সেনা মোতায়েন করা না হলেও নির্বাচন নিয়ে যে আশঙ্কা করা হয়েছিল, তার কিছুই হয়নি। শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। ভোটকেন্দ্রের পরিবেশও ভালো ছিল।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা শুরুর পর আজ রোববার প্রথম আলোর সঙ্গে আলাপচারিতায় এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপি-সমর্থিত প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। নির্বাচন শুরুর সাত ঘণ্টা আগে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। এ নিয়ে তৈমুর আলম বলেন, ‘দল ও চেয়ারপারসনের প্রতি আনুগত্য দেখাতেই আমি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিজেকে এ রকম কোরবানি দিয়েছি।’
তৈমুর আলমের সঙ্গে কথোপকথন তুলে ধরা হলো।
প্রশ্ন: ভোট দিয়েছেন?
উত্তর: না, আমি ভোট দিইনি।
প্রশ্ন: ভোট কেমন হলো?
উত্তর: শুনেছি, শান্তিপূর্ণভাবে সুষ্ঠু ভোটই হয়েছে।
প্রশ্ন: এ ভোটে তো সেনা মোতায়েন করা হয়নি। সেনা মোতায়েন না করায় আপনি বা আপনার দল যে আশঙ্কা করেছিলেন, তেমন কিছু কি হয়েছে?
উত্তর: আমি সেনাবাহিনী চেয়েছিলাম ভোটারদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য। তবে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ায় আমি খুশি। ভোটকেন্দ্রের পরিবেশও ভালো ছিল।
প্রশ্ন: ভোটের পরিবেশ কেমন ছিল?
উত্তর: হ্যাঁ, খুব ভালো ছিল। ভোটারদের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
প্রশ্ন: আপনি কি মনে করেন এ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে আপনি কেন্দ্রীয় রাজনীতির বলি হয়েছেন?
উত্তর: স্থানীয়ভাবে বিএনপি ও এর সব অঙ্গসংগঠন ঐক্যবদ্ধভাবে এ নির্বাচনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আমার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছে। এ জন্য আমি দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে কৃতজ্ঞ। নির্বাচনে আমার নিরঙ্কুশ জয়ের ব্যাপারে আমি সব সময় আশাবাদী ছিলাম। কেননা, মানুষ বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ডে ভীষণ হতাশ ও ক্ষুব্ধ। নির্বাচনের ফলাফলেও এর প্রভাব পড়েছে। বিএনপির চেয়ারপারসনের নির্দেশে আমি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। আমি দল ও চেয়ারপারসনের প্রতি সব সময় অনুগত। আনুগত্য দেখাতেই আমি শেষ মুহূর্তে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়ে নিজেকে এ রকম কোরবানি দিয়েছি।
No comments:
Post a Comment