মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য এবার অভিন্ন প্রশ্নপত্রে সারা দেশে একযোগে নেওয়া হবে নির্বাচনী পরীক্ষা। ফলে সংশ্লিষ্ট সবাই এ নির্বাচনী পরীক্ষাকে আরেক এসএসসি পরীক্ষা হিসেবেই গণ্য করছে।
আগামী ১০ অক্টোবর সারা দেশে এ পরীক্ষা শুরু হবে। এতে অংশ নেবে প্রায় ১৭ লাখ পরীক্ষার্থী। ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে অভিন্ন প্রশ্নে ২১টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে একই সময়ে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ফলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। সম্প্রতি আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল আ্যন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) মঞ্জু আরা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ায় ছেলেমেয়েদের জন্য ভালোই হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের এসএসসির ব্যবহারিক হয়ে যাবে। ফলে এসএসসি পরীক্ষার ভীতি কাটবে। তারা বুঝতে পারবে কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে। সবশেষে এসএসসি পরীক্ষা তাদের কাছে সহজ মনে হবে।'
সংশ্লিষ্ট সবাই বলছে, এবারই প্রথমবারের মতো এসএসসির আদলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নির্বাচনী পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হারে পরীক্ষার ফি হিসেবে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বোর্ড ফি এবং বাকি ১০০ টাকা পরীক্ষার অন্যান্য ফি। এর বেশি টাকা নিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সামাজিক প্রেক্ষাপটে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কম টাকা নেওয়া যাবে। জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী বছরের এসএসসিতে প্রথমবারের মতো ২১টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফাইনাল পরীক্ষায় একসঙ্গে এত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষার্থীরা যাতে ঘাবড়ে না যায়, সেই জন্য দেশব্যাপী অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে পরীক্ষা শুরুর তারিখ ও রুটিন তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়ে গেছে প্রশ্নপত্রও। প্রশ্নপত্রগুলো পরীক্ষার আগের দিন এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিবদের নামে পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্রসচিবের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করবেন। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষায় বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি অর্থ নেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে বছর বাংলা ও ধর্ম বিষয়ে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। এর পরের বছর এ দুটি বিষয়ের সঙ্গে বিভাগওয়ারি আরো একটি করে বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে নেওয়া হয় পরীক্ষা। চলতি বছর বাংলা ও ধর্ম বিষয় ছাড়া বিভাগওয়ারি আরো দুটি করে বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আগামী বছর সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে ২১টি বিষয়ের ওপর। সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি দিলে পরীক্ষার্থীরা ঘাবড়ে যায়। এরই মধ্যে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এসএসসির মতোই নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত এ পরীক্ষা নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে দক্ষ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষায় খারাপ প্রভাব পড়বে না।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার সূত্র মতে, আগামী অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাঁচ লাখ, রাজশাহী বোর্ডে দুই লাখ, চট্টগ্রাম বোর্ডে এক লাখ ৬০ হাজার, কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ৩০ হাজার, যশোর বোর্ডে এক লাখ ৯৭ হাজার, সিলেট বোর্ডে এক লাখ ১০ হাজার, বরিশাল বোর্ডে ৯০ হাজার, দিনাজপুর বোর্ডে এক লাখ ৯৮ হাজার ও মাদ্রাসা বোর্ডে চার লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে।
বোর্ড সূত্রে আরো জানা যায়, পরীক্ষার সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সূচিতে বলা হয়েছে ২১টি বিষয়ের মধ্যে মাত্র তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা বিকেলে নেওয়া হবে। সকালের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং বিকেলের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টায়। সকালে পরীক্ষার সময়সূচি হলো ১০ অক্টোবর বাংলা, ১১ অক্টোবর ধর্ম (ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট), ১২ অক্টোবর সাধারণ ও সামাজিক বিজ্ঞান, ১৩ অক্টোবর রসায়ন, পৌরনীতি ও ব্যবসায় উদ্যোগ, ১৫ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞান, ইতিহাস, ব্যবসায় পরিচিতি, ১৬ অক্টোবর জীববিজ্ঞান ও অর্থনীতি, ১৭ অক্টোবর হিসাববিজ্ঞান এবং ১৮ অক্টোবর কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি। বিকেলে পরীক্ষার সময়সূচি হলো ১৭ অক্টোবর ভূগোল ও বাণিজ্যিক ভূগোল এবং ১৮ অক্টোবর কম্পিউটার শিক্ষা।
সূত্র:কালেরকণ্ঠ, ১২/০৮/২০১১
আগামী ১০ অক্টোবর সারা দেশে এ পরীক্ষা শুরু হবে। এতে অংশ নেবে প্রায় ১৭ লাখ পরীক্ষার্থী। ২০১২ সালের এসএসসি পরীক্ষা সামনে রেখে অভিন্ন প্রশ্নে ২১টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে একই সময়ে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তবে ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে না। ফলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এ দুটি বিষয়ের পরীক্ষা হবে না। সম্প্রতি আন্তশিক্ষা বোর্ডের এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে সরকারের এ পরিকল্পনাকে স্বাগত জানিয়েছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানরা। ভিকারুননিসা নূন স্কুল আ্যন্ড কলেজের অধ্যক্ষ (চলতি দায়িত্ব) মঞ্জু আরা বেগম কালের কণ্ঠকে বলেন, 'অভিন্ন প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা হওয়ায় ছেলেমেয়েদের জন্য ভালোই হবে। এতে পরীক্ষার্থীদের এসএসসির ব্যবহারিক হয়ে যাবে। ফলে এসএসসি পরীক্ষার ভীতি কাটবে। তারা বুঝতে পারবে কোথায় কোথায় ঘাটতি আছে। সবশেষে এসএসসি পরীক্ষা তাদের কাছে সহজ মনে হবে।'
সংশ্লিষ্ট সবাই বলছে, এবারই প্রথমবারের মতো এসএসসির আদলে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নির্বাচনী পরীক্ষা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা হারে পরীক্ষার ফি হিসেবে নেওয়া যাবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বোর্ড ফি এবং বাকি ১০০ টাকা পরীক্ষার অন্যান্য ফি। এর বেশি টাকা নিলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সামাজিক প্রেক্ষাপটে আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কম টাকা নেওয়া যাবে। জানতে চাইলে আন্তশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন কালের কণ্ঠকে বলেন, আগামী বছরের এসএসসিতে প্রথমবারের মতো ২১টি বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে। ফাইনাল পরীক্ষায় একসঙ্গে এত বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রশ্নপত্র দেখে পরীক্ষার্থীরা যাতে ঘাবড়ে না যায়, সেই জন্য দেশব্যাপী অভিন্ন প্রশ্নপত্রে নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, এরই মধ্যে পরীক্ষা শুরুর তারিখ ও রুটিন তৈরি হয়েছে। তৈরি হয়ে গেছে প্রশ্নপত্রও। প্রশ্নপত্রগুলো পরীক্ষার আগের দিন এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রসচিবদের নামে পাঠানো হবে। পরীক্ষার দিন সকালে কেন্দ্রসচিবের কাছ থেকে সংশ্লিষ্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করবেন। তিনি আরো বলেন, পরীক্ষায় বোর্ড নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি অর্থ নেওয়া হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো সৃজনশীল পদ্ধতিতে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হয়। সে বছর বাংলা ও ধর্ম বিষয়ে এ পদ্ধতিতে পরীক্ষা হয়। এর পরের বছর এ দুটি বিষয়ের সঙ্গে বিভাগওয়ারি আরো একটি করে বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে নেওয়া হয় পরীক্ষা। চলতি বছর বাংলা ও ধর্ম বিষয় ছাড়া বিভাগওয়ারি আরো দুটি করে বিষয়ে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হয়। আগামী বছর সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে ২১টি বিষয়ের ওপর। সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রতি বিষয়ে ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় ৬০ নম্বর লিখিত এবং ৪০ নম্বর বহু নির্বাচনী প্রশ্ন থাকবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এসএসসি পরীক্ষায় সৃজনশীল পদ্ধতি দিলে পরীক্ষার্থীরা ঘাবড়ে যায়। এরই মধ্যে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে এসএসসির মতোই নির্বাচনী পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বোর্ড চেয়ারম্যানরা। তাঁরা বলছেন, অতিরিক্ত এ পরীক্ষা নেওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে দক্ষ হয়ে উঠবে। এ ছাড়া এসএসসি পরীক্ষায় খারাপ প্রভাব পড়বে না।
ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা শাখার সূত্র মতে, আগামী অক্টোবরে নির্বাচনী পরীক্ষায় প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এর মধ্যে ঢাকা বোর্ডে পাঁচ লাখ, রাজশাহী বোর্ডে দুই লাখ, চট্টগ্রাম বোর্ডে এক লাখ ৬০ হাজার, কুমিল্লা বোর্ডে দুই লাখ ৩০ হাজার, যশোর বোর্ডে এক লাখ ৯৭ হাজার, সিলেট বোর্ডে এক লাখ ১০ হাজার, বরিশাল বোর্ডে ৯০ হাজার, দিনাজপুর বোর্ডে এক লাখ ৯৮ হাজার ও মাদ্রাসা বোর্ডে চার লাখ পরীক্ষার্থী রয়েছে।
বোর্ড সূত্রে আরো জানা যায়, পরীক্ষার সময়সূচি প্রণয়ন করা হয়েছে। এ সূচিতে বলা হয়েছে ২১টি বিষয়ের মধ্যে মাত্র তিনটি বিষয়ের পরীক্ষা বিকেলে নেওয়া হবে। সকালের পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায় এবং বিকেলের পরীক্ষা শুরু হবে দুপুর ২টায়। সকালে পরীক্ষার সময়সূচি হলো ১০ অক্টোবর বাংলা, ১১ অক্টোবর ধর্ম (ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্ট), ১২ অক্টোবর সাধারণ ও সামাজিক বিজ্ঞান, ১৩ অক্টোবর রসায়ন, পৌরনীতি ও ব্যবসায় উদ্যোগ, ১৫ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞান, ইতিহাস, ব্যবসায় পরিচিতি, ১৬ অক্টোবর জীববিজ্ঞান ও অর্থনীতি, ১৭ অক্টোবর হিসাববিজ্ঞান এবং ১৮ অক্টোবর কৃষি শিক্ষা ও গার্হস্থ্য অর্থনীতি। বিকেলে পরীক্ষার সময়সূচি হলো ১৭ অক্টোবর ভূগোল ও বাণিজ্যিক ভূগোল এবং ১৮ অক্টোবর কম্পিউটার শিক্ষা।
সূত্র:কালেরকণ্ঠ, ১২/০৮/২০১১
No comments:
Post a Comment