Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Thursday, May 10, 2012

রাজধানীতে জামাই-বউ কেনা-বেচা : জামাইয়ের দাম লাখ টাকা, আর বউয়ের ৩০ হাজার

জামাই-বউ কেনা-বেচায় সক্রিয় সিন্ডিকেট। জামাইয়ের দাম লাখ টাকা। আর বউয়ের দাম মাত্র ৩০ হাজার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে কেন্দ্র করেই চলছে এ ‘জামাই-বউ’ বেচা-কেনা। আর নবজাতক ছেলের সাংকেতিক নাম ‘জামাই’। আর মেয়ে হলো ‘বউ’। বাজারে জামাইয়ের কদরই বেশি। লাখ টাকার কমে কন্টাক্ট হয় না। বউয়ের বাজার
তুলনামূলক খারাপ। তবে ত্রিশ হাজার টাকা কমে বউও মিলে না। নবজাতক বিকিকিনি বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে মিলেছে এমন তথ্য । অভিযোগ রয়েছে, ঢামেকের একশ্রেণীর কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ওয়ার্ড মাস্টারের যোগসাজশেই হচ্ছে এসব। নবজাতক কেনাবেচায় ছেলে শিশুর চাহিদা বেশি হলেও ‘সুশ্রী’ ধরনের মেয়ে শিশুর চাহিদাও নেহাত কম নয়। নিঃসন্তান ধনাঢ্য দম্পতিরা নবজাতক কেনাবেচার চক্রের কাছে জামাই-বউ পেতে অগ্রিম অর্থ ‘বায়না’ করে। বায়না দেয়ার এ চুক্তিগুলো করা হয় মূলত রাজধানীর বিভিন্ন মেটার্নিটি সেন্টারে। সাধারণভাবে এসব সেন্টারেই পাওয়া যায় অবৈধ সম্পর্ক স্থাপনকারীদের। এ রকম কেউ না কেউ প্রায় প্রতিদিনই গর্ভপাত ঘটানোর জন্য এসব স্থানে আসেন। ঢামেক ছাড়াও রাজধানীর অন্য সরকারি হাসপাতালগুলোতে সক্রিয় এ চক্র। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে তাদের পেইড এজেন্ট হিসেবে কাজ করে বহিরাগত কিছু মহিলা। স্থায়ীভাবে নিয়োগ পাওয়া আয়াদের সঙ্গে মিশে শিশু চুরি করে তারা। ঢামেক হাসপাতালে যে সব মা গর্ভের সন্তানকে ফেলে রেখে চলে যায় তাদেরও তুলে নিয়ে বিক্রি করে এ চক্র। পুরান ঢাকার চানখাঁরপুর, নবাব কাটারা রোড, নাজিম উদ্দিন রোড, নিমতলী, আজিমপুর, নবাবগঞ্জ কমিউনিটি সেন্টার এলাকার বেশির ভাগ মেটার্নিটি সেন্টারে আড়ালে-আবডালে চলছে এ ব্যবসা। শিশু চুরির পাশাপাশি বিভিন্ন ক্লিনিকে রোগী বাগিয়ে নেয়ার কাজও করে বহিরাগত কথিত আয়ারা। শিশু পাচাকারীদের কয়েকজন নিজেরাই এখন মেটার্নিটি ক্লিনিক খুলে বসেছে। তবে এসব ক্লিনিকের কোন সরকারি অনুমতিপত্র নেই। কোনটার সামনে আবার সাইনবোর্ডও নেই। সাধারণ রোগীদের কাছে তাদের পরিচয় ডাক্তার আর হাসপাতালগুলোতে দালাল।
তাদের রয়েছে একটি নিজস্ব চক্র। চক্রটি এতটাই শক্তিশালী যে, দালালদের কাছে খোদ প্রশাসনও অসহায়। নিজ ক্লিনিকে শিশুসহ ধরা পড়ে এ চক্রের একজন ২০০৯ সালে কোতোয়ালি থানায়, আরেকজন কয়েকবার বংশাল থানা ও অপরজন লালবাগ থানা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেল খেটেছে। জামিনে বেরিয়ে এসে আবার পুরোদমে ব্যবসা চালাচ্ছে তারা।
নবজাতক চুরি বা বিকিকিনি চক্রের সদস্যরা মূলত ঢামেক হাসপাতালে আয়া পরিচয়ে কাজ করে চলছে। চিকিৎসা নিতে আসা নতুন রোগীদের প্রাইভেট ক্লিনিকে বাগিয়ে নেয়া এদের প্রধান কাজ হলেও মওকা পেলে নবজাতক চুরি ও বিক্রি করার কাজও করে সমানতালে। ঢামেক কর্তৃপক্ষ বলছে, পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় বিভিন্ন সময় কিছু বহিরাগতকে হাসপাতালে অস্থায়ী আয়া হিসেবে কাজ করার অনুমতি দেয়া হয়। এ সুযোগে তারা কোন অবৈধ কাজ অথবা অপরাধমূলক কাজ করছে কিনা তা দেখার সুযোগ কর্তৃপক্ষের পক্ষে সম্ভব হয় না। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, অস্থায়ী আয়াদের প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে সহায়তা করে হাসপাতালের এক শ্রেণীর ওয়ার্ড বয়, সর্দার ও ওয়ার্ড মাস্টার। ঢামেক হাসপাতালে বহিরাগত আয়া হিসেবে যারা কাজ করে তাদের বিরুদ্ধে ওষুধ পাচার, শিশু চুরিসহ নানা সময়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। কেউ কেউ এরই মধ্যে এ ধরনের অপরাধে জেলও খেটেছে। সূত্র জানায়, দালালদের একটা গ্রুপকে নিয়ন্ত্রণ করে লাইলী নামের একজন। তাকে প্রায়ই জরুরি বিভাগের গেটে অন্য বহিরাগত মহিলাদের সঙ্গে বসে থাকতে দেখা যায়। এখানে বসে থেকেই রোগীর গতি-প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করে তারা। গত ২৩শে এপ্রিল সন্ধ্যায় প্রসূতি ওয়ার্ড থেকে চুরি হয় লিপি বেগমের নবজাতক পুত্রসন্তান। এ বছরের ১৮ই মার্চ ঢাকা মেডিকেলে আরও একটি শিশু চুরি হয়। এ ঘটনায় নাদিম নামে একজন ধরাও পড়ে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বহিরাগতদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় এসব সমস্যা হচ্ছে। পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় আামদের বাধ্য হয়ে কিছু বহিরাগতকে কাজ করার সুযোগ দিতে হয়। তারাই নানা অপকর্ম করে। তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগী বাড়লেও জনবল কমেছে। আমরা সরকারের কাছে জরুরি ভিত্তিতে জনবল নিয়োগের জন্য আবেদন করেছি। নতুন নিয়োগ হলে এদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  লালবাগ জোনের ডিসি এএম খুরশীদ হোসেন বলেন, এসব ব্যবসার ব্যাপারে কিছু বলতে পারবো না। শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহ. সিরাজুল ইসলাম বলেন, এ সংক্রান্ত কোন তথ্য আমার জানা নেই। সুনির্দিষ্ট তথ্য পেলে ব্যবস্থা নেবো।
সূত্র:বিডিনিউজ২৪.কম, সরোজ মেহেদী

No comments:

Post a Comment