চাঁদ
এক সময় পৃথিবীর অংশ ছিল। পরে এক সময় মহাজগতের অন্য একটি বড় বস্তুর সঙ্গে
সংঘর্ষে সেটি ছিটকে পড়ে বাইরে চলে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক সম্প্রতি এমন দাবিই করেছেন। গতকাল বুধবার
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে তাঁদের এই দাবির কথা তুলে ধরা হয়।
বিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী ‘সায়েন্স’-এ গতকাল প্রকাশিত এক নিবন্ধে সারাহ স্টুয়ার্ট ও মাটিজা দাবি করেন, পৃথিবী ও চাঁদের গাঠনিক উপাদান ও রাসায়নিক বিষয়বস্তুর মধ্যে মিল থাকার বিষয়টি ব্যাখ্যা করবে তাঁদের এই তত্ত্ব। তাঁদের দাবি, চাঁদের যখন সৃষ্টি হয়, পৃথিবী তখন অনেক বেশি দ্রুত গতিতে আবর্তিত হতো। একটি দিন মাত্র দুই-তিন ঘণ্টা স্থায়ী ছিল।
এ বিষয়ে হার্ভার্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে, দ্রুত গতিতে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে মহাজগতের কোনো ভারী বস্তুর সঙ্গে তার সংঘর্ষ হয়। এই বড় ধরনের সংঘর্ষ থেকে চাঁদের সৃষ্টি হয়।
হার্ভার্ডের বিজ্ঞানীদের দাবি অনুযায়ী, সূর্যের চারপাশে পৃথিবীর আবর্তন এবং পৃথিবীর চারপাশে চাঁদের আবর্তনের মধ্যে পারস্পরিক মাধ্যাকর্ষণজনিত ক্রিয়ার মধ্য দিয়ে পৃথিবীর আবর্তন আজকের অবস্থানে পৌঁছায়।
বিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, তাঁদের প্রস্তাবিত তত্ত্বটি পৃথিবী ও চাঁদের উত্পত্তির ব্যাপারে প্রতিষ্ঠিত তত্ত্ব থেকে ভিন্ন। প্রচলিত তত্ত্ব হচ্ছে, পৃথিবীতে সবেগে আছড়ে পড়া বিশাল কোনো বস্তুর উপাদান থেকে চাঁদের জন্ম হয়েছে।
স্টুয়ার্ট হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পৃথিবী ও মহাজগত্-বিষয়ক বিজ্ঞানের অধ্যাপক। আর মাটিজা পৃথিবীর বাইরে জীবনের অস্তিত্ব অনুসন্ধানের কাজে সহায়তা করে এমন প্রতিষ্ঠান এসইটিআই ইনস্টিটিউটের জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও গবেষক।
সূত্র: প্রথমআলো.কম
No comments:
Post a Comment