Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Thursday, May 10, 2012

‘গার্ড অব অনার থাকাই উচিৎ নয়’


একটি রিট আবেদনের শুনানিতে হাই কোর্ট বলেছে, গণতান্ত্রিক দেশে ‘গার্ড অব অনার’ থাকা উচিৎ নয়।

এক বিচারপতিকে ‘প্রটোকল’ বা ‘রাষ্ট্রাচার’ ও ‘গার্ড অব অনার’ না দেওয়ায় বান্দরবানের ডিসি-এসপিকে তলবের আদেশের শুনানিতে বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী ও জাহাঙ্গীর হোসেনের বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ কথা বলে।



পদমর্যাদা ক্রম অনুসরণ করে আগামী ২৫ মের মধ্যে ‘প্রটোকল’ ও ‘গার্ড অব অনার’ সংক্রান্ত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা সংশোধন করতে বলেছেন তারা।


শুনানিতে আদালত বলে, “বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। এই দেশে কেবল নিরাপত্তার বিষয় ছাড়া গার্ড অব অনারের মতো ‘রাবিশ’ জিনিস থাকাই উচিৎ না। তবে দিতে হলে ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ অনুসারেই তা দিতে হবে।”


২০১০ সালে বান্দরবানে সুপ্রিম কোর্টের এক বিচারপতিকে প্রটোকল ও গার্ড অব অনার না দেওয়ায় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান সিদ্দিকী গত ৩ মে একটি রিট আবেদন করেন।


ওইদিন রিটের প্রাথমিক শুনানি করে আদালত বান্দরবানের তখনকার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে তলব করে। সে অনুযায়ী ডিসি মিজানুর রহমান (বর্তমানে এলজিআরডির যুগ্ম সচিব) এবং এসপি কামরুল ইসলাম বৃহস্পতিবার আদালতে হাজির হন।


রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ শুনানিতে প্রটোকল ও গার্ড অব অনার নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি ‘গোপন নির্দেশনা’ তুলে ধরেন।


ওই নির্দেশনা দেখিয়ে তিনি বলেন, “দেখেন, তারা (সরকারি প্রশাসন) সচিবকে গার্ড অব অনার দেবে, এমনকি বিভাগীয় কমিশনার, পুলিশের ডিআইজিকেও দেবে। তবে হাই কোর্টের বিচারপতিদের দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ নেই।”


শুনানির সময় আদালতে উপস্থিত জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ বলেন, “দিনে দিনে মনে হয়, আমাদের মূল্যবোধগুলো ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।”


আদালত পরে রাষ্ট্রীয় আইন কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আগামী ২৫ মের মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওই নির্দেশনা সংশোধন করতে হবে।


রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এবিএম আলতাফ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স অনুসারে আপিল বিভাগের বিচারপতিরা রাষ্ট্রীয় মর্যাদাক্রমে অষ্টম স্থানে থাকলেও তাদের কথা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় উল্লেখ নেই। হাই কোর্টের বিচারপতিদের কথাও সেখানে নেই।”


আদালত এ বিষয়টি আগামী ২৫ মের মধ্যে সংশোধন করতে বলেছে বলে এবিএম আলতাফ জানান।


মিজানুর রহমান ও কামরুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।


বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

No comments:

Post a Comment