দেশের সব বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরি বিদ্যালয়কে নিবন্ধনের আওতায় আনা হচ্ছে। এ জন্য সরকার একটি বিধিমালা চূড়ান্ত করেছে। এর আওতায় সব কিন্ডারগার্টেনের জন্য নিবন্ধন বাধ্যতামূলক হচ্ছে।
বিধিমালাটি গেজেট আকারে ছাপার জন্য ১৪ আগস্ট ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের জন্য এলাকাভেদে আলাদা পরিমাণ টাকা, ভবন ও সংরক্ষিত তহবিলসহ বেশকিছু শর্তের বিধান রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলো ইচ্ছামতো কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে চাই। সে জন্যই নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, গেজেট প্রকাশের পর নিজ থেকেই বিদ্যালয়গুলো নিবন্ধন করে ফেললে ভালো; না হলে আলোচনা করে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হবে।
বর্তমানে সারা দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অগণিত কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। নিবন্ধন না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা কারও জানা নেই। তাদের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব কিন্ডারগার্টেনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছিল। এবার বিধিমালা করে সেই কাজটি করতে যাচ্ছে সরকার।
সরকারি সূত্র জানায়, বিধিমালা অনুযায়ী ‘বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০১১’ অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের গড় অনুপাত হবে ৩০: ১। এর বেশি হলে অনুমতি নিয়ে শাখা খুলতে হবে।
মহানগর ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, জেলা সদরের জন্য তিন হাজার ও উপজেলাসহ অন্যান্য এলাকার জন্য দুই হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
এরপর সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালক বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মতামতসহ আবেদনপত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অনুমতির প্রাথমিক সনদ দেওয়া হবে। এর মেয়াদ হবে এক বছর। প্রাথমিক অনুমোদনের পর নির্ধারিত সব শর্ত মেনে আবেদন করার পর তা যাচাই-বাছাই করে তিন বছরের জন্য অস্থায়ী এবং এরপর পাঁচ বছরের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। পাঁচ বছর শেষ হলে আবার পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করতে হবে। এ জন্য এলাকাভেদে আলাদা ফি দিতে হবে।
বিধিমালায় কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ঢাকা মহানগর এলাকায় বিদ্যালয়ের জন্য কমপক্ষে আট শতাংশ, পৌর এলাকায় ১২ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকার জন্য কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জমি লাগবে। এটি ভাড়া বা নিজস্ব জমি হতে পারে। তবে ন্যূনতম তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ভবন এবং কমপক্ষে ছয়টি কক্ষ থাকতে হবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ের জন্য একটি সংরক্ষিত ও একটি সাধারণ তহবিল থাকবে। সংরক্ষিত তহবিলে এলাকাভেদে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র আকারে বা কোনো তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখতে হবে। এর মধ্যে মহানগর এলাকার জন্য এক লাখ, জেলা সদরের জন্য ৭৫ হাজার, উপজেলা সদর ও পৌরসভার জন্য ৫০ হাজার ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে।
ব্যক্তি নামে প্রতিষ্ঠান করতে চাইলে উদ্যোক্তাকে বিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত হিসেবে সংরক্ষিত তহবিলে তিন লাখ টাকা জমা রাখতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি রাখার কথাও বিধিমালায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ধারণ করবে ওই কমিটি। শিক্ষার গুণগত মান ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে
কমিটিকে শিক্ষার্থীদের বেতন ও অন্যান্য ফি ঠিক করতে হবে।
সূত্র:প্রথমআলো.কম, 23.08.2011
বিধিমালাটি গেজেট আকারে ছাপার জন্য ১৪ আগস্ট ছাপাখানায় পাঠানো হয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের নিবন্ধনের জন্য এলাকাভেদে আলাদা পরিমাণ টাকা, ভবন ও সংরক্ষিত তহবিলসহ বেশকিছু শর্তের বিধান রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোতাহার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয়গুলো ইচ্ছামতো কার্যক্রম চালাচ্ছে। আমরা এগুলোকে নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে চাই। সে জন্যই নিবন্ধনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’
সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্র জানায়, গেজেট প্রকাশের পর নিজ থেকেই বিদ্যালয়গুলো নিবন্ধন করে ফেললে ভালো; না হলে আলোচনা করে একটা সময় বেঁধে দেওয়া হবে।
বর্তমানে সারা দেশে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে অগণিত কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় গড়ে উঠেছে। নিবন্ধন না থাকায় এসব প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত সংখ্যা কারও জানা নেই। তাদের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসব কিন্ডারগার্টেনকে নিবন্ধনের আওতায় আনার কথা বলা হচ্ছিল। এবার বিধিমালা করে সেই কাজটি করতে যাচ্ছে সরকার।
সরকারি সূত্র জানায়, বিধিমালা অনুযায়ী ‘বেসরকারি প্রাথমিক (বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যম) বিদ্যালয় নিবন্ধন বিধিমালা-২০১১’ অনুযায়ী বিদ্যালয়গুলোর শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের গড় অনুপাত হবে ৩০: ১। এর বেশি হলে অনুমতি নিয়ে শাখা খুলতে হবে।
মহানগর ও অন্যান্য বিভাগীয় শহরের নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রিপারেটরি বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য পাঁচ হাজার টাকা, জেলা সদরের জন্য তিন হাজার ও উপজেলাসহ অন্যান্য এলাকার জন্য দুই হাজার টাকা দিয়ে আবেদন করতে হবে।
এরপর সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় উপপরিচালক বিদ্যালয়টি সরেজমিনে পরিদর্শন করে মতামতসহ আবেদনপত্র প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠাবেন। তার ভিত্তিতে মন্ত্রণালয়ের মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অনুমতির প্রাথমিক সনদ দেওয়া হবে। এর মেয়াদ হবে এক বছর। প্রাথমিক অনুমোদনের পর নির্ধারিত সব শর্ত মেনে আবেদন করার পর তা যাচাই-বাছাই করে তিন বছরের জন্য অস্থায়ী এবং এরপর পাঁচ বছরের জন্য চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে। পাঁচ বছর শেষ হলে আবার পাঁচ বছরের জন্য নবায়ন করতে হবে। এ জন্য এলাকাভেদে আলাদা ফি দিতে হবে।
বিধিমালায় কিন্ডারগার্টেন বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে কমপক্ষে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তি করে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে হবে। ঢাকা মহানগর এলাকায় বিদ্যালয়ের জন্য কমপক্ষে আট শতাংশ, পৌর এলাকায় ১২ শতাংশ ও অন্যান্য এলাকার জন্য কমপক্ষে ৩০ শতাংশ জমি লাগবে। এটি ভাড়া বা নিজস্ব জমি হতে পারে। তবে ন্যূনতম তিন হাজার বর্গফুট আয়তনের একটি ভবন এবং কমপক্ষে ছয়টি কক্ষ থাকতে হবে।
প্রত্যেক বিদ্যালয়ের জন্য একটি সংরক্ষিত ও একটি সাধারণ তহবিল থাকবে। সংরক্ষিত তহবিলে এলাকাভেদে ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত সঞ্চয়পত্র আকারে বা কোনো তফসিলি ব্যাংকে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা রাখতে হবে। এর মধ্যে মহানগর এলাকার জন্য এক লাখ, জেলা সদরের জন্য ৭৫ হাজার, উপজেলা সদর ও পৌরসভার জন্য ৫০ হাজার ও ইউনিয়ন পর্যায়ের নার্সারি, কিন্ডারগার্টেন ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য ২৫ হাজার টাকা জমা রাখতে হবে।
ব্যক্তি নামে প্রতিষ্ঠান করতে চাইলে উদ্যোক্তাকে বিদ্যালয়ের স্থায়ী আমানত হিসেবে সংরক্ষিত তহবিলে তিন লাখ টাকা জমা রাখতে হবে।
বিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনা কমিটি রাখার কথাও বিধিমালায় রয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ ও শিক্ষার্থীদের বেতন নির্ধারণ করবে ওই কমিটি। শিক্ষার গুণগত মান ও অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বিবেচনা করে
কমিটিকে শিক্ষার্থীদের বেতন ও অন্যান্য ফি ঠিক করতে হবে।
সূত্র:প্রথমআলো.কম, 23.08.2011
No comments:
Post a Comment