Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, March 26, 2012

১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে স্বাধীনতা পদক প্রদান

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বাধীনতার স্বপ্নের রূপায়ন এবং বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ায় সুখী সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ সম্মান স্বাধীনতা পদক প্রদানকালে এই আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আসুন আমরা ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ এবং শান্তিপূর্ণ
বাংলাদেশ গড়তে সম্মিলিতভাবে শপথ গ্রহণ করি।’ জাতীয় জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এবং জাতির স্বাধীনতা সংগ্রামের অম্লান চেতনা সমুন্নত রাখা ও বাস্তবায়নে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রতিবছর বাংলাদেশের নাগরিক বা প্রতিষ্ঠানকে এই পদক দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে রবিবার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১০ বিশিষ্ট ব্যক্তিকে এই পদক প্রদান করেন। প্রতিটি পদকে রয়েছে একটি সোনার মেডেল, ২ লাখ টাকার চেক ও একটি সনদপত্র। খবর বাসসর।
এ বছর পদকপ্রাপ্তরা হচ্ছেন মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য শহীদ লে. কমান্ডার মোয়াজ্জেম হোসেন, শহীদ আবুল কালাম শামসুদ্দিন, ড. সৈয়দা বদরুন নাহার চৌধুরী ও নয়ীম গহর, চিকিৎসা বিজ্ঞানে প্রফেসর প্রাণ গোপাল দত্ত, শিক্ষায় অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম, সাহিত্যে মরহুম আবুল ফজল, গবেষণা ও প্রশিক্ষণে ড. কাজী এম বদরুদ্দোজা, সাংবাদিকতায় মরহুম বজলুর রহমান এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. কামরুল হায়দার।
পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে অধ্যাপক এম রফিকুল ইসলাম তাঁর অনুভূতি ব্যক্ত করেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন এবং পদকপ্রাপ্তগণের সংক্ষিপ্ত জীবনবৃত্তান্ত পড়ে শোনান। মন্ত্রিবর্গ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিশিষ্ট নাগরিক, সচিব ও উর্ধতন বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সংক্ষিপ্ত ভাষণে স্বাধীনতার পদকপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়ে সমাজ ও জাতির প্রতি তাদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সকল দলিলপত্র ও ঐতিহাসিক প্রমাণাদি সংগ্রহের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সরকার স্বাধীনতা অর্জনে বিশিষ্ট বিশ্ব নেতৃবৃন্দ, রাজনীতিক, দার্শনিক, শিল্পী, সাহিত্যিক, নাগরিক ও বিভিন্ন সংগঠনের অবদানের প্রতি সম্মান জানানোর ব্যবস্থা করেছে। তিনি স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ২০২১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নতুন প্রজন্মকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং শক্তিশালী জাতীয় ঐক্য গড়তে তাদের সংগঠিত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় নেতৃত্বে দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে।
তিনি চার জাতীয় নেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা এবং স্বাধীনতার জন্য নির্যাতনের শিকার মা-বোনদের প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু জতির জনকের হত্যাকাণ্ডের পর ওই প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। বর্তমান সরকার পুনরায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার না করলে জাতি এই কলঙ্ক থেকে মুক্তি পাবে না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনগণের বিপুল সমর্থনের মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ, সমতাভিত্তিক ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৪ দলীয় মহাজোটের প্রতি জনতার আস্থার প্রতিফলন ঘটে। তিনি বলেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁর সরকার দেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল, দুর্নীতি দমন, বিদ্যুত-গ্যাস সমস্যার সমাধান, দারিদ্র্য দূরীকরণ, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার ওপর সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপ করেছে।

সূত্র: দৈণিক জনকণ্ঠ.কম, 26/03/2012

No comments:

Post a Comment