মানবদেহের রোগপ্রতিরোধ-ক্ষমতার সঙ্গে সম্পর্কিত জীবকোষগুলোর স্মৃতিশক্তি প্রবল। টিকা দিলে বা কোনো রোগের সংক্রমণ ঘটলে শরীর যেভাবে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে, তা ওই কোষগুলো অনেক দিন মনে রাখতে পারে। টিকার কাজ হলো শরীরকে এক অর্থে বোকা বানানো। শরীর ভাবে, সে বুঝি সত্যি সত্যি কোনো রোগে আক্রান্ত হয়েছে। আসলে তা নয়। টিকায় ব্যবহার করা হয় বিশেষ কোনো রোগজীবাণুর কৃত্রিম প্রোটিন অথবা প্রজননক্ষমতাহীন জীবাণু, যা স্বল্পমাত্রায় দেহে প্রবশ করিয়ে দেওয়া হয়।
এতে শরীর রোগাক্রান্ত হয় না। কিন্তু শরীর তো সেটা বোঝে না, মনে করে দেহে জীবাণু ঢুকেছে, তাই তাকে প্রতিহত করার পদক্ষেপ নেয়। এভাবে আমাদের শরীর ওই জীবাণুকে চিনে ফেলে এবং তা প্রতিরোধের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখে। পরে কখনো ওই জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধের কোষগুলো চট করে সেটা চিনতে পারে এবং শরীরকে দুর্বল করার আগেই জীবাণুগুলো ধ্বংস করে। শরীরে টি-সেল ও বিভিন্ন ধরনের শ্বেতকণিকাসহ অনেক রকমের রোগ-প্রতিরোধকোষ রয়েছে। রোগ-জীবাণুর সঙ্গে এগুলোর সংঘাত বেশ জটিল এবং ঘাত-প্রতিঘাত ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দীর্ঘ হয়ে থাকে। শিশুর হাম হলে বা তাকে হামের টিকা দিলে অথবা ডিপিটি ইনজেকশন দিলে ওই সব রোগের প্রতিরোধ-স্মৃতি বহু বছর সক্রিয় থাকে। তাই তাদের সাধারণত দ্বিতীয়বার হাম/ডিপথেরিয়া হয় না। টিকা দিলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সারা জীবন প্রতিরোধক্ষমতা টিকে থাকে।
এতে শরীর রোগাক্রান্ত হয় না। কিন্তু শরীর তো সেটা বোঝে না, মনে করে দেহে জীবাণু ঢুকেছে, তাই তাকে প্রতিহত করার পদক্ষেপ নেয়। এভাবে আমাদের শরীর ওই জীবাণুকে চিনে ফেলে এবং তা প্রতিরোধের প্রস্তুতিও নিয়ে রাখে। পরে কখনো ওই জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে শরীরের রোগ-প্রতিরোধের কোষগুলো চট করে সেটা চিনতে পারে এবং শরীরকে দুর্বল করার আগেই জীবাণুগুলো ধ্বংস করে। শরীরে টি-সেল ও বিভিন্ন ধরনের শ্বেতকণিকাসহ অনেক রকমের রোগ-প্রতিরোধকোষ রয়েছে। রোগ-জীবাণুর সঙ্গে এগুলোর সংঘাত বেশ জটিল এবং ঘাত-প্রতিঘাত ও ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া দীর্ঘ হয়ে থাকে। শিশুর হাম হলে বা তাকে হামের টিকা দিলে অথবা ডিপিটি ইনজেকশন দিলে ওই সব রোগের প্রতিরোধ-স্মৃতি বহু বছর সক্রিয় থাকে। তাই তাদের সাধারণত দ্বিতীয়বার হাম/ডিপথেরিয়া হয় না। টিকা দিলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে সারা জীবন প্রতিরোধক্ষমতা টিকে থাকে।
No comments:
Post a Comment