বিজ্ঞানীদের অনুমান সত্য হলে বাংলদেশ সময় আজ ভোরেই পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে বাতিলকৃত সাড়ে ছয় টন ওজনের নাসা স্যাটেলাইট। তবে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসা স্যাটেলাইটটি ঠিক কোথায় আঘাত হানবে তা নিশ্চিত বলতে পারছেন না মহাকাশ বিশেষজ্ঞরা। তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই বলে দাবি করেছেন তারা। সূত্র : ওয়েবসাইট।
এটা নাসা আপার অ্যাটমোসফেয়ার রিসার্চ স্যাটেলাইট। সংক্ষেপে এগুলো ইউএআরএস নামে পরিচিত। নাসা দাবি করেছে ধেয়ে আসা স্যাটেলাইটটি উত্তর আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকার কোথাও পড়তে পারে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এটি দিক পরিবর্তন করতে পারে। ২০০৫ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এটার কাঁপাকাঁপি একটু বেড়ে যায়।
জানা গেছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার আগেই মহাকাশ যানটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। আমেরিকার সেন্টার ফর অরবিটাল অ্যান্ড রি-এন্ট্রি ডেব্রিজ স্টাডিজ’ এর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নাসার এই ইউএআরএস স্যাটেলাইটের কমপক্ষে ২৬টি পাইপ অক্ষত থাকবে। এগুলোর ওজন প্রায় পাঁচশ’ কেজি। এসব পাইপ ভূ-পৃষ্ঠে ঘণ্টায় ৯৮ কিলোমিটার বেগে এবং ছোট টুকরাগুলো ২৪০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্যাটেলাইটটির খণ্ডিত অংশগুলো এক জায়গায় পড়বে না। কমপক্ষে পাঁচশ’ মাইল এলাকাজুড়ে পড়বে। এর মধ্যে থাকতে পারে স্টেইনলেস স্টিল, টিটানিয়াম, বেরিলিয়াম, হুইল রিম, ব্যাটারি ও খালি ফুয়েল ট্যাঙ্ক। প্রতি বছর একবার করে নাসার এরকম
একটি স্যাটেলাইট পৃথিবী অভিমুখে ছুটে আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর শোনা যায়নি। গত ৫০ বছরে মাত্র এক ব্যক্তি সামান্য আহত হন।
কিন্তু লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ডগ মিলার্ড মনে করছেন, এবারের এই স্যাটেলাইটটি অন্য সব বারের চেয়ে ভিন্ন। এটা ক্ষতির কারণ হতেও পারে। কারণ এ যাবত্ পৃথিবী অভিমুখে আসা সবগুলো স্যাটেলাইটের চেয়ে এর ওজন বেশি।
তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটটির আয়তন প্রায় একটি ডবল ডেকার বাসের সমান। বেশিরভাগ স্যাটেলাইটই যখন পৃথিবীতে পড়ে তখন সেটা আকৃতিতে অনেক ছোট হয়ে যায়। কারণ তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আসার আগেই অনেকটা পুড়ে যায়।’
নাসা বলছে, বাতিলযোগ্য ৩২০০ স্যাটেলাইটের মধ্যে এটি একটি এবং প্রায় ২০ বছরের পুরনো এটা। ১৯৯১ সালে এটা আকাশে উেক্ষপণ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এটা ঠিক কোথায় পড়ে।
উল্লেখ্য, নাসার স্কাইল্যাব স্পেস স্টেশন ১৯৭৯ সালের ১১ জুলাই একইভাবে পৃথিবীতে পড়েছিল। তখন কেউ আহত হয়নি।
সূত্র:আমারদেশ.কম, ২৪/০৯/২০১১
এটা নাসা আপার অ্যাটমোসফেয়ার রিসার্চ স্যাটেলাইট। সংক্ষেপে এগুলো ইউএআরএস নামে পরিচিত। নাসা দাবি করেছে ধেয়ে আসা স্যাটেলাইটটি উত্তর আলাস্কা থেকে দক্ষিণ আমেরিকার কোথাও পড়তে পারে। তবে যে কোনো মুহূর্তে এটি দিক পরিবর্তন করতে পারে। ২০০৫ সালে মেয়াদ শেষ হওয়ার পর থেকে এটার কাঁপাকাঁপি একটু বেড়ে যায়।
জানা গেছে, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে ঢোকার আগেই মহাকাশ যানটির বেশির ভাগ অংশ পুড়ে ছাই হয়ে যাবে। আমেরিকার সেন্টার ফর অরবিটাল অ্যান্ড রি-এন্ট্রি ডেব্রিজ স্টাডিজ’ এর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নাসার এই ইউএআরএস স্যাটেলাইটের কমপক্ষে ২৬টি পাইপ অক্ষত থাকবে। এগুলোর ওজন প্রায় পাঁচশ’ কেজি। এসব পাইপ ভূ-পৃষ্ঠে ঘণ্টায় ৯৮ কিলোমিটার বেগে এবং ছোট টুকরাগুলো ২৪০ কিলোমিটার বেগে আছড়ে পড়বে।
বিজ্ঞানীরা বলেছেন, স্যাটেলাইটটির খণ্ডিত অংশগুলো এক জায়গায় পড়বে না। কমপক্ষে পাঁচশ’ মাইল এলাকাজুড়ে পড়বে। এর মধ্যে থাকতে পারে স্টেইনলেস স্টিল, টিটানিয়াম, বেরিলিয়াম, হুইল রিম, ব্যাটারি ও খালি ফুয়েল ট্যাঙ্ক। প্রতি বছর একবার করে নাসার এরকম
একটি স্যাটেলাইট পৃথিবী অভিমুখে ছুটে আসে। কিন্তু এ পর্যন্ত নিহতের কোনো খবর শোনা যায়নি। গত ৫০ বছরে মাত্র এক ব্যক্তি সামান্য আহত হন।
কিন্তু লন্ডনের সায়েন্স মিউজিয়ামের মহাকাশ বিশেষজ্ঞ ডগ মিলার্ড মনে করছেন, এবারের এই স্যাটেলাইটটি অন্য সব বারের চেয়ে ভিন্ন। এটা ক্ষতির কারণ হতেও পারে। কারণ এ যাবত্ পৃথিবী অভিমুখে আসা সবগুলো স্যাটেলাইটের চেয়ে এর ওজন বেশি।
তিনি আরও বলেন, স্যাটেলাইটটির আয়তন প্রায় একটি ডবল ডেকার বাসের সমান। বেশিরভাগ স্যাটেলাইটই যখন পৃথিবীতে পড়ে তখন সেটা আকৃতিতে অনেক ছোট হয়ে যায়। কারণ তারা পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আসার আগেই অনেকটা পুড়ে যায়।’
নাসা বলছে, বাতিলযোগ্য ৩২০০ স্যাটেলাইটের মধ্যে এটি একটি এবং প্রায় ২০ বছরের পুরনো এটা। ১৯৯১ সালে এটা আকাশে উেক্ষপণ করা হয়।
বিশ্বব্যাপী বিশেষজ্ঞরা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রেখেছেন এটা ঠিক কোথায় পড়ে।
উল্লেখ্য, নাসার স্কাইল্যাব স্পেস স্টেশন ১৯৭৯ সালের ১১ জুলাই একইভাবে পৃথিবীতে পড়েছিল। তখন কেউ আহত হয়নি।
সূত্র:আমারদেশ.কম, ২৪/০৯/২০১১
No comments:
Post a Comment