Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, March 26, 2012

মাধ্যমিক স্কুলে সহকারী শিক্ষকরা দ্বিতীয় শ্রেণীর মর্যাদা পেতে যাচ্ছেন

দেশের সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের পদমর্যাদা বৃদ্ধির বহুযুগের দাবি অবশেষে বাস্তবায়িত হতে যাচ্ছে। মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্ট করতে শিক্ষকদের দাবি, জাতীয় শিক্ষানীতি এবং শিক্ষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সুপারিশ অনুসারেই দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদা পাচ্ছেন সরকারী হাইস্কুলের সহকারী শিক্ষকরা। অবসান
হচ্ছে তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী হয়ে থাকার বঞ্চনা। আগামী ৩০ মার্চ রাজধানীর গবর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি হাইস্কুলে আয়োজিত শিক্ষক সম্মেলনে পদমর্যাদা বৃদ্ধির ঘোষণা দিতে যাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, শিক্ষকদের মর্যাদা বৃদ্ধির আনুষঙ্গিক কাজ শেষ। বড় কোন সমস্যা না হলে ৩০ মার্চই ঘোষণা দেয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নোমান উর রশীদ জনকণ্ঠকে বলেছেন, এখানও গেজেট হয়নি। তবে বর্তমান সরকার শুরু থেকেই শিক্ষকদের সুযোগ, সুবিধা মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে। শিক্ষকদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৯৭৪ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহকারী শিক্ষকদের গেজেটেড মর্যাদা দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। পরবর্তীতে ১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকা- সব পাল্টে দেয়। আর কোন সরকার শিক্ষকদের এ কাজে এগিয়ে আসেনি। কিন্তু এবার বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহকারী শিক্ষকদের গেজেটেড মর্যাদা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ শিক্ষকদের সুযোগ-সুবিধা ও মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে চলেছেন। সহকারী শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণীর গেজেটেড মর্যাদা প্রদানের সার্বিক কার্যক্রম ইতোমধ্যেই সম্পন্ন করা হয়েছে। এখন শুধু ঘোষণা দেয়ার বাকি। জানা গেছে, স্বাধীনতার পর থেকেই সহকারী শিক্ষকরা গেজেটেড পদমর্যাদা দাবি করে আসছে। কিন্তু আমলাতন্ত্রের অদূরদর্শিতা ও গাফিলতির জন্য শিক্ষকরা এ সম্মান থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় এবার আমলাতন্ত্রের প্রতিবন্ধকতা দূর হয়েছে। সকল কাজও শেষ। শিক্ষক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষকদের উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে জানিয়ে দিবেন। সারাদেশে বর্তমানে ৩১৭টি সরকারী হাইস্কুল আছে। এ সব স্কুলে সহকারী শিক্ষকের পদ আছে ৯ হাজার ৭৩২টি। এর মধ্যে কর্মরত সহকারী শিক্ষক আছেন ৯ হাজার ৪০০ জন। আর ৩৩২টি পদ শূন্য আছে। মাউশির সরকারী স্কুল শাখার কর্মকর্তারা জানান, সহকারী শিক্ষকরা গেজেটেড হলে তাদের টাইমস্কেল বন্ধ হয়ে যাবে। চালু হবে সিলেকশন গ্রেড। এতে চাকরির চার বছর পূর্তিতে শিক্ষকরা শতভাগ সিলেকশন গ্রেড সুবিধা পাবে। জানা যায়, বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেল-২০০৯ অনুযায়ী সহকারী শিক্ষকরা চাকরির শুরুতে ৮ হাজার টাকা স্কেলে বেতন পাচ্ছেন। চাকরির আট বছরে ১ম টাইমস্কেল ১১ হাজার টাকা, চাকরির ১২ বছরে দ্বিতীয় টাইমস্কেল ১২ হাজার টাকা এবং চাকরির ১৫ বছরের তৃতীয় টাইমস্কেল ১৫ হাজার টাকা পাচ্ছেন। মাউশির সহকারী পরিচালক (সরকারী স্কুল) শাখাওয়াত হোসেন জানান, বর্তমানে প্রায় পাঁচ হাজার সহকারী শিক্ষকের চাকরির বয়স ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সরকারী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষকদের পদমর্যাদা প্রথম শ্রেণীর। কিন্তু একই যোগ্যতা নিয়ে চাকরি করলেও সহকারী শিক্ষকরা সারাজীবন তৃতীয় শ্রেণীর কেরানীর মতো আচরণ পেয়ে আসছে। সরকারের উদ্যোগকে অভিনন্দন জানিয়েছে সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি। 
এদিকে বেসরকারী মাধ্যমিক শিক্ষকদের পাশাপাশি সরকারী মাধ্যমিক স্কুলগুলোর শিক্ষকরাও বঞ্চনার শিকার বলে অভিযোগ করে আসছেন শিক্ষকরা। তাঁরা বলছেন, সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা প্রজাতন্ত্রের অন্যান্য সরকারী কর্মচারীদের তুলনায় সুযোগ-সুবিধা, পদমর্যাদা, পদোন্নতি সবক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার। সরকারী স্কুলে একজন শিক্ষক চাকরিতে প্রবেশ করেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে, চাকরি থেকে বিদায়ও নেন সহকারী শিক্ষক হিসেবে। তাদের পদবির কোন পরিবর্তন হয় না। সহকারী শিক্ষকদের সমপর্যায়ের পদগুলো পূর্বেই প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড পদমর্যাদায় উন্নীত হয়েছে কিন্তু সহকারী শিক্ষকদের প্রথম তো দূরের কথা দ্বিতীয় শ্রেণীরও হয়নি।

সূত্র: দৈনিক জনকণ্ঠ, 26/03/2012

No comments:

Post a Comment