পৃথিবীর একমাত্র প্রাকৃতিক উপগ্রহ চাঁদের মতো আরও অনেক চাঁদ মহাশূন্যের বিভিন্ন নক্ষত্রজগতে থাকতে পারে বলে অভিমত দিচ্ছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এরই মধ্যে বিভিন্ন নক্ষত্রে পৃথিবী-সদৃশ অনেক গ্রহ আবিষ্কৃত হয়েছে। অনেক গ্রহে পানির খোঁজও পাওয়া গেছে। সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের জুরিখ বিশ্ববিদ্যালয় এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলরাডো বিশ্ব-বিদ্যালয়ের গবেষকদের পরিচালিত কম্পিউটার সিমুলেশন পরীক্ষায় প্রমাণিত হয়েছে, আমাদের গ্যালাক্সির পৃথিবী-সদৃশ্য শিলাময় গ্রহগুলোর প্রতি ১০টির অন্তত একটিতে আমাদের চাঁদের মতো চাঁদ থাকতে পারে। আদি মহাজাগতিক গ্যাসপুঞ্জ থেকে ঘনীভূত ও সংকোচনের মাধ্যমে গ্রহ গঠন প্রক্রিয়া বিশ্লেষণে এমন তথ্যই বেরিয়ে এসেছে। আধুনিক
তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর একেবারে প্রাথমিক যুগে মঙ্গল গ্রহের সমান একটি গ্রহ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পাথর ও ধূলিমেঘরূপে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করছিল। কালক্রমে সেই পাথরকণা ধূলিমেঘ সংকুচিত ও ঘনীভূত হয়ে উপগ্রহ চাঁদের আকৃতি নেয়। সেই হিসেবে বিভিন্ন নক্ষত্রে গ্রহ গঠনকালে কোনো কোনো গ্রহে এভাবে উপগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। সব উপগ্রহই ঠিক পৃথিবীর চাঁদের সমান তা বলা যাবে না। চাঁদের সমান বা এর অর্ধেক আকৃতির উপগ্রহ গঠিত হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন, এ ধরনের গ্রহ বা গ্রহমণ্ডলী যেসব নক্ষত্রে পাওয়া যাবে সেখানে পৃথিবী-সদৃশ্য প্রাণ উপযোগী পরিবেশ থাকাই স্বাভাবিক। তবে কোনো গ্রহের চাঁদের মতো বড় আকৃতির উপগ্রহ থাকাকে সেসব গ্রহে প্রাণ উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাকে জোরালো করে। যেমন পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীর অক্ষ সমতলকে এমনভাবে টেনে রেখেছে, যাতে এর অক্ষদণ্ড হেলে থাকে সাড়ে তেইশ ডিগ্রি কোণে। সে কারণে সূর্যকিরণ ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন কৌণিক অবস্থানে পতিত হয়ে ঋতু পরিবর্তন ঘটায়। পৃথিবীর বর্তমান যে পরিবেশ তা অক্ষুণ্ন রাখার পেছনে চাঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আর চাঁদ যদি আরও ছোট হতো তাহলে এমনটি হতো না বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। এ বিষয়টি নিয়েই সিমুলেশন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যেসব নক্ষত্রের গ্রহে চাঁদের সমান উপগ্রহ রয়েছে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব বলে জোর গলায় বলছেন।
সূত্র: আমার দেশ.কম
তথ্য অনুযায়ী পৃথিবীর একেবারে প্রাথমিক যুগে মঙ্গল গ্রহের সমান একটি গ্রহ পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে পাথর ও ধূলিমেঘরূপে পৃথিবীর চারপাশে প্রদক্ষিণ করছিল। কালক্রমে সেই পাথরকণা ধূলিমেঘ সংকুচিত ও ঘনীভূত হয়ে উপগ্রহ চাঁদের আকৃতি নেয়। সেই হিসেবে বিভিন্ন নক্ষত্রে গ্রহ গঠনকালে কোনো কোনো গ্রহে এভাবে উপগ্রহের সৃষ্টি হয়েছে। সব উপগ্রহই ঠিক পৃথিবীর চাঁদের সমান তা বলা যাবে না। চাঁদের সমান বা এর অর্ধেক আকৃতির উপগ্রহ গঠিত হতে পারে। তবে বিজ্ঞানীরা একটা ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছেন, এ ধরনের গ্রহ বা গ্রহমণ্ডলী যেসব নক্ষত্রে পাওয়া যাবে সেখানে পৃথিবী-সদৃশ্য প্রাণ উপযোগী পরিবেশ থাকাই স্বাভাবিক। তবে কোনো গ্রহের চাঁদের মতো বড় আকৃতির উপগ্রহ থাকাকে সেসব গ্রহে প্রাণ উপযোগী পরিবেশ থাকার সম্ভাবনাকে জোরালো করে। যেমন পৃথিবীর একমাত্র উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীর অক্ষ সমতলকে এমনভাবে টেনে রেখেছে, যাতে এর অক্ষদণ্ড হেলে থাকে সাড়ে তেইশ ডিগ্রি কোণে। সে কারণে সূর্যকিরণ ভূপৃষ্ঠে বিভিন্ন কৌণিক অবস্থানে পতিত হয়ে ঋতু পরিবর্তন ঘটায়। পৃথিবীর বর্তমান যে পরিবেশ তা অক্ষুণ্ন রাখার পেছনে চাঁদের বিরাট ভূমিকা রয়েছে। আর চাঁদ যদি আরও ছোট হতো তাহলে এমনটি হতো না বলে বিজ্ঞানীদের ধারণা। এ বিষয়টি নিয়েই সিমুলেশন গবেষণায় বিজ্ঞানীরা যেসব নক্ষত্রের গ্রহে চাঁদের সমান উপগ্রহ রয়েছে সেখানে প্রাণের অস্তিত্ব সম্ভব বলে জোর গলায় বলছেন।
সূত্র: আমার দেশ.কম
No comments:
Post a Comment