নিজ বাড়িতে সহিংসতার শিকার নারী বা পুরুষেরা কর্মক্ষেত্রে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হন। নতুন কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যার শিকার ভুক্তভোগীদের প্রতি পাঁচজনের একজন কোনো না কোনোভাবে পারিবারিক সহিংসতার শিকার। অনাকাঙ্খিত টেলিফোন বা ই-মেইলের মাধ্যমেও তাঁরা বিরূপ আচরণের শিকার হয়ে থাকতে পারেন। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় এসব কথা বলা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত ওই গবেষণায় বলা হয়, পারিবারিক সহিংসতা নারী বা পুরুষের কর্মক্ষমতা যেমন কমিয়ে দেয়, তেমনি নিত্যদিনের কাজেও বিঘ্ন ঘটায়। এতে ভুক্তভোগীরা কর্মক্ষেত্রে বিষণ্নতায় ভোগেন কিংবা নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভাবেন। আর যেসব মা-বাবা এ ধরনের সহিংসতার মুখোমুখি হন, তাঁরা তাঁদের সন্তানদের প্রতিও দায়িত্বশীল বা যত্নবান হতে পারেন না।
গবেষকেরা প্রায় তিন হাজার ৬০০ ব্যক্তির ওপর ওই জরিপ চালান। জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের এক-তৃতীয়াংশই তাঁদের গৃহে কোনো না কোনোভাবে সহিংসতার শিকার হয়েছেন। আর অর্ধেক বলেছেন, সহিংসতার কারণে কর্মক্ষেত্রে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
জরিপে অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের ৮০ ভাগই নারী। তাঁদের তিন ভাগের দুই ভাগই চাকরিজীবি এবং বয়স ৪৫ বছরের বেশি।
নিউ সাউথ ওয়েলস বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম গবেষক লুডো ম্যাকফেরান বলেন, সহিংসতার শিকার হয়ে ঠিকভাবে কাজ করা ও অর্থনৈতিক উন্নতি করা খুব কষ্টসাধ্য। তিনি বলেন, এ গবেষণার উদ্দেশ্য পরিবারে সহিংসতার শিকার হওয়া ব্যক্তিদের সচেতন করা এবং কর্মক্ষেত্রে সহিংসতার প্রভাব কাটিয়ে উঠতে সহায়তা করা।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ০৯/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment