মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়ার ৭ দিন পর আলোচিত নতুন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে দপ্তর দেয়া হয়েছে। এছাড়া পুরনো তিন মন্ত্রী ও এক প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর বদল করা হয়েছে। এর মধ্যে জি এম কাদের ও ফারুক খানের মন্ত্রণালয় অদল-বদল হয়েছে। গতকাল সকালেই মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টন/ পুনঃবণ্টন সংক্রান্ত একটি
প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। মন্ত্রীদের দপ্তর বদলের আদেশে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে সৈয়দ আবুল হোসেনকে সরিয়ে নবগঠিত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। নতুন মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ওবায়দুল কাদের পেয়েছেন যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের (সড়ক ও সেতু বিভাগ) দায়িত্ব। ওই মন্ত্রণালয় ভেঙে গঠন করা রেলপথ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী করা হয়েছে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে। তবে ইয়াফেস ওসমান থাকছেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে। এর আগে গত রোববারই বিজ্ঞান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় ভেঙে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। এছাড়া যোগাযোগ মন্ত্রণালয় ভেঙে আলাদা রেলপথ মন্ত্রণালয় গঠন করা হয়। নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত ও দপ্তর বদল হওয়া মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা আগামীকাল নিজ নিজ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব বুঝে নেবেন। একই সঙ্গে নতুন মন্ত্রণালয়ে প্রথম কার্যদিবস কাটাবেন। এর আগে গত ২৯শে নভেম্বর মন্ত্রী হিসেবে সুরঞ্জিতের সঙ্গে শপথ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ওবায়দুল কাদের। ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কাদের আওয়ামী লীগের গত সরকারে যুব, ক্রীড়া ও সংস্কৃতিবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। নবম সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ বিজয় লাভের পর ২০০৯ সালের ৬ই জানুয়ারি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন, গঠন করেন ৩২ সদস্যের মন্ত্রিসভা। এর ১৮ দিন পর মন্ত্রিসভায় আরও ৬ জন যোগ হন। ওই বছর ৩১শে জুলাই দ্বিতীয় দফা কলেবর বাড়ে মন্ত্রিসভার। সেদিন নতুন একজন মন্ত্রী ও পাঁচ প্রতিমন্ত্রী শপথ নেন। সর্বশেষ গত ২৮শে ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় মন্ত্রিসভা বাড়ানো হয়। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এবং ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে পরিবেশ ও বন প্রতিমন্ত্রী হাছান মাহমুদও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। বর্তমানে মন্ত্রিসভার সদস্য ৪৫ জন। এদের মধ্যে ২৮ জন মন্ত্রী, ১৭ জন প্রতিমন্ত্রী। নতুন করে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়া ফারুক খান গত প্রায় তিন বছর ধরে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সামলে আসছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হিসেবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে ‘কম খাওয়ার পরামর্শ’ দিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন ফারুক। রদবদলের বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন- আগের মন্ত্রণালয়ে ভালভাবেই কাজ করেছিলাম, সবার সহযোগিতায় নতুন মন্ত্রণালয়েও সেভাবেই কাজ করবো। তবে মন ভার দেখা গেছে সদাহাস্যময় সৈয়দ আবুল হোসেনকে। নতুন মন্ত্রণালয়ে কবে নাগাদ যোগ দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে অনেকটা নির্লিপ্ত থাকেন তিনি।
নিজের বসার রুম খুঁজছেন আবুল হোসেন
মন্ত্রিসভায় রদবদলে দপ্তর হারানোর পর যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সব ক’টি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নিয়েছেন বহুল আলোচিত-সমালোচিত মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেন। গতকাল সকাল সাড়ে ৮টায় সচিবালয়ে আসার কিছু সময় পরই তিনি নিজের মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ করেন। এরপর রেল ভবনে যান। সেখানে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিদায়পর্ব সেরে যান সড়ক ভবনে। সড়ক ভবন থেকে যান মহাখালীতে সেতু বিভাগে। তারপর ফেরেন মন্ত্রণালয়ে, যোগ দেন একটি সভায়। সেতু বিভাগ থেকে ফিরে দুপুর পৌনে ১২টার দিকে দপ্তরে যাওয়ার সময় আবুল হোসেন মন ভার অবস্থায় দেখা যায়। খুব বেশি কথাও বলছিলেন না তিনি। নতুন মন্ত্রণালয়ে কবে যোগ দিচ্ছেন- জানতে চাইলে সৈয়দ আবুল হোসেন বলেন, দেখি, কবে দিই। ওদিকে নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েও সমস্যার মুখে পড়ছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। তার নতুন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অফিস আগারগাঁওয়ে। এটি ওই এলাকার বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলে অবস্থিত। তাই নতুন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়ে তাকে আগারগাঁওয়ে বসতে হবে। সে ক্ষেত্রে নিজের রুম সমস্যায় পড়বেন তিনি। এখন থেকে বসার রুম খোঁজার কাজটি শুরু করেছেন সৈয়দ আবুল হোসেন। এমন অভিমত তার ঘনিষ্ঠজনদের। ওদিকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নতুন দায়িত্ব পাওয়া জি এম কাদের মহাজোট শরিক জাতীয় পার্টির নেতা এবং দলটির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের ভাই। তার সঙ্গে বিমান মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সঙ্গে মতদ্বৈধতা চলছিল। স্বাধীনতার পর বেশির ভাগ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সুরঞ্জিত এই প্রথম মন্ত্রী হলেন। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিতের মন্ত্রণালয়টি নতুন। বর্তমান সরকারের মন্ত্রিসভা থেকে এখন পর্যন্ত কেউ বাদ পড়েননি। তানজিম আহমদ সোহেল তাজ স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করলেও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে তাকে দপ্তরবিহীন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দেখানো আছে।
রেল লোকসানের কালো বিড়াল খুঁজে বের করতে চান সুরঞ্জিত
সংসদ রিপোর্টার জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগের পেটের ভিতর থেকে রেলকে বের করে নিয়ে আসার সিদ্ধান্তকে সরকারের সাহসী পদক্ষেপ দাবি করে নবনিযুক্ত মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেছেন, বিশ্বের সকল দেশেই রেল লাভজনক। শুধুমাত্র বাংলাদেশেই রেল লোকসানে। কিন্তু কেন- সেটাই বড় প্রশ্ন। এর জন্য দায়ী কালো বিড়ালটা আমি বের করে আনতে চাই। তিনি রেলকে আধুনিকায়নের জন্য এ সংক্রান্ত আইন ও বিধি সংশোধন এবং বেদখল হয়ে যাওয়া রেলের জায়গা উদ্ধারের ঘোষণা দিয়েছেন। রেল মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর গতকাল সংসদের মিডিয়া সেন্টারে এক প্রেস ব্রিফিং-এ তিনি এ ঘোষণা দেন। সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে ছাড়াও অনেক ফোরামে কথা বলার সুযোগ রয়েছে। আর মন্ত্রী হলেও কথা বলার অধিকার রয়েছে। তাই সরকারের গঠনমূলক সমালোচনা বন্ধ হবে না। ‘আগে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে আমি কথা বলেছি। মন্ত্রী হওয়ার পরেও কথা বলবো। টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে যদি কোন অনুষ্ঠানে যাই তাহলে কি কথা বলবো না? বিরোধী দল এই সমালোচনা করলে আরও ভালো হয়। তিনি আরও বলেন, গঠনমূলক সমালোচনা গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে উৎসাহিত করে। আর প্রধানমন্ত্রী এই সমালোচনাকে ইতিবাচক হিসেবে গ্রহণ করেন বলেই তিনি আমাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। সামপ্রতিক রদবদলের পর মন্ত্রিসভায় আরও কোন সংযোজন-বিয়োজনের প্রয়োজন আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, এখন যেটি হলো সেটির মধ্যে কি কোন সিগন্যাল দেখতে পাননি? একটি গণতান্ত্রিক সরকার যা করে বর্তমান সরকারও তাই করেছে। প্রধানমন্ত্রীর মিয়ানমার সফরের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের সাহিত্যে বিশেষ করে শরৎ সাহিত্যে রেঙ্গুন যাত্রা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও রেঙ্গুন গেছেন। চমক দেখার জন্য অপেক্ষা করাই ভালো। রেল মন্ত্রণালয় গঠন গণতান্ত্রিক সরকারের গণমুখী ও সাহসী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী অনেক ভেবেচিন্তে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে রেল পুনরুজ্জীবন পাবে বলে আশা করি। আর এ জন্য আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কিছু পদক্ষেপ নিতে চাই। এরমধ্যে প্রথম সময়মতো ট্রেন ছাড়া ও গন্তব্যে পৌঁছানো নিশ্চিত করা, ট্রেনকে পরিচ্ছন্ন রাখা, ই-টিকিট চালু, রেল লাইন সম্প্রসারণ, শ্যাটল ট্রেন চালুর মাধ্যমে রাজধানীর সঙ্গে পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোর সঙ্গে সহজ রেল যোগাযোগ স্থাপন ও বেদখলে থাকা রেলের জমি উদ্ধার করে তা কাজে লাগানো। মিটারগেজ লাইনকে ব্রডগেজ ও ব্রডগেজকে ইলেকট্রিক লাইনে উন্নীত করার উদ্যোগ গ্রহণ। আর এসকল কাজের জন্য খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন হবে না বলে তিনি জানান।
অসম্ভবকে ভালবাসি চ্যালেঞ্জকে পছন্দ করি: কাদের
বহুল আলোচিত যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ওয়াবদুল কাদের বলেছেন, দুর্ভোগ কমিয়ে জনগণকে স্বস্তি দেয়াই হবে আমার প্রথম কাজ। সেই লক্ষ্যে আমি অগ্রাধিকার ভিত্তিক প্রকল্প নিতে চাই। তিনি বলেন, পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্পের কাজ বর্তমান সরকারের মেয়াদে শেষ করা এখন দূরের স্বপ্ন। এটা দুই বছরে শেষ করা সম্ভব না। তবে আমি পদ্মা সেতুর কাজটা দ্রুত শুরু করতে চাই। গতকাল সংসদের মিডিয়া সেন্টারে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমি অসম্ভবকে ভালবাসি। চ্যালেঞ্জকে পছন্দ করি। তাই আমি চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছি। এখন ভাল ভাল কথা না বলে ভাল কাজের মাধ্যমে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। ওবায়দুল কাদের বলেন, কে আসবে আর কে যাবে এটি বড় বলা যায় না। আজ আমি আছি কাল না-ও থাকতে পারি। তবে দেশ ও জনগণ সব সময় থাকবে। এটা যদি আমরা মনে রাখতে পারি তাহলে সবার জন্য মঙ্গল হবে। পদ্মা সেতুর কাজ কবে শুরু হবে এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কোন ব্যাপারে কোন দিনক্ষণ দেব না। কাজ করে প্রমাণ করে দেখাবো। তিনি বলেন, আমরা রাজনীতিবিদ, সুশীল সমাজ ও বুদ্ধিজীবীরা অনেক ভাল ভাল কথা বলেছি। এখন জনগণ একজন দায়িত্বশীল মন্ত্রীর কাছ থেকে ভাল কথা শুনতে চায় না, ভাল কাজ আশা করে। ভাল কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপনে কাজ করতে হবে। ভাল কথা বলার স্টক ফুরিয়ে গেছে। ভাল কথার দৃষ্টান্ত বেশি কিন্তু কাজের দৃষ্টান্ত কম। আমার হাতে সময় কম। সরকারের তিন বছর শেষ আর আছে দুই বছর। শেষ দিনগুলো আমার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই হবে। মন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে সারা পৃথিবী উত্তাল, অশান্তি, সুনামির মতো ধেয়ে আসছে। এর থেকে ভারতের মতো দেশও রক্ষা পাবে না। কাজেই আমাদের এখন কথা কম বলে বেশি বেশি কাজ করতে হবে। প্রত্যাশা অনেক। এই প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। প্রত্যাশার প্রাপ্তিগুলো পূরণ করতে হবে। প্রত্যাশাগুলো পূরণ না হলে প্রত্যাশার পাপড়িগুলো শুকিয়ে যাবে। আমাদের বড় বড় প্রতিশ্রুতি না দিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে কাজ করে জনগণের দুর্ভোগ কমিয়ে আনতে হবে। যোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে গঠনমূলক কিংবা নিন্দামূলক আত্ম-সমালোচনা সইতে হবে। কেউ যদি এ সামালোচনা সইতে না পারে তাহলে আত্মঘাতী হবে। তিনি বলেন, মন্ত্রীর রদবদল রুটিন কাজ। এটি বিশ্বের সব গণতান্ত্রিক দেশেই হয়ে থাকে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও গত দেড় বছরে কয়েক দফা মন্ত্রিসভার পরিবর্তন হয়েছে। মন্ত্রিসভার এ ধরনের পরিবর্তন আরও হবে কিনা- প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। এ বিষয়ে আমার কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না।
বিগত যোগাযোগ মন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনের মেয়াদকালে পদ্মা সেতু নিয়ে বিশ্বব্যাংকের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছে তা দূর করা হবে কিনা- এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কেবলমাত্র আমি দায়িত্ব পেলাম। আমাকে মন্ত্রণালয়ে বসতে দিন। সড়কের অনেক ব্যাপার আছে, এসব দেখে পরে কথা বলব। মন্ত্রী হওয়ার আগে যোগাযোগ মন্ত্রণালয় নিয়ে আপনি নিজেই অনেক সমালোচনা করেছেন এখন কি বলবেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যা গেছে তা গেছে। নতুন করে শুরু করতে হবে।
সূত্র: মানবজমিন,৬/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment