Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Wednesday, May 2, 2012

‘পান্তা ভাতের জল, তিন পুরুষের বল’



আগে আমি দিনে চারবার পান্তা ভাত খেতাম। পান্তা ভাতের জল, তিন পুরুষের বল। কথাগুলো ভারতের প্রথম মিস্টার ইউনিভার্স (১৯৫২) ও শরীর চর্চাবিদ মনোহর আইচের। এ বছর তিনি সেঞ্চুরি করেছেন। তবে রানে বা অন্য কিছুতে নয়, বয়সে। তাঁর এই দীর্ঘ জীবনের রহস্যের কথা বলতে গিয়ে ইন্ডিয়া টুডেকে তিনি এসব কথা বলেন।

১০০ বছর বাঁচা এবং এখনো সুস্থ থাকার কারণ জানতে চাইলে শরীরচর্চায় এশিয়ান গেমসে তিন-তিনবার স্বর্ণপদক জয়ী মনোহর আইচ বলেন, ‘সকাল বেলা দুধ দিয়ে এক কাপ চিঁড়া খাই, এরপর এক কাপ কফি। দুপুরে ভাত-ডালের সঙ্গে সবজি অথবা মাছ। বিকেলে এক কাপ কফি। রাতের বেলায় যথারীতি আবারও ভাত। তবে মাঝেমধ্যে এক গ্লাস করে ফলের রস খান বলে জানান তিনি।
মনোহর ১৭ মার্চ ১৯১২ সালে বাংলাদেশের কুমিল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। এখন বাস করছেন কলকাতায়। লেখাপড়া করেছেন ঢাকার জুবলি স্কুলে। ব্রিটিশ রয়েল এয়ার ফোর্সে কাজ করার সময় প্রজাপীড়নের বিষয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে এক ব্রিটিশ কর্মকর্তাকে কষিয়ে চড় মেরেছিলেন মনোহর। ফলাফল কিছু দিনের জন্য জেলহাজত। জেলের মধ্যেও শরীরচর্চার কাজ ঠিকই চালিয়ে গেছেন তিনি।
মনোহরের উচ্চতা আহামরি নয়—মাত্র ৪ ফুট ১১ ইঞ্চি। তবে কোনো সরঞ্জাম ছাড়াই তিনি প্রতিদিন প্রায় ১২ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন। সুস্বাস্থ্যের কারণেই তাঁকে ‘পকেট হারকিউলিস’ নামে ডাকা হয়। শরীরচর্চায় চ্যাম্পিয়ন ভারতের এই জীবন্ত কিংবদন্তির জীবনযাপন একেবারেই সাদামাটা। তিনি বলেন, ‘আমাদের বংশে দীর্ঘজীবন বা দীর্ঘায়ু কেউ নেই। আমার কোনো পূর্বপুরুষও আসলে ১০০ বছর বাঁচেনি।’
কিন্তু পূর্বপুরুষদের চেয়ে একটু আলাদা মনোহর আইচ শরীর নিয়েই চিন্তা করেছেন। তবে তা করেছেন তারই সেই পুরোনো ধাঁচের ব্যায়ামাগারেই। সেখানে হালকা ধরনের ব্যায়াম, এক পায়ে বসা, এক পায়ে দাঁড়িয়ে থাকা, ওঠ-বস করা ও পুশ-আপ করা। তবে কয়েক বছর ধরে হূিপণ্ডে সামান্য সমস্যায় ভুগছেন। তাই ব্যায়ামটা এখন আর ততটা করা হয়ে ওঠে না।
মেডিটেশন বা ধ্যানের প্রতি মনোহর আইচের ঝোঁক কোনো কালেই ছিল না। কিন্তু বিশ্বাস করতেন, শরীর গঠনের জন্য শুধু শারীরিক কশরতের ওপর নির্ভর করলেই চলে না, আত্মসংযমী হয়ে মনকে এর সঙ্গে জড়াতে হয়। ব্যায়ামের প্রতি তাঁর ভালোবাসা ও শৃঙ্খলাপূর্ণ জীবনযাপনই এই দীর্ঘ জীবনের মূল কথা। ‘আমি মিস্টার উইনিভার্স নিয়ে চিন্তা করতাম না। এটা আমার বিভিন্ন কাজের মধ্য দিয়ে হয়ে গেছে।’ বলছিলেন মনোহর।
ছোট বেলা থেকেই মনোহর আইচ ধূমপান, পান খাওয়া পরিহার করেছেন। সমসময় ‘জাঙ্ক’ খাবার এড়িয়ে চলতেন (ফাস্ট ফুড, ভাজা-পোড়াজাতীয় খাবার)। এমনকি এখনো সামান্য শারীরিক সমস্যায় ওষুধ গ্রহণ করেন না। তিনি গর্বের সঙ্গে বললেন, ‘এই বয়সেও আমার রক্তচাপ বা ডায়াবেটিস-জাতীয় কোনো রোগ নেই।’

Prothom-alo.com, তারিখ: ০১-০৫-২০১২

No comments:

Post a Comment