Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Tuesday, January 10, 2012

অতীশ দীপঙ্করে দু’পক্ষের লড়াই

 দখল ও পাল্টা দখল নিয়েই অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই হচ্ছে। ঘটেছে হামলার ঘটনাও। এখন ভিসি পদের জন্য লড়াই হচ্ছে দুইপক্ষের মধ্যে। অতীশ দীপঙ্কর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ২০০৪ সালে  রাজধানী গুলশানে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালের এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভয়াবহ সঙ্কট দেখা দেয়।

সঙ্কটের কারণে একজন ভিসিও ইউনিভার্সিটি ছেড়ে যান। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক আতফুল হাই শিবলীকে প্রধান করে ৩ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দলিলসহ যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই করে দেখছে। কমিটি সূত্রে জানা যায়, সঙ্কটের মূলে রয়েছেন বর্তমান ভিসি দাবিদার আবুল হোসেন শিকদার ও সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারা বেগম।  ইউনিভার্সিটির মালিক সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ। ড. আনোয়ারা বেগমের ভিসি’র মেয়াদ শেষ হয়ে যায় গত বছরের এপ্রিলে। এরপর আবুল হোসেন শিকদার নিজেকে ভিসি দাবি করে বসেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ ও তার স্ত্রী ড. আনোয়ারা বেগমের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় এই অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। সূত্র জানায়,  তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ড. ইয়াজউদ্দিন প্রেসিডেন্ট থাকাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজার্ভ ফান্ডের টাকা উদ্যোক্তাদের তুলে নেয়ার মাধ্যমে সঙ্কটের শুরু। এরপর সরকারি আইনের বাধ্যবাধকতার কারণে অধ্যাপক আনোয়ারার একই সঙ্গে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ভিসি দু’পদে থাকার প্রশ্নে তিনি চেয়ারম্যানের পদ ছেড়ে দেন। একপর্যায়ে অধ্যাপক আবুল হোসেন সিকদারকে তিনি প্রো-ভিসি হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ দেন। ইতিমধ্যে অধ্যাপক আনোয়ারার ভিসি’র মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। সরকার তাকে পুনর্নিয়োগ না দেয়ায় সঙ্কট ফের নতুনভাবে শুরু হয়। নানা ঘটনা-অঘটনের পর বিশ্ববিদ্যালয়টি সঙ্কট কাটাতে ব্যর্থ হয়ে চরম কোন্দলে নিপতিত হয়। সঙ্কট কাটাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন ভিসি নিয়োগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসনের শিক্ষক অধ্যাপক মাহবুবুর রহমানকে নিয়োগের সুপারিশ করে ট্রাস্টি বোর্ড। কিন্তু সঙ্কটের উপর সঙ্কট সৃষ্টি হওয়ায় অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে চলে যান। তিনি ফের ঢাবি’র লোকপ্রশাসন বিভাগে যোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন,  আমি আর ওই ইউনিভার্সিটিতে নেই। গতবছরের ৭ই সেপ্টেম্বর থেকে তিনি বিজনেস স্টাডিজের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। একই সঙ্গে তাকে ভিসি হিসেবে নিয়োগের জন্যও সুপারিশ করা হয়। সঙ্কট কাটাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সেখান থেকে চলে আসেন। এরপর প্রো-ভিসি আবুল হোসেন শিকদার বিশ্ববিদ্যালয় দখলের চেষ্টা করেন। সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমকে কয়েক মাস ব্যাংককে থাকতে হয়। ৫ই জানুয়ারি তিনি দেশে ফিরেন। এরপর গত শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি দাবিদার আবুল হোসেন শিকদারকে চিঠি লিখেন। সংশ্লিষ্টরা জানান,  অধ্যাপক আনোয়ারা বেগমের ছেলে ইমতিয়াজ বাবুসহ কয়েকজন রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী ক্যাম্পাসে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আয়-ব্যয় ও সার্বিক বিষয় নিয়ে ভিসি ও বাবু’র মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরপর ভিসি’র কক্ষ নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতিও হয়।  খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে সব ধরনের জালিয়াতি হচ্ছে। এমনকি মৃত ব্যক্তিকেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থিত দেখানো হয়েছে। জাল করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের স্বাক্ষর। মৃত ব্যক্তিকে এজিএমে উপস্থিত দেখানোর ঘটনা ঘটেছে ইউজিসি’র সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম আসাদুজ্জামানের ক্ষেত্রে। মৃত্যুর ৬৪২ দিন পর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক এম আসাদুজ্জামানকে অতীশ দীপঙ্কর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বার্ষিক সাধারণ সভায় (এজিএম) উপস্থিত দেখানো হয়। তিনি ২০০৮ সালের ২৮শে মার্চ মৃত্যুবরণ করেন। অথচ তাকে ২০০৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ওই সভায় উপস্থিত দেখানো হয়। এছাড়া, ২০১০ সালের ৯ই আগস্টের সম্মতিপত্রেও তার স্বাক্ষর দেখানো হয়। একই ধরনের জালিয়াতি করা হয়  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এসএমএ ফায়েজ, সাবেক প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ইমতিয়াজ আহম্মেদ, লন্ডনপ্রবাসী সাংবাদিক শামসুল আলম লিটনসহ বেশির ভাগ বোর্ড সদস্যের নামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি নিয়োগের জন্যও সুপারিশ করা হয়েছে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যানের অনুমোদন ছাড়াই। শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসি বরাবর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. আনোয়ারা বেগম এসব অভিযোগ করেছেন।  সূত্র জানায়, অভিযোগে বলা হয়, প্রো-ভিসি অধ্যাপক আবুল হোসেন সিকদার নিজে ও তার ছেলে এম ফিরোজ মাহমুদ হোসেনসহ কয়েকজনকে দিয়ে তৈরি একটি ট্রাস্টি বোর্ডের কমিটি জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে দাখিল করেন। তবে মে মাসে এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়ার পর জয়েন্ট স্টক কোম্পানি তা বাতিল করে।  অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইনে প্রো-ভিসি নিয়োগের জন্য প্রথম শ্রেণী বা সমমানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অথবা পিএইচডি ডিগ্রি থাকতে হয়। কিন্তু আবুল হোসেন সিকদার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতক ও মাস্টার্স অর্জন করলেও বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে (বিআইএম) থেকে তার প্রথম শ্রেণীতে প্রথম হওয়ার দাবি সঠিক নয়। এছাড়া, আবুল হোসেন সিকদার  বোস্টন থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি নেয়ার দাবি করলেও তা সত্য নয়। ২০০৬ সালে ভারতের রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি অর্জনের দাবিও তার সত্য নয়। তিনি ২০০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভিক্টোরিয়া ভার্সিটির বাংলাদেশ ক্যাম্পাস থেকে দ্বিতীয় পিএইচডি লাভের দাবি করলেও ওই বছর তিনি অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন এবং এ জন্য  কোন ছুটি নেননি। এতে প্রো-ভিসির শিক্ষকতা ও প্রশাসনিক অভিজ্ঞতার দাবিও সঠিক নয় দাবি ড. আনোয়ারা বেগমের। মন্ত্রণালয়ে পাঠানো অভিযোগপত্রে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দাবিদার অধ্যাপক আনোয়ারা দাবি করেন প্রো-ভিসি আবুল হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলের লক্ষ্যে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যদের স্বাক্ষর জাল করা থেকে শুরু করে মৃত ব্যক্তিদের পর্যন্ত বোর্ডের মিটিংয়ে উপস্থিত দেখিয়ে থাকেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউজিসি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটির একজন সদস্য জানান, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে নানা সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এ সঙ্কট মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা ও ভিসি’র পদ নিয়ে। অর্থনৈতিক জটিলতাও রয়েছে। সব বিষয়ে ইউজিসি তদন্ত করবে। ইউজিসি’র চেয়ারম্যান অধ্যাপক একে আজাদ চৌধুরী বলেন, আমরা একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। কমিটি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তদন্ত করছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মালিকানা নিয়েই মূল দ্বন্দ্ব। এছাড়া ভিসি পদ নিয়ে সাবেক ভিসি ও বর্তমান প্রো-ভিসির মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরই মধ্যে একটা ঘটনা ঘটেছে। তিনি বলেন, এখানে দু’টো গ্রুপ দাঁড়িয়ে গেছে। প্রত্যেকেই কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছে। অধ্যাপক একে আজাদ বলেন, তদন্ত কমিটি সব বিষয়েই তদন্ত করছে। একটি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে এধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, তাদের বক্তব্য থাকলে কমিটিকে বলতে পারতো। এধরনের ঘটনা অপ্রত্যাশিত। এবিষয়ে অধ্যাপক আনোয়ারা বেগম বলেন, আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। আমিই ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আমি কেন বিশ্ববিদ্যালয় দখল করতে যাবো। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বর্তমান প্রো-ভিসি সব কাগজপত্র জাল করেছেন। তার নিজের সব সার্টিফিকেট জাল। তিনি মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন। তার কাছে দুইবার তার নিজের কাগজপত্র চাইলেও দিতে পারেননি। বিশ্ববিদ্যালয়টি দখলের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জানান তিনি। বর্তমান ভিসি’র  দায়িত্বে থাকা আবুল হোসেন সিকদার বলেন, সব সঙ্কট আনোয়ারা বেগমের কারণেই। তিনি নিজেকে এখনও ভিসি দাবি করেন। অথচ সরকার তাকে নিয়োগ দেয়নি। সার্টিফিকেট জালের বিষয়ে তিনি বলেন, তিনিই আমাকে নিয়োগ দিয়েছেন। সব অভিযোগ মিথ্যা। অধ্যাপক আনোয়ারা এখন আর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নন বলেও জানান। তাহলে চেয়ারম্যান কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ইস্রাফিল আলম। স্বাক্ষর জাল ও মৃতব্যক্তিকে এজিএমে উপস্থিতির বিষয়ে বলেন, স্বাক্ষর জাল করে রেজুল্যুশন তো অধ্যাপক আনোয়ারাই জয়েন্ট স্টক কোম্পানিতে পাঠিয়েছেন। আমিও জানি যে, অধ্যাপক আসাদ মারা গেছেন। তখন ড. আনোয়ারা একই সঙ্গে ভিসি ও ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ কেন? অধ্যাপক আনোয়ারা নিজে ভিসি হিসেবে পুনর্নিয়োগ না পাওয়ায় এসব করছেন।

গ্রেপ্তার দেখানো হলো ইয়াজউদ্দিনপুত্রকে
সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদের ছেলে ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাবুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। গতকাল তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে গত রোববার তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। ইমতিয়াজ এখন পুলিশ হেফাজতে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন গুলশান থানার ওসি শাহ আলম। বেসরকারি অতীশ দীপঙ্কর বিশ্ববিদ্যালয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন অতীশ দিপঙ্কর ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার কবির হোসেন তালুকদার। রোববার গভীর রাতে গুলশান থানায় মামলাটি দায়ের করেন তিনি। অতীশ দিপঙ্কর ইউনিভার্সিটির মালিকানা দাবি করে আসছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়াজউদ্দিনের স্ত্রী আনোয়ারা বেগম। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে কয়েক বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছে। গত রোববার ইমতিয়াজ আহম্মেদ বাবুসহ কয়েকজন সাবেক কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ইউনিভার্সিটির বনানী ক্যাম্পাসে যান আনোয়ারা বেগম। এ সময় ইউনিভার্সিটিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন ইমতিয়াজ ও তার সঙ্গে থাকা লোকজন। একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে ইমতিয়াজ আহত হন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ইমতিয়াজকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। তাকে হেফাজতে নেয়ার কথা বলে পুলিশ। তবে রোববার রাত ৯টার দিকে হাসপাতাল থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। গতকাল মামলার পর ইমতিয়াজকে গ্রেপ্তার দেখানো হলো। গুলশান বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার লুৎফুল কবির বলেন, মামলায় শুধু ইমতিয়াজকেই আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইউনাইডেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমতিয়াজের সঙ্গে রোববার আরও ২ জনকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছিল। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লুৎফুল কবির।
সূত্র: মানবজমিন, ১০/০১/২০১২

No comments:

Post a Comment