বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশে অভ্যস্ত না হওয়ায় দন্তরোগের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
সোমবার রাজধানীতে এক সেমিনারে দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. খুরশিদ উজ জামান বলেন, "সারা দেশেই মানুষ এখন ø্যাকস, চকোলেট ও বিস্কুটের মতো খাবার খায়। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করেন না।"
"এতে দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হৃদরোগ এবং অপরিণত সন্তান প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ে", যোগ করেন তিনি।
ঝুঁকি এড়াতে 'কোমল ও ছোট' ব্রাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
'ওরাল হেলথকেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ও জাইকা যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।
এতে জানানো হয়, তিন বছরের এই প্রকল্পের ফলে কুমিল্লা জেলার চাঁদগাঁও উপজেলায় দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করে এমন শিক্ষার্থীর হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।
ডিজিএইচএসর মহাপরিচালক খন্দকার মো. শেফায়েত উল্লাহ বলেন, ভবিষ্যতে দন্তসেবা বাড়াতে করণীয় নির্ধারণে এ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসেবা খাতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এইচপিএনএসডিপি কর্মসূচির খসড়া পরিকল্পনায় আমরা দন্তচিকিৎসার বিষয়টি রেখেছি।"
জাইকার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি শিগেকি ফুরুটা বলেন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষের দাঁতের রোগের ঝুঁকি থাকায় এ বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে জাপান যে সমস্যার মোকাবেলা করেছিলো বাংলাদেশও নিকট ভবিষ্যতে সে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেন তিনি। ওই সময় জাপানিদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা 'দ্রুত' বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, মানুষের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটানো সহজ নয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ্য দাঁতের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ।
খুরশিদ উজ জামান বলেন, চাঁদগাঁও-এ স্কুল শিক্ষার্থী ভিত্তিক ওই প্রকল্পে সচেতনতা বাড়াতে চিত্রসহ তথ্য ও দাঁতের বিভিন্ন অবস্থা দেখানো হয়। এতে চার হাজার শিক্ষার্থী দাঁতের পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হয়েছে।
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা নিয়ে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
"এ প্রকল্পের ফলে ওই শিক্ষার্থীদের ব্রাশ ও পেস্ট কেনার হারও ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে।"
তিনি বলেন, মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার না থাকলে সেখানে অনেক ব্যাকটেরিয়া জমা হতে পারে। মাড়ির রক্ত সঞ্চালন পথের মাধ্যমে সরাসরি রক্তপ্রবাহে ঢুকতে পারে।
"তাতে হৃদরোগ ও অপরিণত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বাড়ে," যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।
সূত্র: বিডিনিউজ.কম
সোমবার রাজধানীতে এক সেমিনারে দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. খুরশিদ উজ জামান বলেন, "সারা দেশেই মানুষ এখন ø্যাকস, চকোলেট ও বিস্কুটের মতো খাবার খায়। কিন্তু তাদের বেশিরভাগই ঠিকমতো দাঁত ব্রাশ করেন না।"
"এতে দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। হৃদরোগ এবং অপরিণত সন্তান প্রসবের ঝুঁকিও বাড়ে", যোগ করেন তিনি।
ঝুঁকি এড়াতে 'কোমল ও ছোট' ব্রাশ ব্যবহারের পরামর্শ দেন তিনি।
'ওরাল হেলথকেয়ার ইন রুরাল বাংলাদেশ' প্রকল্পের অগ্রগতি মূল্যায়নে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস) ও জাইকা যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।
এতে জানানো হয়, তিন বছরের এই প্রকল্পের ফলে কুমিল্লা জেলার চাঁদগাঁও উপজেলায় দিনে অন্তত দুইবার দাঁত ব্রাশ করে এমন শিক্ষার্থীর হার ১৫ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫০ শতাংশে পৌঁছেছে।
ডিজিএইচএসর মহাপরিচালক খন্দকার মো. শেফায়েত উল্লাহ বলেন, ভবিষ্যতে দন্তসেবা বাড়াতে করণীয় নির্ধারণে এ প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে।
তিনি বলেন, "স্বাস্থ্যসেবা খাতে আগামী পাঁচ বছরের জন্য এইচপিএনএসডিপি কর্মসূচির খসড়া পরিকল্পনায় আমরা দন্তচিকিৎসার বিষয়টি রেখেছি।"
জাইকার জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধি শিগেকি ফুরুটা বলেন, খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তনের কারণে অনেক মানুষের দাঁতের রোগের ঝুঁকি থাকায় এ বিষয়টিতে আরো গুরুত্ব দেওয়া উচিত।
১৯৬০ ও ৭০-এর দশকে জাপান যে সমস্যার মোকাবেলা করেছিলো বাংলাদেশও নিকট ভবিষ্যতে সে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন বলে সতর্ক করেন তিনি। ওই সময় জাপানিদের মধ্যে দাঁতের সমস্যা 'দ্রুত' বাড়তে থাকে।
তিনি বলেন, মানুষের দাঁত ব্রাশ করার অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটানো সহজ নয়, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে সুস্থ্য দাঁতের জন্য তা গুরুত্বপূর্ণ।
খুরশিদ উজ জামান বলেন, চাঁদগাঁও-এ স্কুল শিক্ষার্থী ভিত্তিক ওই প্রকল্পে সচেতনতা বাড়াতে চিত্রসহ তথ্য ও দাঁতের বিভিন্ন অবস্থা দেখানো হয়। এতে চার হাজার শিক্ষার্থী দাঁতের পরিচর্যার ব্যাপারে সচেতন হয়েছে।
সঠিকভাবে দাঁত ব্রাশ করা নিয়ে শিক্ষকদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
"এ প্রকল্পের ফলে ওই শিক্ষার্থীদের ব্রাশ ও পেস্ট কেনার হারও ৪০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৮০ শতাংশ হয়েছে।"
তিনি বলেন, মুখ ঠিকমতো পরিষ্কার না থাকলে সেখানে অনেক ব্যাকটেরিয়া জমা হতে পারে। মাড়ির রক্ত সঞ্চালন পথের মাধ্যমে সরাসরি রক্তপ্রবাহে ঢুকতে পারে।
"তাতে হৃদরোগ ও অপরিণত সন্তান প্রসবের ঝুঁকি বাড়ে," যোগ করেন এই বিশেষজ্ঞ।
সূত্র: বিডিনিউজ.কম
No comments:
Post a Comment