Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, March 26, 2012

আজ স্বাধীনতা দিবস

উত্তম চক্রবর্তী ॥ “অবিনাশী আগুনে পোড়ে হায়রে শোকার্ত স্বদেশ/ দুখিনী মায়ের অশ্রু জমা হয় নিভৃত পাঁজরে/ যে যাবে যুদ্ধে এখনি সে উঠুক উঠুক ঝলসে/ যে যাবে যুদ্ধে সবকিছু ভাঙুক ভাঙুক সে...।” ...“পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত/ ঘোষণার ধ্বনি-প্রতিধ্বনি তুলে/ নতুন নিশান উড়িয়ে/ দামামা বাজিয়ে দিগি¦দিক/ এই বাংলায় তোমাকে আসতেই হবে হে স্বাধীনতা।”
ভয়াল ‘কালরাত্রি’র পোড়া কাঠ, লাশ আর জননীর কান্না নিয়ে রক্তে রাঙা নতুন সূর্য উঠেছিল ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ। ভয়াল কালরাতের ধ্বংসস্তূপ আর লাশের ভেতরে দিয়ে রক্তরাঙা সেই নতুন সূর্য। ভীতবিহ্বল মানুষ দেখল লাশপোড়া ভোর। সারি সারি স্বজনের মৃতদেহ। আকাশে কু-লী পাকিয়ে উঠছে ধোঁয়া। পুড়ছে স্বাধীন বাংলার মানচিত্র আঁকা লাল সবুজ পতাকা। জ্বলছে শাড়ি, খুকুর ফ্রক। চোখে জল। বুকে আগুন। জ্বলে উঠল মুক্তিকামী মানুষের চোখ, গড়ল প্রতিরোধ। মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে ‘জয় বাংলা’ তীব্র স্লোগান তুলে ট্যাঙ্কের সামনে এগিয়ে দিল সাহসী বুক। 
আজ থেকে ঠিক ৪১ বছর আগের ঠিক এমনি এক ভোররাতে পাকিস্তানী হিংস্র শ্বাপদের গণহত্যার বিরুদ্ধে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা করেন বাংলাদেশের স্বাধীনতা। শত্রুসেনাদের বিতাড়িত করতে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করার বঙ্গবন্ধুর ডাকে জীবনপণ 
সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে বীর বাঙালী। দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ করে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠতম অর্জন- মহান স্বাধীনতা। 
আজ ভোরের সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই বাঙালী জাতির জীবনে সূচনা ঘটবে আরও একটি ঝলমল উৎসব দিনের। রক্ত, অশ্রুস্নাত বিক্ষুব্ধ বিদ্রোহের দিন ২৬ মার্চ। এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মহার্ঘ স্বাধীনতার ৪২তম বার্ষিকী। এ ভূ-ভাগের সবচেয়ে বড় অর্জন, বাঙালীর সহস্র বছরের জীবন কাঁপানো ইতিহাস মহান স্বাধীনতা। অসংখ্য শহীদের রক্তে ভেজা, জাতির বীরসেনানীদের রক্তস্নাত মুক্তিযুদ্ধের সূচনা দিন। বাঙালীর স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধের শুরুর দিন। গৌরব ও স্বজন হারানোর বেদনার এই দিনে বীর বাঙালী সশস্ত্র স্বাধীনতা যুদ্ধের সূচনা করেছিল। তাই আজ গৌরব ও অহঙ্কারের দিন। 
এবারে সত্যিই এক ভিন্ন আবহে, প্রেক্ষাপটে জাতির সামনে এসেছে স্বাধীনতা দিবস। যে দলের নেতৃত্বে গোটা জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধ করে ছিনিয়ে এনেছে স্বাধীনতা, সেই বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ গত তিন বছর ধরে মহাবিজয় নিয়ে ক্ষমতায়। দীর্ঘ চার দশকের দাবি পূরণে যুদ্ধাপরাধীদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে। একাত্তরের স্বীকৃত নরঘাতক শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম-নিজামী-মুজাহিদ-সাঈদী গং এখন জেলখানায়। দৃষ্টান্তমূলক বিচারের অপেক্ষায় গুনছে মৃত্যুর প্রহর। তাই বাঙালী জাতি নতুন উদ্দীপনায়, মুক্তিযুদ্ধের প্রখর চেতনায় প্রগতিবিরোধী শক্তি জঙ্গীবাদ, মৌলবাদ ও যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত ও বিচার নিশ্চিত করার অঙ্গীকারে প্রাণিত। চারদিকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে সোচ্চার দেশের মানুষ। 
স্বাধীনতার প্রায় ৪০ বছর পর গণহত্যা, লুণ্ঠন ও ধর্ষণকারী মানবতা ও স্বাধীনতার শত্রু দেশদ্রোহী যুদ্ধাপরাধীদের আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে বিচারিক আদালতে। দেশব্যাপী সৃষ্ট গণজাগরণে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র রাজাকার-আলবদর-আলশামসরা তাই আজ শঙ্কিত, তটস্থ। জাতির ওই দুঃসময়ে এসব বিশ্বাসঘাতক সহযোগিতা করেছিল পাকিস্তানী বাহিনীকে। তারা উল্টো অস্ত্র ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে অংশ নেয় গণহত্যায়। সেই হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে স্বাধীনতার ৪১ বছর পর বাংলাদেশ আবা জেগেছে। এতদিন পরে হলেও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে জাতি জানিয়ে দেবে, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ কখনও তামাদি হয় না। 
এই মহার্ঘ্য স্বাধীনতা অর্জন করতে বাঙালী জাতিকে করতে হয়েছে দীর্ঘ সংগ্রাম, দিতে হয়েছে এক সাগর রক্ত। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে পুরো বাঙালী জাতিকে স্বাধীনতার প্রশ্নে ঐক্যবদ্ধ করেন। ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের অব্যবহিত পরেই ভাষার প্রশ্নে একাত্ম হয় বাঙালী। ১৯৪৮, ’৫২ পেরিয়ে ’৫৪, ’৬২, ’৬৬-এর পথ বেয়ে আসে ১৯৬৯। ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থানে কেঁপে ওঠে জেনারেল আইয়ুবের শাসন। জনতার সাগরে উন্মাতাল স্রোতধারা। ‘জাগো জাগো বাঙালী জাগো,’ ‘তোমার আমার ঠিকানাÑ পদ্মা মেঘনা যমুনা,’ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ সেøাগানে সেøাগানে প্রকম্পিত হয় গ্রাম-শহর- জনপদ। 
শত ষড়যন্ত্র ও সামরিক জান্তার রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সত্তরের জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন পায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ। কিন্তু বাঙালীর হাতে শাসনভার দেয়ার বদলে শুরু হয় ষড়যন্ত্র। প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির জুলফিকার আলী ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলোচনার নামে করতে থাকেন কালক্ষেপণ। প্রস্তুত হয় হিংস্র কায়দায় বাঙালী হত্যাযজ্ঞে। তবে ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণেই পাওয়া যায় দিকনির্দেশনা। আক্ষরিক অর্থেই তখন পূর্ব পাকিস্তানের প্রশাসন চলছিল বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। সেই প্রবল প্রদীপ্ত আন্দোলনের জোয়ারে ধীরে ধীরে বাঙালীর হৃদয়ে আঁকা হয় একটি লাল সবুজ পতাকা, একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশের ছবি। 
কিন্তু বাঙালীর আবেগ, সংগ্রাম ও মুক্তির আকাক্সক্ষাকে নির্মূল করতে অস্ত্র হাতে নামে হানাদার পাকিস্তানী বাহিনী। শোষিত ও নির্যাতিত মানুষের স্বাধীনতার আকাক্সক্ষাকে রক্তের বন্যায় ডুবিয়ে দিতে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে শুরু করে নিষ্ঠুর গণহত্যা। সেই কালরাত থেকেই শুরু হয় মৃত্যু, ধ্বংস, আগুন আর আর্তনাদের পৈশাচিক বর্বরতা। কিন্তু ওই ঘোরতর অমানিশা ভেদ করেই দেশের আকাশে উদিত হয় স্বাধীনতার চিরভাস্বর সূর্য। 
২৬ মার্চের সূচনালগ্নে গ্রেফতার হওয়ার আগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ওয়্যারলেসের মাধ্যমে স্বাধীনতার ঘোষণা করে বলেন, “এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিতে পিলখানার ইপিআর ঘাঁটি, রাজারবাগ পুলিশ লাইন আক্রমণ করেছে এবং শহরের লোকদের হত্যা করছে। ঢাকা, চট্টগ্রামের রাস্তায় রাস্তায় যুদ্ধ চলছে। আমি বিশ্বের জাতিগুলোর কাছে সাহায্যের আবেদন করছি। আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সঙ্গে মাতৃভূমি মুক্ত করার জন্য শত্রুদের সঙ্গে যুদ্ধ করছে। সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে আপনাদের কাছে আমার আবেদন ও আদেশ- দেশকে স্বাধীন করার জন্য শেষ রক্তবিন্দু থাকা পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যান। আপনাদের পাশে এসে যুদ্ধ করার জন্য পুলিশ, ইপিআর, বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও আনসারদের সাহায্য চান। কোন আপোস নেই, জয় আমাদের হবেই। আমাদের পবিত্র মাতৃভূমি থেকে শেষ শত্রুকে বিতাড়িত করুন। সব আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী এবং অন্য দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতাপ্রিয় লোকদের এ সংবাদ পৌঁছে দিন। আল্লাহ আমাদের মঙ্গল করুন। জয় বাংলা।” 
বঙ্গবন্ধুর এই স্বাধীনতার ঘোষণা প্রচার হওয়ার পর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বর ও নির্বিচারে গণহত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও সর্বব্যাপী পৈশাচিক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে বাঙালী জাতি তাদের সর্বশক্তি নিয়ে ইস্পাতকঠিন প্রত্যয় নিয়ে সশস্ত্র লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। সারাদেশে শুরু হয় প্রতিরোধ যুদ্ধ। দেশের অকুতোভয় সূর্যসন্তানরা তুমুল যুদ্ধ করে লাখো প্রাণের বিনিময়ে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতা। একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর হানাদার বাহিনী মাথানত করে পরাজয় স্বীকার করে আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। বিশ্বের মানচিত্রে স্থান পায় এক সাগর রক্তের বিনিময়ে একটি স্বাধীন দেশ, স্বাধীন পতাকাÑ যাঁর নাম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ। 
যাঁদের রক্ত ও সম্ভ্রমের মূল্যে আমরা পেয়েছি মহামূল্যবান এই স্বাধীনতা, তাঁদের কাছে মহামূল্য ঋণ গভীর কৃতজ্ঞতা, ভালবাসা ও বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবার দিন আজ। মহান স্বাধীনতা দিবসে জাতি আজ উৎসবের পাশাপাশি গভীর শ্রদ্ধা, ভালবাসা আর বেদনায় স্মরণ করবে মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদকে। স্মরণ করবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনাকারী তাঁর সহকর্মী জাতীয় নেতাদের। জাতি শ্রদ্ধা জানাবে বীরাঙ্গনা আর শহীদ মাতাদের। দৃপ্ত শপথ নেবে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার। স্বাধীনতাবিরোধী শত্রুদের সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় এবং বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার। 
সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে নানা অনুষ্ঠান আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান এ দিবসটি পালন করা হবে। সব ভবনে ও শহরের প্রধান সড়কগুলোতে উড়বে রক্তস্নাত জাতীয় পতাকা। সকালে ফুলে ফুলে ভরে উঠবে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে দলমতনির্বিশেষে সেখানে হাজির হবে লাখো মানুষ। ভোরে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পুষ্পস্তবক অর্পণের পরই সাধারণের জন্য স্মৃতিসৌধ উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আজ সরকারী ছুটির দিন। দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পৃথক বাণীতে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ ও বীরত্বগাথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে রেডিও, টেলিভিশন, ইলেকট্রনিক মিডিয়া ও সংবাদপত্রে বিশেষ নিবন্ধ ও অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা হচ্ছে। 
কর্মসূচী
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে আলোচনাসভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শোভাযাত্রা, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচী, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচী নেয়া হয়েছে। সকল সরকারী-আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারী ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ ও ক্রোড়পত্র প্রকাশিত হবে, সরকারী ও বেসরকারী বেতার ও টিভি চ্যানেলে প্রচারিত হবে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা।
সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে তেজগাঁও পুরনো বিমানবন্দর এলাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হবে। সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে জাতীয় শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজে সালাম গ্রহণ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বাদকদল যথাক্রমে সংসদ ভবন এলাকা, ফার্মগেট পার্ক এলাকা, মিরপুর ২নং স্টেডিয়ামে এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বেলা ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশন করবে। নৌবাহিনীর কিছু জাহাজ ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, চট্টগ্রাম বন্দর, খুলনা ও মংলা বন্দর এবং বরিশালের বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। সন্ধ্যায় সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ ভবনসমূহে আলোকসজ্জা করা হবে। 
সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা কুচকাওয়াজসহ বিভিন্ন শরীরচর্চা প্রদর্শন করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সালাম গ্রহণ এবং কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে গণভবনে দেশের গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক, কূটনীতিক ও রাজনীতিকদের বিকেল পৌনে পাঁচটায় সংবর্ধনা দেবেন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান। তিনি বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন। এছাড়া জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডা ও অন্যান্য উপসনালয়ে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে। হাসপাতাল, জেলখানা, বৃদ্ধাশ্রমসহ এ ধরনের সরকারী প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। 
আওয়ামী লীগের দু’দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে- ভোরে বঙ্গবন্ধু ভবন ও দেশব্যাপী দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের মাজারে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন এবং কাল সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনাসভা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির দু’দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে সকালে সাভার স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন, দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং দলের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি মরহুম জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত।

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ.কম, 26/03/2012

No comments:

Post a Comment