Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Friday, June 24, 2011

তুষ থেকে বিদ্যুৎ

ধানের তুষ থেকে বিদ্যুৎ উত্পাদন, আসলেই কি সম্ভব? হ্যাঁ, এ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে হাস্ক পাওয়ার সিস্টেম নামে একটি বেসরকারি সংস্থা। যারা ধানের তুষ বা ওই জাতীয় ফসলের ফেলে দেওয়া অংশকে ব্যবহার করে বিদ্যুৎ উত্পাদন করছে। এর মাধ্যমে সংস্থাটি ভারতের বিহারের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে প্রায় ২৫ হাজার বাড়ি ও দোকানপাটে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে, যা কিছুদিন আগেও কল্পনা করা যেত না।

সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জ্ঞানেশ পাণ্ডে বিবিসিকে বলেন, ‘আমরা যেটা করি তা হলো, বায়োমাস অর্থাৎ ধানের তুষকে একটি নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে জ্বালাই। নিয়ন্ত্রিত পদ্ধতিতে মানে আমি বলতে চাইছি অক্সিজেনের সরবরাহটা নিয়ন্ত্রিত থাকে। আর আমাদের দহনের পদ্ধতিটা এমন যাতে ওই তুষ জ্বালানোর ফলে যে ধোঁয়া হয় সেটা হয় দাহ্য।’
জ্ঞানেশ পাণ্ডে আরও বলেন, ‘এই দাহ্য ধোঁয়াটা আমরা একটি ইঞ্জিনে ঢুকিয়ে দিই। যেহেতু ওই ধোঁয়াটাই দাহ্য, অর্থাৎ ওতে আগুন ধরতে পারে তাই সেই ধোঁয়াটাই ইঞ্জিনের জ্বালানি হিসেবে কাজ করে। ধোঁয়ার মাধ্যমে সচল ওই ইঞ্জিন জেনারেটর চালু করে। আর সেখান থেকেই আসে বিদ্যুৎ।’
বিহারের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বায়োমাসের কোনো অভাব নেই, তাই কাঁচামালের কোনো অভাব হচ্ছে না। এ জ্বালানি তৈরিতে খরচও অনেক কম। তাই বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে সাধারণ মানুষের কাছে। তাঁদের বিদ্যুৎ উত্পাদন পদ্ধতি বেশ সহজ ও ঝামেলামুক্ত।
গোটা বিহারে হাস্ক পাওয়ারের মোট ৬৫টি উত্পাদন কেন্দ্র আছে। যেখান থেকে রাজ্যের প্রায় এক লাখ ৮০ হাজার মানুষের কাছে বৈদ্যুতিক আলো পৌঁছে গেছে।
এ বছর সংস্থাটি এই উদ্ভাবনের জন্য অ্যাশডেন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছে। এ পুরস্কারকে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে নোবেল পুরস্কারের সমতুল্য ধরা হয়। কার্বন নিউট্রাল জ্বালানি উত্পাদনের ক্ষেত্রে সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্য থেকে এ সম্মান জিতে নিয়েছে হাস্ক পাওয়ার সিস্টেম।
অ্যাশডেন অ্যাওয়ার্ড কমিটি জানিয়েছে, যেহেতু এ লোকগুলো এর আগে কেরোসিনের ওপর নির্ভরশীল ছিল, তাই সেই কেরোসিনের সাশ্রয়ের মাধ্যমে বছরে আট হাজার টন কার্বন বাতাসে কম নির্গত হচ্ছে।
সংস্থাটি আগামী তিন বছরে প্রায় দুই হাজার উত্পাদনকেন্দ্র স্থাপন করে গ্রামীণ বিহারের মানচিত্রটাই বদলে দেওয়ার চিন্তা করছে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।

No comments:

Post a Comment