Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Wednesday, May 9, 2012

১০ ট্রাক অস্ত্র আটক মামলা ‘অস্ত্র খালাসের সময় উপস্থিত ছিলেন এনএসআইয়ের ছয় সদস্য’


দশ ট্রাক অস্ত্র খালাসের সময় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তৎকালীন উপপরিচালক মেজর লিয়াকত হোসেনসহ সংস্থাটির ছয়জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। অস্ত্রের চালানটি আনার বিষয়ে অবগত ছিলেন এনএসআইয়ের তখনকার মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবদুর রহিমও।

ওই সময়ে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বন্দর) আবদুল্লাহ হেল বাকী গতকাল মঙ্গলবার আদালতে দেওয়া সাক্ষ্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অবৈধ এই অস্ত্র চালানের সঙ্গে এনএসআইয়ের জড়িত থাকার কথা তিনি তখন সরকারি তদন্ত কমিটিতে বলেছিলেন। কিন্তু কমিটি তাঁর এ-সংক্রান্ত বক্তব্য গ্রহণ করেনি।
চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক এস এম মজিবুর রহমান এই সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য শেষে জনাব বাকী আদালতে মেজর লিয়াকতকে শনাক্ত করেন।
২০০৪ সালের ১ এপ্রিল গভীর রাতে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানার (সিইউএফএল) জেটিঘাটে ১০ ট্রাক সমরাস্ত্র আটক অভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আবদুল্লাহ হেল বাকী। তিনি এখন সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার। সাক্ষ্যে আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, ‘২০০৪ সালের ২ এপ্রিল ভোর চারটার পর আমি সিইউএফএল ঘাটের পূর্ব-উত্তর কোনায় ছিলাম। কিছুক্ষণ পর দেখতে পাই, সার্জেন্ট হেলালউদ্দিন ও আলাউদ্দিনসহ আরও পাঁচ-ছয়জন লোক আমার দিকে আসছেন। কাছাকাছি এলে সার্জেন্ট হেলালউদ্দিন একজনের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলেন, “উনি এনএসআইয়ের মেজর লিয়াকত। তিনি কিছু বলবেন।” আমি লোকটির (মেজর লিয়াকত) দিকে মনোযোগ দিলে উনি আমাকে বলেন, ‘আপনারা এগুলো আটকাচ্ছেন কেন? এগুলোর ব্যাপারে ডিজি ব্রিগেডিয়ার রহিম অবগত আছেন।’ এরপর মেজর লিয়াকত মোবাইলে সংযোগ স্থাপন করে আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলেন, “নেন ডিজি সাহেবের সঙ্গে কথা বলেন।” আমি ভদ্রভাবে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করি। তাঁকে বলি, আপনার ডিজিকে আমার কমিশনারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলুন। এরপরও মেজর লিয়াকত ও তাঁর সঙ্গে থাকা চার-পাঁচজন লোক উগ্রতা দেখাচ্ছিল। আমার নির্দেশে সার্জেন্টরা তাঁদের সরিয়ে নেন।’
সাক্ষ্যে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তিনি এ ঘটনা তখনকার চট্টগ্রাম পুলিশ কমিশনার সাব্বির আলীকে জানান। কমিশনার সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ ছাড়া গোয়েন্দা সংস্থার লোকদের সঙ্গে বিরোধে না জড়াতে পরামর্শ দেন। এরপর জনাব বাকী চারদিকে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা অস্ত্রগুলো দ্রুত উদ্ধারে অভিযান শুরুর নির্দেশ দেন। বিপুল সমরাস্ত্র ছাড়াও তখন অস্ত্র বহনের জন্য আনা ১০টি ট্রাক, দুটি ট্রলার, একটি ক্রেন ও একটি প্রাইভেট কার আটক করা হয়। ওই সময় কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহাদ ঘটনাস্থল থেকে পাঁচজনকে আটক করেন। তাঁরা সবাই এনএসআইয়ের লোকজন।
আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, ‘এনএসআইয়ের এই পাঁচজনকে ছেড়ে দিতে মেজর লিয়াকত চাপ দেন। পুলিশ কমিশনারের পরামর্শ ও ঝুঁকির বিষয়টি আমার বিবেচনায় ছিল। সরকারি লোক এবং পরবর্তী সময়ে তদন্তে তাঁদের নাম বেরিয়ে আসবে ভেবে আমি এনএসআইয়ের পাঁচজনকে ছেড়ে দিই।’ তিনি বলেন, সিইউএফএল জেটিঘাট একটি সংরক্ষিত এলাকা। অস্ত্র উদ্ধারের অভিযান চলাকালে সিইউএফএলের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পুলিশকে কোনো সহযোগিতা করেনি। জনাব বাকীর সন্দেহ, এতে সিইউএফএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা (এমডি) এবং মহাব্যবস্থাপক (জিএম) এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন। তদন্তকালে তদারকিতে তিনি এ বিষয়টি উল্লেখ করেছেন বলেও জানান।
ঘটনা তদন্তে সেই সময়ের স্বরাষ্ট্রসচিব ওমর ফারুকের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠিত হয়েছিল। সাক্ষ্যে আবদুল্লাহ হেল বাকী বলেন, অস্ত্র চালানের ঘটনায় এনএসআইয়ের একজন মেজর জড়িত থাকার বিষয়টি তিনি তদন্ত কমিটিকে বলেছিলেন। কিন্তু কমিটি এ বক্তব্য গ্রহণ করেনি।
২০০৪ সালের ২ এপ্রিল দুপুরে চট্টগ্রামের দামপাড়া পুলিশ লাইনে উদ্ধার অস্ত্র পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। এরপর দামপাড়া পুলিশ লাইনে বাবরের নেতৃত্বে একটি সভা হয়। সভার বিষয়ে আদালতে জনাব বাকী বলেন, ‘আমিও সভায় ছিলাম। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আমাকে বলেন, এটা আন্তর্জাতিক স্পর্শকাতর বিষয়। সাংবাদিকদের এ বিষয়ে কোনো সাক্ষাৎকার দেবেন না।’
সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) কামালউদ্দিন আহাম্মদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আবদুল্লাহ হেল বাকী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। তিনি ঘটনাস্থলে মেজর লিয়াকতকে দেখেছিলেন। অস্ত্র আটক না করতে মেজর লিয়াকত তাঁকে হুমকিও দিয়েছিলেন। এ ঘটনায় সিইউএফএলের তখনকার এমডি, জিএম জড়িত থাকতে পারেন। বাকীকে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দিতে নিষেধ করেছিলেন বাবর। বাকীর এসব বক্তব্য আদালতে সাক্ষ্য হিসেবে গৃহীত হয়েছে।
গতকাল দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটে আবদুল্লাহ হেল বাকীর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়, চলে বিকেল তিনটা পাঁচ মিনিট পর্যন্ত। এরপর মেজর লিয়াকতের আইনজীবী মো. আহসান কিছুক্ষণ বাকীকে জেরা করেন। এরপর আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়। আগামী ২১ মে বাকীকে আবার জেরা করবেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।

Protho-alo.com, 09/05/2012

No comments:

Post a Comment