অন্ধকারে মোমের বাতি জ্বালালে উজ্জ্বল শিখায় আলোকিত হয় চারপাশ। মোমের শিখার এই ঔজ্জ্বলতার মধ্যেও রহস্য রয়েছে। আর সে রহস্যটিই খুঁজে বের করেছেন বলে দাবি করেছেন স্কটল্যান্ডের গবেষকরা। গবেষকদের মতে, মোমবাতির শিখায় রয়েছে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র হীরার কণা যা আলোর সৃষ্টি করে। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া-এর।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, স্কটল্যান্ডের গবেষকরা মোমের শিখা থেকে হীরার কণা আলাদা করতে সক্ষম হয়েছেন। গবেষকদের দাবি, প্রতিটি মোমের শিখা সেকেন্ডে লক্ষ লক্ষ হীরার কণা পুড়িয়ে আলো দিচ্ছে। যা প্রতি সেকেন্ডের হিসেবে ১৫ লাখ পর্যন্ত হতে পারে।
সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ইউনিভার্সিটি অফ সেন্ট অ্যান্ড্রুজ-এর গবেষক ড. উজং জু মোমবাতির শিখায় হীরা খুঁজে পাবার দাবি করেছেন।
গবেষক উজং জু জানিয়েছেন, ‘এক বন্ধুর সঙ্গে তর্ক করতে গিয়েই এ আবিষ্কার করে ফেলেছি আমি। মোমবাতির শিখা কিভাবে তৈরি হয় এটাই ছিলো তর্কের বিষয়। আমার বিশ্বাস হচ্ছে বিজ্ঞান সবকিছুরই ব্যাখা করতে পারে।’
জু এবং তার সহকর্মী জিক্সুর দাবি, মোমবাতির শিখাতে কার্বনের চারটি রূপই রয়েছে। তবে, শিখার কেন্দ্রের যে সবচেয়ে উজ্জ্বল অংশটি দৃষ্টিগোচর হয় সেটিই হীরার। সেখান থেকেই হীরা আহরণের পদ্ধতি উদ্ভাবন করা সম্ভব হয়েছে।
জু বলেছেন, মোমাবাতির শিখায় কার্বনের চারটি রূপ খুঁজে পাওয়া আশ্চর্যের বিষয়ই বটে। কারণ সাধারণত একেকটি রূপ তৈরি হয় একেক ধরনের পরিবেশে।’
From:বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম
No comments:
Post a Comment