নারীরা অনেক সময় বাড়ির বাইরে শিকার হন হামলার। এ জন্য অনেকেই বাড়ির বাইরে যেতে চান না। বিভিন্ন কারণে রাস্তায় নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রেও বাধা পেতে হয় তাঁদের। এসব নিয়ে যাঁরা চিন্তিত, তাঁদের জন্য রয়েছে সুখবর। একটি যন্ত্র আবিষ্কার করা হয়েছে, যা দিয়ে হামলাকারীদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করা যাবে।
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এক স্কুলছাত্র দাবি করেছে, সে যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছে, তা হামলাকারীদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে সহায়তা করবে। যন্ত্রটি হাতঘড়ির মতো ব্যবহার করা যাবে। হামলাকারীর ত্বক স্পর্শ করামাত্রই এটি বৈদ্যুতিক শক দেবে। এটির সঙ্গে একটি ক্যামেরাও যুক্ত করা আছে। ফলে হামলাকারীর ছবি তুলে রাখা যাবে। সে বলেছে,
রাস্তায় নারীদের নিরাপদে চলাচলের ক্ষেত্রে কাজে দেবে এ যন্ত্র।ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির এক স্কুলছাত্র দাবি করেছে, সে যে যন্ত্র আবিষ্কার করেছে, তা হামলাকারীদের হাত থেকে নারীদের রক্ষা করতে সহায়তা করবে। যন্ত্রটি হাতঘড়ির মতো ব্যবহার করা যাবে। হামলাকারীর ত্বক স্পর্শ করামাত্রই এটি বৈদ্যুতিক শক দেবে। এটির সঙ্গে একটি ক্যামেরাও যুক্ত করা আছে। ফলে হামলাকারীর ছবি তুলে রাখা যাবে। সে বলেছে,
মানু চোপড়া নামের ওই কিশোর (১৬) বলেছে, ‘রাতে নারীরা ঘরের বাইরে যেতে ভয় পায়, এটি লজ্জাজনক। এমনকি আমার বোনকেও শুধু নিরাপত্তার কারণে সন্ধ্যার পর বাইরে যেতে দেওয়া হয় না।’
মানু চোপড়া জানায়, যন্ত্রটি তৈরি করতে তার প্রায় ছয় দিন লেগেছে। সে আশা করছে, এটি বাজারে ১২২ রুপিতে বিক্রি করা যাবে।
হামলাকারী প্রতিরোধক এ যন্ত্র উদ্ভাবনের পর মানু এখন তার বোনকে নিয়ে অনেকটাই চিন্তামুক্ত। সে বলেছে, ‘রাস্তায় কেউ হামলা করতে চাইলেই আমার বোন তাকে ধরাশায়ী করতে পারবে।’
দিল্লির জিডি গোয়েনকা স্কুলের এই শিক্ষার্থী বলে, ন্যাশনাল ইনোভেশন ফাউন্ডেশনের (এনআইএফ) একটি জাতীয় প্রতিযোগিতাকে সামনে রেখে তার মাথায় এ যন্ত্রটি তৈরির বুদ্ধি আসে। সরকারি এ ফাউন্ডেশনটি সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনের জন্য শিশুদের পুরস্কৃত করে থাকে।
মানুর উদ্ভাবিত যন্ত্রটি এরই মধ্যে সবার নজর কেড়েছে। এখন এটি বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা চলছে। তবে এনআইএফ বলেছে, যন্ত্রটির কার্যকারিতা প্রমাণে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষা লাগবে।
রাজধানীসহ ভারতের অনেক শহর নারীদের চলাচলের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। হামলাকারীদের রুখতে অনেক নারী সঙ্গে মরিচের গুঁড়া পর্যন্ত বহন করেন। ভারতের ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২০০৮ সালে দেশটিতে প্রায় ২২ হাজার ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে, যা ২০০৪ সালের চেয়ে ১৮ শতাংশ বেশি। এএআই
সূত্র:প্রথমআলো.কম, ২৮/০১/২০১২
No comments:
Post a Comment