Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Saturday, September 24, 2011

জলবায়ুর ঝুঁকি নাইট্রোজেনও!

এতদিন আমরা জেনে আসছিলাম অতিরিক্ত কার্বন নির্গমনের ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হয়ে থাকে। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, নাইট্রোজেনও জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী। অক্সিজেন ও হাইড্রোজেন পরমাণু নিয়ে তৈরি যে পদার্থ, তার নাম হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল, যার সংক্ষিপ্ত পরিচয় ওএইচ। অত্যন্ত স্পর্শকাতর এই
পদার্থ সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গেই আশপাশের পদার্থের কারণে প্রতিক্রিয়া শুরু করে। জার্মানির মাইনতস শহরে মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের ভূ-রসায়নবিদ উলরিশ প্যোশল তাই এই পদার্থকে বায়ুমণ্ডল শোধনের সাবান বলে থাকেন। কারণ এই পদার্থ বাতাস থেকে প্রায় সবকিছুই শুষে নিতে পারে, যেমন পেট্রলের ধোঁয়া বা মিথেন। এমনকি মারাত্মক বিষাক্ত কার্বন মোনোক্সাইডকেও রেহাই দেয় না এই
হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল। অথচ কারখানার অনেক প্রক্রিয়ায় কার্বন মোনোক্সাইডের নির্গমন ঘটবেই। বায়ুমণ্ডলসংক্রান্ত গবেষণার শুরুর দিকেই বিজ্ঞানীদের মনে হয়েছিল, এত ক্ষতিকারক পদার্থ থাকা সত্ত্বেও আমরা যে দিব্যি বেঁচে আছি, তা যেন এক অলৌকিক ঘটনা।
ওএইচের গুণগান এখানেই শেষ হচ্ছে না। বৃষ্টির সময় প্রায়ই যে ক্ষতিকর পদার্থ আকাশ থেকে মাটিতে নেমে আসে, তারও জন্য দায়ী এই ওএইচ। এসব ভাসমান পদার্থকে তরল এসিডে পরিণত করে এই হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল।
শুনতে জটিল মনে হলেও এই গবেষণার সুদূরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। পরিবেশ দূষণসংক্রান্ত যাবতীয় বিতর্কের ক্ষেত্রে শুধু কার্বন নির্গমন বা বড়জোর মিথেনের ভূমিকার উল্লেখ করা হয়। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তন ও আমাদের ইকোসিস্টেমের জন্য নাইট্রোজেনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়াও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অর্থাত্ কার্বন নির্গমনের ক্ষেত্রে মানুষের যে ভূমিকা রয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি ভূমিকা রয়েছে নাইট্রোজেনের প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে। সেটা ঠিকমত জানতে পারলে আমরা আরও সচেতনভাবে জমির ব্যবহার করতে পারব, বলেন উলরিশ প্যোশল।
হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদার্থ, এ বিষয়ে বিজ্ঞানীদের মনে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু কোথা থেকে এত পরিমাণ ওএইচ র্যাডিক্যাল আসছে, সে বিষয়ে তাদের কোনো ধারণা ছিল না। অথচ বায়ুমণ্ডলে বিশাল পরিমাণ ক্ষতিকারক পদার্থের মোকাবিলা করতে যথেষ্ট পরিমাণ ওএইচও কাজ করে। চীনের তরুণ বিজ্ঞানী হাং সু মাইনত্স-এ উলরিশ প্যোশলের সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে এই রহস্য উদ্ঘাটনের চেষ্টা করছেন। তার ধারণা, বায়ুমণ্ডলে নাইট্রোজেনের যে বিবর্তন ঘটে, তার সঙ্গে এই প্রক্রিয়ার নিশ্চয় একটা সম্পর্ক রয়েছে। এটা অবশ্য আগেই জানা ছিল, যে নাইটার বা সল্টপিটার অ্যাসিড সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির সংস্পর্শে এলে হাইড্রক্সিল র্যাডিক্যাল তৈরি হয়। হাং সু বিষয়টি আরও বুঝিয়ে বলেন, দিনের বেলায় সল্টপিটার এসিড খুব তাড়াতাড়ি ক্ষয়ে যায়। সূর্যের আলোর ফলে ফটোলিসিস প্রক্রিয়ার কারণেই এটা ঘটে। কিন্তু ওএইচ র্যাডিক্যাল সৃষ্টি হওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে তা উবে যাওয়ার কথা। কিন্তু বাস্তবে তেমনটা ঘটে না। ভালো করে অঙ্ক কষলেই টের পাওয়া যায় যে, কোথাও একটা সল্টপিটার এসিডের বড় উত্স থাকতেই হবে।
অনেক বিজ্ঞানী মনে করেন যে, বায়ুমণ্ডলের নাইট্রোজেনই সল্টপিটার এসিডের উত্স। কিন্তু হাং সু’র সন্দেহের তীর অন্য একদিকে। তিনি বলেন, আমার হঠাত্ মনে পড়ে গেল যে মাটিতেই তো বিশাল পরিমাণ নাইট্রোজেন রয়েছে। অর্থাত্ বাতাস থেকে নাইট্রোজেনের তো প্রয়োজনই নেই। দেখলাম, মাটির মধ্যেই অতিরিক্ত মাত্রার সল্টপিটার এসিড রয়েছে। কিন্তু মাত্রাতিরিক্ত এসিড থাকলে তা তো আবার বাতাসে মিশে যাওয়া উচিত।
মাটিতে যে সল্টপিটার এসিড রয়েছে, তার উত্স আবার নাইট্রাইট। মাটিতে অতিরিক্ত সার ব্যবহার করলে বিষাক্ত এই পদার্থ দেখা দেয়। একটা ছোট বন্ধ ঘরে সেই মাটি রেখে শুদ্ধ বাতাস ঢুকিয়ে দিলে সেই বাতাস যদি সল্টপিটার এসিড শুষে নেয়, তাহলেই এই তত্ত্বের প্রমাণ পাওয়া যায়। হাং সু এই সহজ উপায়ে রহস্যের সমাধান করতে পেরেছেন, এক্ষেত্রে গবেষণায় অনেক দূর এগিয়েছেন, মাটির জটিল চরিত্র সম্পর্কে অনেক নতুন তথ্য জানতে পেরেছেন। তার ফলে যা জানা গেছে, তা হলো, মাটিতে বেশি সার ব্যবহার করলে এবং তার ওপর এসিড বৃষ্টি হলে সেই প্রক্রিয়া যেন এক ‘সেফটি ভালভ’ হিসেবে কাজ করে। তখন অতিরিক্ত সল্টপিটার এসিড বাতাসে মিশে যায়। সব মিলিয়ে বিজ্ঞানীরা মাটি ও বায়ুমণ্ডলের মধ্যে আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও স্পষ্ট ধারণা অর্জন করেছেন। মাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউটের ভূ-রসায়নবিদ উলরিশ প্যোশল এ বিষয়ে বলেন, বায়ুমণ্ডলে প্রতিনিয়ত হাজার হাজার প্রক্রিয়া ঘটে চলেছে। এসব সম্পর্কে সঠিক পূর্বাভাস দিতে হলে বা বিরাজমান অবস্থা সম্পর্কে জানতে হলে শুধু এটা জানলেই চলবে না যে, কোনো পদার্থ অন্য কোনো পদার্থের সংস্পর্শে এলে তার প্রতিক্রিয়া কী হবে? সম্পূর্ণ ধারণা পেতে এসব পদার্থের সঠিক পরিমাণও জানা জরুরি। সূত্র : ডিডব্লিউ

No comments:

Post a Comment