ডা. মুহাম্মদ হোসেন
কিডনিতে পাথর তৈরি হওয়ার কারণগুলো জটিল, মাল্টিফ্যাকটোরিয়াল এবং এখনও বেশ স্পষ্ট নয়। ইউনারি স্টোনের উপাদান হচ্ছে কৃস্টালয়েড ও অরগানিক ম্যাট্রিক্স। মূলত ইউরিন সুপার সেজুরেটেট হলে পাথর তৈরি প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে। এই সুপার সেজুরেসন নির্ভর করে ইউরিনের চঐ, আয়নিক স্ট্রেন্থ এবং সলুউটের ঘনত্বের ওপর। ইউরিনে কিছু স্টোন ইনহিবিটর থাকে যাদের উপস্থিতির হেরফেরের কারণে পাথর হতে পারে। সাধারণত কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের পাথর হলে ৭৫ শতাংশ রোগীর ক্ষেত্রে ব্যথা নিয়ে আসতে পারে। তীব্র ব্যথা হঠাত্ করে শুরু হয় এবং এ ব্যথা মেরুদণ্ডের পাশে বক্ষ খাঁচার নিচে অনুভূত হয়। এ ব্যথা পেটের সামনের দিকেই অনুভূত হতে পারে। এ ব্যথা পাথরের অবস্থানের তারতম্যের জন্য অনুভবের স্থানেরও তারতম্য হয়। পাথর ওপর বা মধ্য ইউরেটারে থাকলে ব্যথা কিডনি বরাবর জায়গা থেকে শুরু হয়ে পেটের নিচের দিকে অনুভূত হতে থাকে। পাথর ইউরেটারের নিচের দিকে থাকলে ব্যথা অনুভূত হয় এবং এ ব্যথা পুরুষের ক্ষেত্রে টেস্টিস বা অন্ডোকোষে এবং স্ত্রীলোকের ক্ষেত্রে ল্যাবিয়া মোজোরাতে অনুভূত হয়। পাথর ইউরেটার ও ইউরিনারি ব্লাডারের অন্তর্বর্তী স্থানে হলে ব্যথা অনেক সময় প্রোস্টাটাইটিস, সিসটাইটিস বা ইউরেথ্রাইটিস হিসেবে ভুল হতে পারে।
কিডনিতে পাথর থাকার অন্য লক্ষণ
—রক্ত বর্ণ প্রস্রাব, প্রস্রাবের সঙ্গে এই রক্ত যাওয়া কখনও কখনও খালি চোখে দেখা যেতে না পারে।
—ঘন ঘন প্রস্রাব, জ্বর বা প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে অনেকে আসতে পারেন। প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার সাহায্যে এ রোগ নির্ণয় করা হয়।
পাথর না হওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা
কিডনিতে একবার পাথর হলে তা বার বার হতে পারে। তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর পুনরাবৃত্তির হার কমিয়ে আনা যায়। সাধারণত যেসব এলাকায় গরম বেশি সেসব জায়গায় লোকদের মধ্যে কিডনি পাথর বেশি দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে
—প্রধানত অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে শরীর বৃত্তির কার্যকারণে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে পানি বেশি খেতে হবে। পানি খাবার পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের ৩ ঘণ্টার মধ্যে বেশি হতে হবে, যখন প্রচুর পরিশ্রম করা হয় তখনও পানি বেশি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে ২৪ ঘণ্টার প্রস্রাবের পরিমাণ ৩ লিটার বা তার বেশি হয়।
—আবার যাদের কিডনিতে পাথর হয় তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে খাদ্যাভাস একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।
—প্রোটিন কিডনি দিয়ে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিক এসিডের নিঃসরণ বাড়ায়। এই এসিড কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম অ্যাবজরসন কমায়। এসব বিপাক ক্রিয়ার ফলে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
—যাদের কিডনিতে বার বার পাথর হয় তাদের দৈনিক প্রোটিন গ্রহণ বেশি না করা শ্রেয়।
—ফাইবার যুক্ত খাদ্য যেমন—গম, সয়া, চালের ভূষি স্টোন রিকারেন্স কমায়। যেসব খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট বেশি আছে যেমন—দুধ, পনির ইত্যাদি রিকারেন্ট স্টোনের রোগীদের কম খাওয়া উচিত।
—অতি লবণযুক্ত খাদ্য কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়
—এছাড়াও যাদের কিডনিতে বারবার পাথর হয় তাদের পাথর এনালাইসিস করে স্পেসিফিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
ইউরোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা
কিডনিতে পাথর থাকার অন্য লক্ষণ
—রক্ত বর্ণ প্রস্রাব, প্রস্রাবের সঙ্গে এই রক্ত যাওয়া কখনও কখনও খালি চোখে দেখা যেতে না পারে।
—ঘন ঘন প্রস্রাব, জ্বর বা প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা নিয়ে অনেকে আসতে পারেন। প্রস্রাব পরীক্ষা, এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষার সাহায্যে এ রোগ নির্ণয় করা হয়।
পাথর না হওয়ার জন্য কিছু সতর্কতা
কিডনিতে একবার পাথর হলে তা বার বার হতে পারে। তাই কিছু সতর্কতা অবলম্বন করে এর পুনরাবৃত্তির হার কমিয়ে আনা যায়। সাধারণত যেসব এলাকায় গরম বেশি সেসব জায়গায় লোকদের মধ্যে কিডনি পাথর বেশি দেখা যায়। এর কারণ হচ্ছে
—প্রধানত অতিরিক্ত গরমের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায়। এর ফলে শরীর বৃত্তির কার্যকারণে পাথর হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। তাই এসব ক্ষেত্রে পানি বেশি খেতে হবে। পানি খাবার পরিমাণ খাদ্য গ্রহণের ৩ ঘণ্টার মধ্যে বেশি হতে হবে, যখন প্রচুর পরিশ্রম করা হয় তখনও পানি বেশি খেতে হবে। পানির পরিমাণ এমন হতে হবে যাতে ২৪ ঘণ্টার প্রস্রাবের পরিমাণ ৩ লিটার বা তার বেশি হয়।
—আবার যাদের কিডনিতে পাথর হয় তাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে খাদ্যাভাস একটি বিরাট ভূমিকা পালন করে।
—প্রোটিন কিডনি দিয়ে ক্যালসিয়াম, অক্সালেট ও ইউরিক এসিডের নিঃসরণ বাড়ায়। এই এসিড কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম অ্যাবজরসন কমায়। এসব বিপাক ক্রিয়ার ফলে কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
—যাদের কিডনিতে বার বার পাথর হয় তাদের দৈনিক প্রোটিন গ্রহণ বেশি না করা শ্রেয়।
—ফাইবার যুক্ত খাদ্য যেমন—গম, সয়া, চালের ভূষি স্টোন রিকারেন্স কমায়। যেসব খাদ্যে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট বেশি আছে যেমন—দুধ, পনির ইত্যাদি রিকারেন্ট স্টোনের রোগীদের কম খাওয়া উচিত।
—অতি লবণযুক্ত খাদ্য কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়ায়
—এছাড়াও যাদের কিডনিতে বারবার পাথর হয় তাদের পাথর এনালাইসিস করে স্পেসিফিক সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক
ইউরোলজি বিভাগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়
বিএসএমএমইউ, শাহবাগ, ঢাকা
সংগ্রহ। আমার দেশ পত্রিকা
No comments:
Post a Comment