যুক্তরাষ্ট্রের ব্যুরো অফ লেবার'র পরিসংখ্য এ ধারণা দিয়েছে।
ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী, ব্যক্তি মালিকানার খনিতে কাজের সময় গুরুতর আহতের হার ৭৪ শতাংশ বেড়ে ২০১০ সালে ১৭২ জনে দাঁড়িয়েছে। ২০০৯ সালে এব খনিতে আহত হয়েছিল ৯৯ জন।
মেক্সিকো উপসাগরে গত বছর এপ্রিলে তেল খনি বিস্ফোরিত হয়ে ১১
জন শ্রমিক নিহত হয়, যা মহাসাগরে সবচেয়ে বড় বিপর্যয়ের একটি বলে চিহ্নিত। এছাড়া একই মাসে মেসি এনার্জি কোম্পানির ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার একটি কয়লা খনি বিস্ফোরণে ২৯ জন শ্রমিক নিহত হয়।
এ দুটি দুর্ঘটনা ২০১০ সালে খনি শ্রমিকদের ঝুঁকির হার আরো বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে পুলিশের দায়িত্ব পালনকালে নিহতের ঘটনাও শতকরা ৪০ শতাংশ বেড়েছে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ৯৬ হলেও এক বছর পর এ সংখ্যা ছিলো ১৩৪।
২০১০ সালে যে পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন এদের মধ্যে ৫৭ জন মারা গেছেন দুর্ঘটনায়, ৪৮ জন হয়েছেন হত্যাকাণ্ডের শিকার। ওই বছর বিভিন্ন কারণে আহত পুলিশের সংখ্যা ৪ হাজার ৫৪৭ জন।
ব্যুরো অফ লেবার জানায়, ২০১০ সালটি ভালো না গেলেও সার্বিকভাবে শ্রমিকদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে অগ্রগতি হচ্ছে। কর্মক্ষেত্রে বিভিন্ন দুর্ঘটনায় হতাহতের সংখ্যা ২০১০ সালে আগের বছরের চেয়ে কমেছে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিলো ৪ হাজার ৫৫১, ২০১০ সালে তা ছিলো ৪ হাজার ৫৪৭।
কর্মক্ষেত্রে প্রতি বছর প্রায় ১৪ হাজার লোক নিহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে ১৯৭০ সালে পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য আইন পাস হয় যুক্তরাষ্ট্রে।
বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ১২ জন শ্রমিক কর্মক্ষেত্রে মারা যায় জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের শ্রমমন্ত্রী হিল্ডা সোলিস বলেন, "কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তা সার্বিক সমতার জন্য জরুরি, আর তাই এ বিষয়টিকে আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি।"
From:বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
No comments:
Post a Comment