হাত-পা নেই তবুও অবিশ্বাস্য মনোবল তার। সাঁতরে পাঁচটি মহাদেশ পাড়ি দেয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে এ অসম্ভব অভিযানের প্রথমপর্ব সফলভাবে শেষও করে ফেলেছেন। অদম্য মনোবলের এ মানুষটি হলেন ফিলিপ্পে ক্রিজন। ১৯৯৪ সালে টিভির এন্টেনা লাগাতে গিয়ে ২০ হাজার ভোল্টের বৈদ্যুতিক শক খেয়ে
হাত-পা হারান তিনি। তখন তার বয়স ১৮ বছর। দুর্ঘটনার পর হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে একদিন এক ইংরেজ নারীর সাঁতরে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেয়ার প্রামাণ্যচিত্র দেখেন ক্রিজন। এটিই তাকে অমন একটা দুঃসাহসিক কাজের অনুপ্রেরণা দেয়। সমপ্রতি শরীরে কৃত্রিম অঙ্গ লাগিয়ে পাপুয়া নিউগিনি থেকে ইন্দোনেশিয়া পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সমুদ্রপথ পাড়ি দিয়েছেন এ ফরাসি নাগরিক। এতে সময় নিয়েছেন সাড়ে সাত ঘণ্টা। এ কাজে তাকে সঙ্গ দিয়েছেন আরনুদ চেসারি নামে এক সাঁতারু। সাঁতারের অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে ক্রিজন বলেন, ‘এটা ছিল খুব কষ্টসাধ্য কাজ। পাড়ি দিতে ধারণার চেয়ে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি লেগেছিল। কারণ, স্রোত আমাদের প্রতিকূলে ছিল।’ এখন তিনি ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় প্রবেশের অনুমতির অপেক্ষায় আছেন বলে জানান। হাত পা ছাড়া তিনিই প্রথম ব্যক্তি যিনি ২০১০ সালে ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের মধ্যবর্তী ৩৪ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেল পাড়ি দেন। সূত্র: বাংলা নিউজ
সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম
No comments:
Post a Comment