘাত করেছে। উভয় এলাকাতেই শৈশবে মানসিক নির্যাতনের অভিজ্ঞতা আছে, এমন পুরুষের মধ্যে যৌনসঙ্গীকে নির্যাতন করার প্রবণতা দ্বিগুণ।
দেশের একটি নগরের ৫৫টি মহল্লা ও ১৪৪টি গ্রামের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এ গবেষণা করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি
সূত্র : প্রথমআলো.কম, ২১/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment