টেলিভিশনের একটা বড় প্রভাব কম-বেশি সবার জীবনেই আছে। আর এ প্রভাবটা আরও বেশি পড়ে টিনএজার বিশেষত কিশোরী ও তরুণীদের ওপর। আর যেসব কিশোরী যৌন আবেদনসম্পন্ন অনুষ্ঠান দেখতে আগ্রহী, তাদের জীবনে এই টেলিভিশনের প্রভাব হয় অনেক বড়। সিএনএনে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এ ধরনের অনুষ্ঠান কম দেখা
কিশোরী বা তরুণীদের তুলনায় বেশি দেখা কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বেশি। তিন বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আরএএনডি নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রথম এ ধরনের গবেষণা চালায়।
গবেষণা দলের প্রধান ও আরএএনডির আচরণ বিজ্ঞানী অনিতা চন্দ্রা বলেন, গণমাধ্যমে প্রদর্শিত যৌনতাবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে মা-বাবার উচিত কিশোর, কিশোরীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। চন্দ্রা বলেন, আমরা জানি কেউ যদি এক ঘণ্টারও বেশি সময় টিভি দেখে তাহলে প্রতি ১০ মিনিট পরপরই তাদের যৌনতার দৃশ্যগুলো দেখতে হয়। আর এ ধরনের দৃশ্য দেখতে দেখতেই তাদের মধ্যে নিষিদ্ধ বিষয়ে কৌতূহল জাগে। ফলে এক সময়ে ভুল পথে পা বাড়ায় তারা। এ থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে পারেন মা-বাবাই।
ভার্জিনিয়ার মেলোডি মনরো ১৭ বছর বয়সে প্রথম মা হন। তিনি বলেন, টিভিতে তিনি প্রায়ই এমন সব দৃশ্য দেখতেন যেগুলো ছিল প্রায় পর্নোগ্রাফির পর্যায়ের। বেডরুমের দৃশ্যও তাদের অহরহ দেখতে হতো। এসবের ফলেই যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ জাগে। তাঁর মতোই আর একজন হলেন অ্যারিজোনার স্যান্ডি টমিলসন। ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের মা হন। টমিলসন বলেন, ‘যদি মা-বাবার সঙ্গে আরেকটু ঘনিষ্ঠ থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো এ রকম ভুল পথে পা বাড়াতাম না।’
দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বেড়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছরের দুই হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষক চন্দ্রা বলেন, টিভির অনুষ্ঠানগুলো যৌন বিষয়ে ভরা থাকে। আর এ ধরনের অনুষ্ঠান কিশোরীদের ওপর প্রভাব ফেলে। তারা টিভিতে নিষিদ্ধ দৃশ্য দেখতে দেখতে এসব অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর ফলে তারা জড়িয়ে পড়ে একধরনের নিষিদ্ধ সম্পর্কে। যার পরিণামে আসে গর্ভধারণ। আর এ ধরনের ঘটনা আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোরীদের বেলাতেই বেশি ঘটে থাকে।
মোরেহাউস স্কুল অব মেডিসিন এবং সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইনের যৌন স্বাস্থ্য চিকিত্সা-বিষয়ক পরিচালক ইয়োলানদা উইমবারলি বলেন, মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের ধর্মীয়, নৈতিক সব ধরনের শিক্ষা দেন। কিন্তু যৌনতার বিষয়টি এড়িয়ে যান। ফলে বিপথে বা ভুল পথে চলে যায় কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু কিশোর বয়সে তাদেরকে যৌন শিক্ষা দেওয়া জরুরি। তাই কিশোর-কিশোরীদের বিপদ থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে মা-বাবাকেই। সব বিষয় নিয়েই তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
কিশোরী বা তরুণীদের তুলনায় বেশি দেখা কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বেশি। তিন বছর ধরে গবেষণা চালিয়ে এ তথ্য পাওয়া গেছে। আরএএনডি নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রথম এ ধরনের গবেষণা চালায়।
গবেষণা দলের প্রধান ও আরএএনডির আচরণ বিজ্ঞানী অনিতা চন্দ্রা বলেন, গণমাধ্যমে প্রদর্শিত যৌনতাবিষয়ক অনুষ্ঠানগুলো নিয়ে মা-বাবার উচিত কিশোর, কিশোরীদের সঙ্গে খোলামেলা আলোচনা করা। চন্দ্রা বলেন, আমরা জানি কেউ যদি এক ঘণ্টারও বেশি সময় টিভি দেখে তাহলে প্রতি ১০ মিনিট পরপরই তাদের যৌনতার দৃশ্যগুলো দেখতে হয়। আর এ ধরনের দৃশ্য দেখতে দেখতেই তাদের মধ্যে নিষিদ্ধ বিষয়ে কৌতূহল জাগে। ফলে এক সময়ে ভুল পথে পা বাড়ায় তারা। এ থেকে কিশোর-কিশোরীদের বাঁচাতে পারেন মা-বাবাই।
ভার্জিনিয়ার মেলোডি মনরো ১৭ বছর বয়সে প্রথম মা হন। তিনি বলেন, টিভিতে তিনি প্রায়ই এমন সব দৃশ্য দেখতেন যেগুলো ছিল প্রায় পর্নোগ্রাফির পর্যায়ের। বেডরুমের দৃশ্যও তাদের অহরহ দেখতে হতো। এসবের ফলেই যৌন সম্পর্কের প্রতি আগ্রহ জাগে। তাঁর মতোই আর একজন হলেন অ্যারিজোনার স্যান্ডি টমিলসন। ১৫ বছর বয়সে তিনি প্রথম সন্তানের মা হন। টমিলসন বলেন, ‘যদি মা-বাবার সঙ্গে আরেকটু ঘনিষ্ঠ থাকতে পারতাম তাহলে হয়তো এ রকম ভুল পথে পা বাড়াতাম না।’
দ্য ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ২০০৫ থেকে ২০০৬ সালে কিশোরীদের গর্ভধারণের হার বেড়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ১২ থেকে ১৭ বছরের দুই হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর গবেষণা চালানো হয়। গবেষক চন্দ্রা বলেন, টিভির অনুষ্ঠানগুলো যৌন বিষয়ে ভরা থাকে। আর এ ধরনের অনুষ্ঠান কিশোরীদের ওপর প্রভাব ফেলে। তারা টিভিতে নিষিদ্ধ দৃশ্য দেখতে দেখতে এসব অনুষ্ঠানের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠে। এর ফলে তারা জড়িয়ে পড়ে একধরনের নিষিদ্ধ সম্পর্কে। যার পরিণামে আসে গর্ভধারণ। আর এ ধরনের ঘটনা আফ্রিকার বংশোদ্ভূত মার্কিন কিশোরীদের বেলাতেই বেশি ঘটে থাকে।
মোরেহাউস স্কুল অব মেডিসিন এবং সেন্টার ফর এক্সিলেন্স ইনের যৌন স্বাস্থ্য চিকিত্সা-বিষয়ক পরিচালক ইয়োলানদা উইমবারলি বলেন, মা-বাবা তাঁদের সন্তানদের ধর্মীয়, নৈতিক সব ধরনের শিক্ষা দেন। কিন্তু যৌনতার বিষয়টি এড়িয়ে যান। ফলে বিপথে বা ভুল পথে চলে যায় কিশোর-কিশোরীরা। কিন্তু কিশোর বয়সে তাদেরকে যৌন শিক্ষা দেওয়া জরুরি। তাই কিশোর-কিশোরীদের বিপদ থেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসতে হবে মা-বাবাকেই। সব বিষয় নিয়েই তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।
No comments:
Post a Comment