সরকারি চাকরির বয়সসীমা দুই বছর বাড়ছে। দেশে মানুষের গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় সরকার চাকরির বয়স বাড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সব প্রক্রিয়া শেষ করে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছরে উন্নীত হবে।
জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। এটা সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বর্তমান সরকারের এবারের বিজয় দিবসের উপহার।
এইচ টি ইমাম বলেন, বিষয়টি আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। চলতি ডিসেম্বর মাসেই সরকার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে অনুমোদন করেন। এই বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনায় আছে। চাকরিজীবীদের বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে কোনো পক্ষ থেকে সরকারের ওপর প্রকাশ্য কোনো চাপ ছিল না।
সরকারি চাকুরেদের চাকরির বয়স বাড়ানোর ভালোমন্দ দুই দিকই আছে বলে মনে করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আকবর আলি খান। তিনি গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়ে গেছে, স্বাস্থ্য-পরিস্থিতিও ভালো হয়েছে। তাই মানুষের পক্ষে দীর্ঘ সময় কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে চাকরির বয়স বাড়ানোর নেতিবাচক দিকও আছে। আকবর আলি খান বলেন, এই সিদ্ধান্তে কিছু সময়ের জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টি কমে যাবে। স্কিলমিক্সডও (দক্ষতার মিশ্রণ) কঠিন হবে। একজন টাইপিস্ট, বর্তমান ব্যবস্থায় যাঁর কাজের সুযোগ অনেকটা কম। তিনি অবসরে গেলে সরকার তাঁর জায়গায় একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করতে পারত। এটি এখন কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এ সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর। ১৯৭৪ সালে যখন এই আইন হয়, তখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ২ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৬৭ বছর। গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় সরকার চাকরির বয়সসীমাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
জনপ্রশাসনসচিব আবদুস সোবহান সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর। কেবল বাংলাদেশেই ৫৭ বছর। এখন কাজ করার মতো সক্ষমতা ও পরিপূর্ণতা থাকতেই একজন কর্মকর্তাকে অবসরে যেতে হয়। কিন্তু বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬৫ বছর। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিকও।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ আছে। তবে আমার কাছে বিষয়টি এখনো আসেনি।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করবে। এরপর এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে সরকার অধ্যাদেশ জারি করবে এবং পরে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তা অনুমোদন করা হবে।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ১৭/১২/২০১১
জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, সরকারি চাকরির বয়স দুই বছর বাড়ানোর বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন করেছেন। এটা সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বর্তমান সরকারের এবারের বিজয় দিবসের উপহার।
এইচ টি ইমাম বলেন, বিষয়টি আগামী সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপনের প্রস্তুতি চলছে। চলতি ডিসেম্বর মাসেই সরকার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে চায়।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ।
সরকারের নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী ও তাঁর উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকে সরকারি চাকরির বয়স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে অনুমোদন করেন। এই বয়স বাড়ানোর বিষয়টি বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনায় আছে। চাকরিজীবীদের বিভিন্ন পেশাগত সংগঠনও বিভিন্ন সময়ে এ বিষয়ে দাবি জানিয়ে আসছিল। তবে সাম্প্রতিক সময়ে এ নিয়ে কোনো পক্ষ থেকে সরকারের ওপর প্রকাশ্য কোনো চাপ ছিল না।
সরকারি চাকুরেদের চাকরির বয়স বাড়ানোর ভালোমন্দ দুই দিকই আছে বলে মনে করেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক সচিব আকবর আলি খান। তিনি গত রাতে প্রথম আলোকে বলেন, মানুষের গড় আয়ু বেড়ে গেছে, স্বাস্থ্য-পরিস্থিতিও ভালো হয়েছে। তাই মানুষের পক্ষে দীর্ঘ সময় কাজ করার সুযোগ তৈরি হয়েছে।
তবে চাকরির বয়স বাড়ানোর নেতিবাচক দিকও আছে। আকবর আলি খান বলেন, এই সিদ্ধান্তে কিছু সময়ের জন্য নতুন চাকরি সৃষ্টি কমে যাবে। স্কিলমিক্সডও (দক্ষতার মিশ্রণ) কঠিন হবে। একজন টাইপিস্ট, বর্তমান ব্যবস্থায় যাঁর কাজের সুযোগ অনেকটা কম। তিনি অবসরে গেলে সরকার তাঁর জায়গায় একজন কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগ করতে পারত। এটি এখন কিছু সময়ের জন্য পিছিয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, পাবলিক সার্ভেন্ট রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট, ১৯৭৪-এ সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়স ৫৭ বছর। ১৯৭৪ সালে যখন এই আইন হয়, তখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৪৬ দশমিক ২ বছর। বর্তমানে গড় আয়ু ৬৭ বছর। গড় আয়ু বেড়ে যাওয়ায় সরকার চাকরির বয়সসীমাও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
জনপ্রশাসনসচিব আবদুস সোবহান সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও পাকিস্তানে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা ৬০ বছর। কেবল বাংলাদেশেই ৫৭ বছর। এখন কাজ করার মতো সক্ষমতা ও পরিপূর্ণতা থাকতেই একজন কর্মকর্তাকে অবসরে যেতে হয়। কিন্তু বিচারপতিদের অবসরের বয়স ৬৭ বছর এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ৬৫ বছর। তাই সরকারি চাকরিজীবীদের বয়স বাড়ানোর বিষয়টি যৌক্তিকও।
জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া প্রথম আলোকে বলেন, ‘চাকরির বয়সসীমা বাড়ানোর ব্যাপারে উদ্যোগ আছে। তবে আমার কাছে বিষয়টি এখনো আসেনি।’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, নিয়মানুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর নীতিগত অনুমোদনের পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করবে। এরপর এটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হবে। মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত হলে সরকার অধ্যাদেশ জারি করবে এবং পরে জাতীয় সংসদের পরবর্তী অধিবেশনে তা অনুমোদন করা হবে।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ১৭/১২/২০১১
No comments:
Post a Comment