Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Sunday, April 24, 2011

মাথার চুল পড়ে যাওয়া-০২




দিন দিন আপনার মাথা থেকে চুল কমে যাচ্ছে। কিছু বুঝতে পারছেন না কি করবেন। চুলের পাতলা ভাবের কারণে মানসিক অস্বস্তিও কম না। 
 চুল পড়ে যাওয়া এক অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা। দিন দিন মাথার চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে অর্থাৎ ঝরে যাচ্ছে বা টাক পড়ে যাচ্ছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা অনেক। চুল ঝরে যাওয়া বা টাক পড়া দুভাবে হয়ে থাকেঃ

এক. পুরো মাথার চুল পড়ে যাওয়া। ক্ষেত্রে মাথার তালু বা চামড়া অতি সহজেই দেখা যায়।

দুই.মাথার কিছু কিছু অংশে গোল গোল আকারে চুল পড়ে যাওয়া।



সার্বিকভাবে পুরো মাথার চুল যেসব কারণে ঝরতে পারে
চুলে টান লাগাঃ প্রচলিত একটি ধারণা আছে, রাতে শোয়ার আগে টান টান করে বেণী বেঁধে ঘুমালে চুল তাড়াতাড়ি লম্বা হয়। এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। চুল কতটুকু লম্বা হবে তা নির্ভর করে জেনেটিক, হরমোন পুষ্টির ওপর। বরং উল্টো ক্ষতিই হয়ে থাকে। যে চুলগুলো আরো কিছু দিন মাথায় থেকে তারপর ঝরে যাওয়ার কথা, তা আগেই ঝরে যায় অতিরিক্ত টান লাগার কারণে।

প্রসব পরবর্তীঃ সন্তান প্রসবের দুই থেকে পাঁচ মাস পর হঠাৎ চুল পড়ে যেতে থাকে। মাথা প্রায় খালিই হয়ে যায়। থেকে মাস ধরে প্রক্রিয়া চলতে থাকে। তবে আশার বিষয়, চুল আবার সম্পূর্ণ গজিয়ে থাকে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে থাকুন।
নবজাত অবস্থায়ঃ নবজাতকের মাথার চুল জন্মের পর থেকে মাসের ভেতর অনেকটা ঝরে যায়। এতে মা-বাবা ভয় পেয়ে যান, আমার সন্তানের মাথার চুল কি কম হবে? না, এতে ঘাবড়ানোর কিছু নেই। মাস বয়সের সময় আবার চুল গজায়। কখনো কখনো পুষ্টিহীনতার কারণে চুল গজাতে একটু দেরি হতে পারে।

জ্বরের পরঃ কঠিন কোনো জ্বর যেমন  নিউমোনিয়া, টাইফয়েড হওয়ার থেকে মাস পর হঠাৎ চুল ঝরতে শুরু করে এবং প্রায় পাতলা হয়ে যায়। কিন্তু কিছু দিন পর চুল আবার গজিয়ে থাকে।

মানসিক কারণেঃ মানসিক রোগ বা দুশ্চিন্তা যদি বেশি থাকে তবে চুল পড়ে যায়।
ওষুধেঃ কিছু কিছু ওষুধে যেমন ক্যান্সারের ওষুধ, যে চুলগুলো মাত্র গজাচ্ছে, সেগুলোও ঝরিয়ে দেয়।

অনাহারঃ ওজন বা মেদ কমানোর জন্য অনেকে হঠাৎ খাওয়া-দাওয়া, একেবারেই ছেড়ে দেয়। এই হঠাৎ খাওয়া কমানো চুল পড়ার কারণ হতে পারে, যেমনটি হয় অপুষ্টিজনিত কারণে।

অ্যানড্রোজেন হরমোনঃ পুরুষ হরমোনের প্রভাবে ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সে পুরুষের কপালের দুই দিকে এবং মাথার মধ্য অংশে টাক পড়ে। যাকে বংশগত টাকও বলা হয়।

এজাতীয় বংশগত টাক ঠেকাতে এবং টাক পড়া স্থানে কিছু চুল গজাতে সক্ষম এমন ওষুধ এখন বাজারে পাওয়া যায়। যার বৈজ্ঞানিক নাম ফিনাস্টেরয়েড। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে জাতীয় ওষুধ শুধু ছেলেদের জন্য। মেয়েরা খেতে পারবে না। মাথার চুলের আনুমানিক সংখ্যা প্রায় লাখ, এর মধ্যে ৭০ থেকে ১০০টি চুল প্রতিদিন ঝরে যায়। অর্থাৎ প্রতিদিন ১০০টি চুল পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু যখন এই ১০০টির বেশি চুল পড়ে তখনই মাথার তালু খালি হয়ে যেতে থাকে।

মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে খুশকি। মাথা চুলকালে গুঁড়ো গুঁড়ো খোসা দেখা যাওয়াটাকে খুশকি বলে। তবে কখনো কখনও খোসা দেখা যায় না, মাথায় শুধু তেলতেলে ভাব থাকে। এই খুশকি যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে মাথার চুল আছে তাকে হয়তো আরো ১০ থেকে ২০ বছর টিকিয়ে রাখা যাবে। অন্যথায় মাস থেকে এক বছরে মাথায় টাক পড়ে যাবে। তবে একটি বিষয় জেনে রাখা ভালো খুশকি বা তেলতেলে ভাব বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হরমোন (এনড্রোজেন)-এর প্রভাবে হয়ে থাকে। সুতরাং এমতাবস্থায় খুশকিকে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব, আর খুশকি হবে না এটা সম্ভব নয়। যেহেতু এনড্রোজেন হরমোন কমানো উচিত নয়। অ্যান্টিড্যানড্রাফ শ্যাম্পু ব্যবহারে খোসা খোসা ভাব খুশকি খুব দ্রুত নির্মূল হয়ে যায়। কিন্তু তেলতেলে ভাব তো প্রতিদিনই হয়। অন্য দিকে অ্যান্টিডেনড্রাফ শ্যাম্পু প্রতিদিন ব্যবহার করা যায় না, তাতে চুলের ক্ষতি হয়। তা হলে যা দাঁড়াল তা হচ্ছে  খোসা খোসা ভাব খুশকি দূর করা সম্ভব হচ্ছে, চুল পড়া রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এমতাবস্থায় প্রয়োজন প্রতিদিন এমন কিছু দিয়ে মাথা ধুতে হবে যাতে চুলের ক্ষতি না হয়। সিস্টেমে খুশকি হয়তো ভালো হবে না তবে খুশকি তেলতেলে ভাব নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং চুলও কম ঝরবে।
মাথার গোল টাকঃ অবস্থায় রোগী কোনো এক দিন ঘুম থেকে উঠে দেখে যে মাথায় কিছু কিছু অংশে গোলাকার টাক পড়েছে। আক্রান্ত স্থানের ত্বক মসৃণ, কোনো চুলকানি বা লালা ভাব নেই, কোনো খোসাও নেই। প্রচলিত ধারণা হচ্ছে তেলাপোকা চুল খেয়ে ফেলেছে। না, এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। অবস্থা বেড়ে গিয়ে সম্পূর্ণ মাথায় এমনকি শরীরের লোমও ঝরে যেতে পারে। প্রাথমিক অবস্থায় আক্রান্ত স্থানে স্টেরয়েড ইনজেকশন দিয়ে আকারে বেড়ে যাওয়াটাকে রোধ করা যায় এবং নতুন চুল গজাতে থাকে। প্রতি মাসে একবার ইনজেকশন দিতে হয়

চুলপড়ার যত সমস্যা
চুল কেন পড়ে? প্রশ্ন আজ আমাদের প্রায় সবার। এই চুলপড়া রোধে সারা বিশ্বে বছরে প্রায় বিলিয়নেরও বেশি ডলার খরচ হয়। নানা উপায়ে আমরা চুলপড়া রোধ করতে চাই। অনেক রকমের ইনফেকশন, বিভিন্ন রোগ, ওষুধের ব্যবহার এবং খাদ্যের ভিন্নতর কারণে সাধারণত চুল পড়ে যায়। কিন্তু গবেষকরা গবেষণার মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছেন যে, ৯৫ ভাগ চুল পড়ার কারণ জিনগত। বাবা কিংবা মা অথবা দুজনের কাছ থেকে আগত জিনই নির্ধারণ করে দেয় কখন আমাদের চুল পড়বে। এই অবস্থাকে বলা হয় অ্যানড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া এবং অ্যানড্রোজেন অর্থাৎ পুরুষদের হরমোন এই সমস্যার জন্য দায়ী
গবেষকরা বিশ্বাস করেন, চুল পড়ার জন্য চুলের গোড়ার বা ফলিকলে একটি এনজাইম তৈরি হয়, যার নাম ফাইভ আলফা রিডাকটেজ। এই এনজাইম রক্তে অতিবাহিত হরমোন টেস্টস্টেরনকে ডাই হাইপ্রোটেস্টস্টেরনে পরিণত করে। যার আরেক নাম ডিএইচটি। ডিএইচটি চুলের গোড়ায় আক্রমণ চালায় এবং চুল দুর্বল করে ঝরে পড়তে সাহায্য করে। পুরুষদের চুল সাধারণত সামনের দিকে পড়ে এবং টাকে পরিণত হয়। আর মহিলাদের পুরো মাথার চুলই এককভাবে পড়ে এবং পাতলা হয়ে যায়। মহিলাদের শরীরে অ্যারোমাটেজ নামে এক প্রকার এনজাইম তৈরি হয় যা ডিএইচটিকে ইস্ট্রোজেনে পরিণত করে। এতে কিছু হলেও মহিলাদের চুর রক্ষা পায়। চুল পড়ার রাসায়নিক কারণ খুবই জটিল
চুলপড়া রোধে এবং নতুন চুল গজানোর জন্য মাথায় অনেক সময় নানারকম ভিটামিন ভেষজ নির্যাসযুক্ত তেল দেয়া হয়। ছাড়া ড্রাকোনিয়ান পদ্ধতিও ব্যবহার করা হয়। এই পদ্ধতিতে চুলের গোড়ায় মৃদু ইলেকট্রিক শক দেয়া হয়। এতে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করা হয়। কিছু কিছু শ্যাম্পু জেল ব্যবহারে চুল ঘন দেখায়। নানা ভেষজ গুণসম্পন্ন এসব দ্রব্য চুলের গোড়ায় পুষ্টি সরবরাহ করে তাছাড়া চুলের জৌলুস বাড়িয়ে দেখতে ভালো দেখায়
চুলের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা গ্রহণের আগেই আমরা চুলের কিছু নিজস্ব যত্ন নিয়ে দেখতে পারি
প্রতি একদিন অন্তর অন্তর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলা দরকার। অবশ্যই সেই শ্যাম্পু দিয়ে, যা আপনার চুলের জন্য উপযোগী। বন্ধু-বান্ধবের কথায় বা চটকদার বিজ্ঞাপনে মুগ্ধ না হয়ে নিজের উপযোগী শ্যাম্পু নিজের পছন্দ করাই ভালো। গবেষকরা জানান, ঘন ঘন শ্যাম্পু করার ফলে চুলের গোড়ায় জমে থাকা সাবান তৈলাক্ত পদার্থ থাকে, যাতে ডিএইচটি তা ধুয়ে যায়। আগেই বলা হয়েছে, ডিএইচটি চুল ঝরে পড়াকে ত্বরাম্বিত করে থাকে। আবার এভাবে চুল ধোয়ার পর প্রথম দিকে আপনার মনে হতে পারে, চুল বোধহয় আগের তুলনায় বেশি ঝরে যাচ্ছে। কিন্তু না, শুধুমাত্র সেই চুলগুলো ঝরে যাচ্ছে, যার গোড়া আলগা হয়ে আছে এবং দু-একদিনের মধ্যেই ঝরে পড়তো। ভেজা চুল বেশি আঁচড়ানোর কারণে এবং ঘষাঘষির কারণেও চুল বেশি পড়তে পারে। ব্যাপারে সাবধান হওয়া দরকার। চুলের স্বাস্থ্যের সাথে শরীর মনের স্বাস্থ্যও অনেকাংশে জড়িত। আপনি কেমন খাবার গ্রহণ করছেন, তার ওপরে আপনার চুলের স্বাস্থ্য নির্ভর করে। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পরিমাণগত শাক-সবজি, ফল যথেষ্ট পরিমাণে অর্থাৎ ভিটামিন মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করা প্রয়োজন। ছাড়া অতিরিক্ত ডায়েট কন্ট্রোল চুল পড়ার কারণ হতে পারে। ক্ষেত্রে নিউট্রশনিষ্ট কিংবা ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে। ছাড়া মানসিক চাপ এবং অন্যান্য ওষুধ গ্রহণের ফলে চুল ঝরে যাচ্ছে কিনা ব্যাপারে লক্ষ্য রেখে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত

চুলের গঠন অল্প বয়সে চুল পড়া
চুল ত্বকেরই অঙ্গ। ত্বকের উপরিতলের কোষ বা এপিডারমাল সেল থেকে চুলের উৎপত্তি। হেয়ার ফলিকল তৈরি হয় এপিডারমাল সেল থেকে। হেয়ার ফলিকলের একেবারে গভীরতর অংশ বা হেয়ার বালবের বিভাজনে তৈরি হয় নতুন নতুন কোষ। এই নবীন কোষগুলোতে বিশেষ ধরনের প্রোটিন জমতে থাকে, যা ত্বকের সাধারণ প্রোটিন থেকে কিছুটা আলাদা শক্ত। হেয়ার বালবের মধ্যের মেলানোসাইট চুলের রঙ সরবরাহ করে। চুলের পুষ্টি আসে হেয়ার বালবের শিরা-উপশিরা থেকে। হেয়ার বালব থেকে তৈরি হওয়া কোষগুলো একত্রে একটি দন্তের মতো উপরিতলের দিকে বাড়তে থাকে। জীবন্ত কোষগুলো ক্রমেই মৃত্যুর দিকে এগোয়, জমে ওঠা শক্ত কেরাটিনের একটি টালিতে পরিণত হয়। চুলের এই দন্ডের চারপাশে হেয়ার ফলিকলের দেয়াল লেপটে থাকে। ত্বকের উপরিভাগের কাছে এসে হেয়ার শ্যাফট তার চার পাশের দেয়াল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একটি মোটা কালো সুতার মতো ত্বকের উপরিভাগ থেকে বেরিয়ে আসে। তাই চুলের পুষ্টি সঞ্চালন করতে হলে হেয়ার ফলিকলের নিচে, ত্বকের গভীরে হেয়ার বাল্বে রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে হবে এবং সেই রক্তে চুল তৈরির প্রয়োজনীয় উপাদান ঠিকভাবে থাকতে হবে। আগাগোড়া হেয়ার ফলিকল বা চুল তৈরির কারখানাটিও ঠিক থাকা দরকার।

ত্বকের গভীরে যেখানে হেয়ার বাল্বের কোষগুলো রয়েছে যেখান থেকে ক্রমাগত নতুন কোষ সৃষ্টি হয়ে চুলের দণ্ডের গোড়ার দিকে যুক্ত হচ্ছে এবং দণ্ডটিকে ক্রমাগত উপরের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। জীবন্ত কোষগুলো উপরের দিকে ওঠার সময় কেরাটিন সঞ্চয় করছে, শক্ত হচ্ছে, মৃত কোষে পরিণত হচ্ছে। এই মৃত কোষের সমষ্টিই চুল হিসেবে ত্বকের উপরিভাগে ক্রমাগত এগিয়ে এসে অবশেষে ত্বকের বাইরে চুল হিসেবে দেখা যাচ্ছে।

অল্প বয়সে টাক পড়া
অল্প বয়সে টাক পড়ার নানা কারণ রয়েছে। পুরুষদের জন্য এন্ড্রোজেনিক এলোপেসিয়া শুরু হয় কপালের দুপাশে রগের কাছে। তারপর ক্রমেই বাড়তে বাড়তে সামনে চাঁদিতে ছড়িয়ে পড়ে। এটা পুরুষ সেক্স হরমোন টেস্টোস্টেরন জেনেটিক প্রভাবের কারণে হয়। চুলের বৃদ্ধি অনেকাংশে টেস্টোস্টেরনের ওপর নির্ভরশীল। চুলের গোড়ায় কিছু রিসেপ্টর থাকে যারা এই হরমোনের উপস্থিতিতে চুলের জীবন নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে একই মাত্রায় হরমোন থাকা সত্ত্বেও চুলের তারতম্য হয়। এজন্যই পুরুষদের ক্ষেত্রে বয়ঃসন্ধিকালে সামনের চুল সরে যেতে থাকে। অবশ্য চুল পড়ার জন্য থাইরয়েড গ্রন্থির অসুখ, রক্তস্বল্পতা, ওভারির অসুখ, বা অন্য কোনো এন্ডোক্রাইন অসুখও হতে পারে। বর্তমানে চুল পড়া বা টাকের আধুনিক চিকিৎসা এসেছে। বাজারে প্রচলিত শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপনে মোহিত না হয়ে অল্প বয়সে চুল পড়া শুরু হলে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সঠিক চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। রূপচর্চার নামে নানা অপ্রয়োজনীয় জিনিস ব্যবহারে ত্বক চুলের ক্ষতি হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ, বিভিন্ন কেমিক্যাল ক্ষার ইনসেকটিসাইড ব্যবহার, পানি দূষণ, বায়ু দূষণ ইত্যাদিও পরোক্ষভাবে চুল পড়ার জন্য দায়ী।

আধুনিক জীবনযাত্রা স্বাভাবিক সৌন্দর্যের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। অবশ্য আমার কথা এই যে, সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে এর প্রতিকার আছে


ডা. ওয়ানাইজা
চেম্বারঃ যুবক মেডিক্যাল সার্ভিসেস , বাড়িঃ ১৬, রোডঃ ২৮ (পুরাতন), ১৫ (নতুন), ধানমন্ডি আবাসিক এলাকা, ঢাকা (শনি, রবি বৃহস্পতিবার)
দৈনিক নয়া দিগন্ত, ১১ মে ২০০৮

No comments:

Post a Comment