Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, April 30, 2012

সংসদে না যেতেই সমালোচনা!

টেন্ডুলকারকে নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ-এর ক্যারিকেচার টেন্ডুলকারকে নিয়ে দ্য টেলিগ্রাফ-এর ক্যারিকেচার
ছিলেন সবার। ধনীর, গরিবের, মধ্যবিত্তের। ছিলেন সব বর্ণের, ধর্মের, গোত্রের। ভারতের ক্রিকেট-ঈশ্বর শচীন টেন্ডুলকারের কোনো রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন নিয়ে সংরক্ষিত আসনের সাংসদ হওয়ার খবর স্বাভাবিকভাবেই হতাশ করেছে অনেককে। খুব ভালো শিরোনাম করেছে টাইমস অব ইন্ডিয়া: ‘ঈশ্বর এখন একটা নতুন বাড়ি পেয়েছেন’।

ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার ১২টি আসনে দেশটির রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দেন। সাধারণত শিল্পকলা, বিজ্ঞান কিংবা সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত বিজ্ঞ ও স্বনামধন্য ব্যক্তিদের এই আসন দেওয়া হয়। উদ্দেশ্য, সংসদের আলোচনা আরও ঋদ্ধ করা। এই প্রথম সক্রিয় কোনো ক্রীড়াবিদ রাজ্যসভার সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন পেলেন। কংগ্রেস সরকারের দেওয়া মনোনয়ন এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি প্রতিভা পাতিল অনুমোদনও করেছেন। টেন্ডুলকার যদিও এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জানাননি এই দায়িত্ব নিতে তিনি রাজি কি না। তবে দিল্লিতে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে তাঁর বৈঠকই বলছে, টেন্ডুলকারের সম্মতি পাওয়ার পরই এগিয়েছে সরকার।
সন্দেহ নেই এটি একজন ক্রীড়াবিদের জন্য অনেক বড় সম্মান। কিন্তু টেন্ডুলকারও ভারতের ‘ক্রিকেট দেবতা’। তাই তাঁর উচিত হয়নি একটি দলের ছাপ্পর গায়ে ফেলা। এমনটাই বলছেন অনেকে। সাবেক ক্রিকেটার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার বলেছেন, ‘আমি আসলে কথাই খুঁজে পাচ্ছি না। ভাবতেই পারিনি এসব বিষয়ে ওর আগ্রহ আছে। ও এমন একজন যে কি না, নিজের মতামত জোর গলায় সবার সামনে তুলে ধরে না। সেদিক দিয়ে এই দায়িত্ব হবে ওর জন্য বড় পরীক্ষার। আশা করি ও সংসদে বড় ভূমিকা রাখতে পারবে।’
পারবেন না! খেলাধুলায় সক্রিয় থাকা অবস্থায় টেন্ডুলকারের পক্ষে সংসদে সক্রিয় ভূমিকা রাখা সম্ভব হবে না বলেই মনে করছে অনেকে। গত মৌসুমে ২১৬ দিন ক্রিকেটে ব্যস্ত ছিলেন এই তথ্য দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া লিখেছে, এটা সরকারের তরফে স্রেফ জনগণের আবেগকে পুঁজি করার চেষ্টা। টেন্ডুলকারের পক্ষে সাংসদের দায়িত্ব পালন কতটা সম্ভব হবে প্রশ্ন উঠেছে তা নিয়ে ‘এই নতুন ভূমিকা শচীনকে বাধ্য করবে ক্রিকেট দলের সদস্য এবং সাংসদ হিসেবে তাঁর যে দায়িত্ব—এই দুটোর মধ্যে একটিকে বেশি গুরুত্ব দিতে। এটা একটি অন্যায্য পছন্দ।’
সাবেক ক্রিকেটার আকাশ চোপড়াও বলেছেন, ‘ও তো প্রায় সারা বছরেই খেলে। সংসদে যাওয়ার সময় কোথায় ওর? রাজ্যসভায় ও যদি অবদান রাখতে না পারে, তাহলে আমি সত্যিই হতাশ হব।’ ভাষ্যকার হার্ষা ভোগলেও মনে করেন কংগ্রেস সরকার টেন্ডুলকারকে দিয়ে একটা রাজনৈতিক ফায়দা তুলল, ‘এটাকে আমি মোটেও একটা ভালো সিদ্ধান্ত বলব না। তাঁর আসলে প্রশাসনিক বা এ ধরনের সামাজিক দায়িত্বের অভিজ্ঞতাই নেই।’
ক্রিকেটের মাঠ থেকে রাজনীতির ময়দানে এর আগে অনেকেই নেমেছেন। মোহাম্মদ আজহারউদ্দিন, নভজ্যোত সিং সিধুরা ভোটে দাঁড়িয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তবে ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর সাংসদের দায়িত্ব পালন করা চেতন চৌহান বলছেন, ‘রাজনৈতিক দলের ছাপ্পর যেন ওর ওপর না পড়ে। যখনই ও কোনো দলের সঙ্গে যুক্ত হবে, সঙ্গে সঙ্গেই ওর সম্পর্কে মানুষের ধারণাও পাল্টে যাবে।’ এএফপি।

No comments:

Post a Comment