Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, May 7, 2012

প্রশিক্ষণের নামে ২৫ লাখ টাকা নিয়ে প্রতিষ্ঠান উধাও!

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ থেকে মিড্স আইটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হঠাৎ উধাও হয়ে গেছে। কম্পিউটারসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণের নামে প্রতিষ্ঠানটি অন্তত ৫০০ গ্রাহকের কাছ থেকে ২৫ লাখেরও বেশি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

প্রশিক্ষণার্থীরা গত শনিবার ওই প্রতিষ্ঠানের কার্যালয়ে গিয়ে তা তালাবদ্ধ দেখতে পান। পরে বিক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা সেই তালায় সুপার গ্লু লাগিয়ে দেন। ভুক্তভোগীরা প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর জনগোষ্ঠী গড়ে তোলার নামে গত বছরের জুলাই মাসে প্রতিষ্ঠানটি মোরেলগঞ্জ উপজেলায় কার্যক্রম শুরু করে। উপজেলা সড়কে রওশন আরা স্মৃতি মহিলা কলেজ এলাকায় স্বর্ণা অতিথিশালা নামের একটি ভবনের দ্বিতীয় তলায় এর কার্যালয়। মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে গত বছরের অক্টোবর মাসে ওই কার্যালয় নেওয়া হয়।
কার্যক্রম শুরুর সময় প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা ঘোষণা দেন, সেখানে কম্পিউটারের বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ, ইন্টারনেট ব্রাউজিংয়ের সুবিধা ও ইংরেজিতে কথা বলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে প্রশিক্ষণার্থীদের। প্রতিটি কোর্সের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় ছয় মাস। কোর্স ফি পাঁচ হাজার টাকা। এলাকার তরুণ-তরুণীরা আগ্রহী হয়ে সেখানে ভর্তি হওয়া শুরু করেন। প্রশিক্ষণার্থীদের জন্য সেখানে ২০টি কম্পিউটার চালুও করা হয়। পরে একটি ব্যাচের প্রশিক্ষণ শুরু হলেও তাঁদের কোর্স আজও শেষ হয়নি।
ওই কোর্সে অংশ নেওয়া বারইখালী গ্রামের জি এম ফয়সাল বলেন, ‘মিড্স কর্তৃপক্ষ আমাদের বিভিন্ন সুবিধাসহ কম্পিউটার ও ইন্টারনেট বিষয়ে প্রশিক্ষণের কথা বলে পাঁচ হাজার টাকা করে নিয়ে ভর্তি করে। কিন্তু ঠিকমতো ক্লাস শুরুর আগেই তারা কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছে।’ একই অভিযোগ এলাকার রাহাতুল ইসলাম, ইকবাল হোসেন, রাখি, তামান্না, মেহেদী হাসানসহ আরও কয়েকজন প্রতারণার শিকার প্রশিক্ষণার্থীর।
ওই বাড়ির মালিক মো. রিপন জানান, রওশন আরা মহিলা কলেজের শিক্ষক নাসির উদ্দিন ও পাশের শরণখোলা উপজেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক আবদুল বারী মিড্স কর্তৃপক্ষের পক্ষে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে তাঁর সঙ্গে বাড়িভাড়ার চুক্তি করেন। জুবায়ের সানি নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি এই প্রতিষ্ঠানের পরিচালক পরিচয়ে মাসিক ঘরভাড়া দিতেন। চুক্তিপত্র অনুযায়ী মিড্স কর্তৃপক্ষ দুই মাস আগে বাড়ি ছাড়ার নোটিশ দেওয়ায় তিনি নতুন ভাড়াটিয়ার খোঁজে গত শুক্রবার বাড়িতে নোটিশ ঝুলিয়েছেন। চুক্তির মেয়াদ শেষ না হলেও এরই মধ্যে মিড্স কর্তৃপক্ষ তাদের কম্পিউটার সরিয়ে নিয়ে গেছে।
তবে বাড়িভাড়ার চুক্তিপত্রে স্বাক্ষরকারী আবদুল বারী দাবি করেন, তিনি মিডেসর সঙ্গে জড়িত নন। জুবায়ের সানিসহ এলাকার কয়েকজন যুবক মিলে এই প্রতিষ্ঠান খুলেছেন। ওই যুবকদের অনুরোধে স্থানীয় বয়োজ্যেষ্ঠ হিসেবে তাঁর ও শিক্ষক নাসিরের নাম রাখা হয়। তাই তাঁরা চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জুবায়ের সানির বাড়ি মোরেলগঞ্জের বারইখালী গ্রামে। তিনি বর্তমানে এলাকাছাড়া। তাঁর মুঠোফোনটিও বন্ধ পাওয়া যায়। এ ছাড়া শিক্ষক নাসিরের মুঠোফোনও বন্ধ।
মোরেলগঞ্জ উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, মিড্স আইটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামে কোনো বেসরকারি সংস্থার নাম তাঁদের নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের তালিকায় নেই। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আইনাল হোসেন বলেন, মিড্স আইটি ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড নামে কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের কথা তাঁর জানা নেই। মোরেলগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, এ ধরনের প্রতারণার বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ থানায় অভিযোগ করেনি।

সূত্র: প্রথমআলো.কম, 07/05/2012

No comments:

Post a Comment