Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Saturday, December 17, 2011

ম্যানিং: নায়ক না খলনায়ক? (ভিডিও)



সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসে যুক্তরাষ্ট্রের স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁসের অভিযোগে যখন প্রাইভেট ব্রাডলি ম্যানিং অভিযুক্ত হন, তখন তাঁর বয়স ২২ বছর। ম্যানিং যুক্তরাষ্ট্রেরই একজন সেনা। মার্কিন সাম্রাজ্যের স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করার অভিযোগে ম্যানিং এখন নির্জন কারাগারে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। ১৮ মাস ধরে দুর্বিষহ এই জীবন কাটাচ্ছেন ম্যানিং। গতকাল শুক্রবার সামরিক আদালতে বিচারও শুরু হয়েছে তাঁর। অভিযোগ প্রমাণ হলে ম্যানিংকে হয়তো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
ম্যানিং এখন দিন কাটাচ্ছেন সামরিক আদালতে সুবিচারের প্রত্যাশায়। অবশ্য সামরিক আদালতে ম্যানিং কতটা সুবিচার পাবেন, সেটিও প্রশ্নবিদ্ধ নানা কারণে। ইরাক ও আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা অভিযান চালানোর সময় ম্যানিং যদি তাঁর অন্য সহকর্মীদের মতো আফগান নাগরিকদের কুখ্যাত অপরাধী ভাবতেন, নিরস্ত্র মানুষের ওপর হত্যাযজ্ঞ চালাতেন, তাহলে হয়তো এমনটা হতো না। ম্যানিং আরাম-আয়েশেই জীবনটা কাটাতে পারতেন। পেশাগত সাফল্যও আসত। ম্যানিং যদি অন্য মার্কিন সেনাদের মতো হামলায় নিহত আফগান ও ইরাকি নাগরিকদের লাশ নিয়ে ছবি তুলতে পারতেন, যদি যুদ্ধাপরাধ করতে তাঁর বিবেকে নাড়া না দিত, তাহলে হয়তো আজ নির্জন কারাবাসে তাঁর জীবন কাটত না। কিন্তু ম্যানিং এসবের কোনোটাই করেননি। আর সেটাই তাঁর অপরাধ। অভিযোগ রয়েছে, ম্যানিং ২০০৭ সালে বাগদাদে চালানো মার্কিন বিমান হামলার স্পর্শকাতর ভিডিওচিত্র ডাউনলোড করে সেগুলো ছড়িয়ে দিয়েছেন। একইভাবে ম্যানিং ২০০৯ সালে ইয়েমেনে চালানো মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার ভিডিওচিত্র ডাউনলোড করে সেগুলো ছড়িয়ে দেন। অভিযোগ রয়েছে, এগুলো সবই ম্যানিং করেছেন অবৈধভাবে। আর তাই যুক্তরাষ্ট্র তাঁকে শিক্ষা দিতে চায়।
অনলাইনে চ্যাটিং করার সময় ম্যানিং একবার লিখেছিলেন, ‘মিথ্যা সুখের চেয়ে আমি কষ্টকর সত্যকে বেছে নিতে চাই।’ আর বাস্তবজীবনে তিনি তা-ই করেছেন। উত্তর আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের চালানো গণহত্যা ও শিশুদের ধর্ষণের স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস করে ম্যানিং তাঁর পেশাগত জীবনকে ঝুঁকির মুখে ফেলেছেন।
তবে ম্যানিং একেবারে একা নন। এসব কর্মকাণ্ডের জন্য খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই ম্যানিংয়ের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন অনেকে। ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার পদ থেকে পদত্যাগ করেন কর্নেল অ্যান রাইট। তিনি বলেছেন, ওবামা প্রশাসন ম্যানিংয়ের সঙ্গে যা করেছে, সেটি আইনের লঙ্ঘন। তাঁর সঙ্গে গুয়ানতানামো কারাগারের বন্দীদের মতো আচরণ করা হচ্ছে। ম্যানিংয়ের পক্ষে সোচ্চার হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার সংগঠনগুলোও। মেরিল্যান্ডের ফোর্ট মিডে তাঁর মামলার শুনানি চলছে। ম্যানিংয়ের সুবিচার করার জন্য তারা ফোর্ট মিডের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত মার্কিন সামরিক আদালতে ম্যানিং কতটা সুবিচার পাবেন, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। আল জাজিরা অবলম্বনে।
সূত্র : প্রথম আলো.কম , ১৭/১২/২০১১

No comments:

Post a Comment