Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Tuesday, April 26, 2011

শরীরচর্চার অসাধারণ প্রভাব



আমার স্বাস্থ্য ডেস্ক
সাধারণত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করা হয় দেহকে সুগঠিত করার জন্য বা হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও ক্যান্সারের মতো রোগগুলোকে প্রতিহত করা বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য। কিন্তু কখনও কি বুদ্ধিবৃত্তিক
বা মানসিক উন্নতির জন্য ব্যায়াম করার কথা ভেবে দেখেছেন? হার্ভার্ড মেডিকেল স্কুলের সাইক্রিয়াটিস্ট জন রেটির ভাষায়, ‘মনকে উত্ফুল্ল রাখা, স্মৃতিশক্তি ও
আত্মস্থ করার শক্তি আরও বৃদ্ধি
করতে মস্তিষ্ককে সাহায্য করার জন্য ব্যায়ামই সবচেয়ে ভালো কর্মপন্থা
হতে পারে।’

শরীরচর্চার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি প্রভাব

মস্তিষ্কের ওপর বয়স এবং মানসিক ও শারীরিক চাপের প্রভাব কমানো
ব্যায়াম বা শরীরচর্চা আপনার মস্তিষ্কের ওপর বয়স এবং শারীরিক-মানসিক চাপের প্রভাব কমাতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব মহিলা দিনে ৪৫ মিনিট করে তিন দিনব্যাপী ব্যায়াম করেছে তাদের মস্তিষ্কের কোষের ওপর বয়সের প্রভাব ব্যায়াম না করা মহিলাদের তুলনায় অনেক কম পড়েছে। তাছাড়া মস্তিষ্কের যেসব অংশ আমাদের দুশ্চিন্তা লাঘব করার কাজে নিয়োজিত, সেসব অংশে ব্যায়াম করার ফলে নিয়মিত রক্ত সরবরাহ ঘটে যা আমাদের মানসিক প্রশান্তি আনয়নে সাহায্য করে। তাছাড়াও দেখা গেছে, ট্রেডমিল বা ক্রসট্রেনারের ওপর ৩০ মিনিট লাফানো-ঝাঁপানো মানসিক প্রশান্তির জন্য দায়ী মস্তিষ্কের বিভিন্ন তরল পদার্থ যেমন সেরোটোনিন, ডোপামিন, নোরেপাইনফ্রাইনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় যা মুহূর্তের মধ্যে সব দুশ্চিন্তা দূর করে দেয়।

হতাশা দূর করা
শরীরচর্চা হতাশা দূর করতেও সাহায্য করে। গবেষকদের মতে, দিনে ৩৫০ ক্যালরি করে সপ্তাহে তিন দিন ব্যায়ামের পেছনে নিয়মিত শক্তি খরচ এন্টি-ডিপ্রেসেন্টের কাজ করতে পারে। এটি সম্ভবত এই কারণে যে, হতাশার ফলে মস্তিষ্কের যেসব অঞ্চলের নিউরন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেসব অঞ্চলে নিউরনের পুনরুত্পাদন প্রক্রিয়াকে ব্যায়াম উত্তেজিত করে আরও বাড়িয়ে তোলে। তাছাড়া এনিমেল স্টাডি থেকে দেখা গেছে, মস্তিষ্কের অণুর উত্পাদন যা কিনা স্নায়ুকোষগুলোর মধ্যে সংযোগ আরও বৃদ্ধি করে, প্রাকৃতিক এন্টি-ডিপ্রেসেন্ট হিসেবে কাজ করে।
৩. শেখার দক্ষতা বৃদ্ধি
ব্যায়াম মস্তিষ্কের গ্রোথ ফ্যাক্টরের কর্মতত্পরতা বাড়িয়ে দেয়, যার ফলে মস্তিষ্কে নতুন নতুন কোষ উত্পাদন বৃদ্ধি পায় যার ফলে মস্তিষ্কের কোষগুলোর মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি পায় এবং নতুন কোনো কিছু আয়ত্তে আনার দক্ষতা বৃদ্ধি পায়। সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, যেসব কাজে মাথা একটু বেশ খাটাতে হয় যেমন—টেনিস খেলা কিংবা নাচের ক্লাসে অংশ নেয়া এসব কাজ করতে মূলত বিভিন্ন কাজের মধ্যে সমন্বয় করতে হয়, যার ফলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ পড়ে। আর রেটির ভাষায়, মাংসপেশির মতো মস্তিষ্ককে বিকশিত করতেও মস্তিষ্কের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে হয়। তাছাড়াও এই ধরনের জটিল কাজগুলো আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। একদল জার্মান গবেষক হাই স্কুল ছাত্রদের ওপর গবেষণা চালিয়ে দেখেছেন, ১০ মিনিট নিত্যদিনকার কাজের বদলে জটিল ফিটনেসমূলক কাজে সময় দেয়ার ফলে তারা গভীর মনোনিবেশকারী কাজগুলোতে অপেক্ষাকৃত ভালো কৃতিত্ব দেখাতে পেরেছে।

আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি
গবেষণায় দেখা গেছে, ব্যায়ামের ফলে শুধু দেহগড়ন শক্তিশালী করার মাধ্যমেই নয়, ফিটনেসের অন্যান্য দিকের ক্রমউন্নতি সাধন যেমন—আগের চেয়ে বেশি সময় ধরে দৌড়াতে পারা কিংবা বেশি ওজনের ভারোত্তোলন করতে পারা আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধির ভালো কারণ হতে পারে।

আনন্দদায়ক অনুভূতি প্রদান
রেটির মতে, ৩০-৪০ মিনিট সম্ভাব্য দ্রুত বেগে দৌড়ানো, সাইকেল চালানো কিংবা সাঁতার কাটার পর পাঁচ মিনিটের জন্য স্বাভাবিক গতি এনে এরপর আবার দ্রুতগতিতে চলা—এভাবে চারবার পুনরাবৃত্তি করার ফলে দিনের বাকি সময় বেশ খোশমেজাজে যায়, যাকে কিনা বিজ্ঞানের ভাষায় রানার’স হাই বলে।

সূত্র: amar desh

No comments:

Post a Comment