Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Sunday, January 8, 2012

দুই টুকরো হয়ে ডুবে গেল ‘রেনা’


ঝোড়ো আবহাওয়ার কারণে গত রোববার গ্রিসের একটি মালবাহী জাহাজ দুই টুকরা হয়ে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে ডুবে গেছে। জাহাজটি ৮০০ কনটেইনার বহন করছিল। এ ঘটনাকে নিউজিল্যান্ডের সমুদ্র উপকূলে ঘটিত এ পর্যন্ত সবচেয়ে ভয়াবহ জাহাজ দুর্ঘটনা বলা হচ্ছে।
গত বছরের অক্টোবরে জাহাজটি নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রসীমানায় ডুবোচরে আটকে পড়েছিল। গ্রিসের এই জাহাজটির নাম রেনা। ৫ অক্টোবর জাহাজটি নর্থ আইল্যান্ড রিসোর্টের অদূরে হিমশৈলর সঙ্গে ধাক্কা লাগে। দুর্ঘটনার জন্য জাহাজটির ক্যাপ্টেনসহ আরও ১৬ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের সমুদ্রবিষয়ক কর্তৃপক্ষের মুখপাত্র রস হেন্ডারসন বিবিসিকে বলেন, শনিবার রাতে প্রায় ছয় মিটার উঁচু ঢেউসহ ঝোড়ো বাতাসের কবলে পড়ে জাহাজটি দুই টুকরা হয়ে ভেঙে যায়।
রস হেন্ডারসন বলেন, ‘আমরা কনটেইনার ও জাহাজের ধ্বংসাবশেষ উপকূলে নিয়ে যেতে এবং জাহাজটি থেকে তেলের নিঃসরণ কমানোর চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, জাহাজটির সামনের অংশ এখনো ওই হিমশৈলতে আটকে আছে। আর পেছনের অংশ সামনের অংশ থেকে ২০-৩০ মিটার দূরে সরে গেছে।
নিউজিল্যান্ডের দৈনিক হেরাল্ডের খবরে বলা হয়, বেশ কয়েক টন গুঁড়ো দুধবোঝাই একটি কনটেইনার সমুদ্রে পড়ে গেছে। এতে করে ধ্বংসপ্রাপ্ত জাহাজটির চারপাশ গাঢ় অন্ধকারে ঢাকা পড়ে।
কনটেইনার উদ্ধারকারী কোম্পানি ‘ব্রেমার হাওয়েলস’ জানায়, জাহাজটিতে মোট ৮০০টি কনটেইনার ছিল। এর মধ্যে ২০০-৩০০ কনটেইনার এখনো জাহাজের মধ্যেই রয়েছে। তারা বলেছে, অল্প কয়েকটি কনটেইনার পানিতে ভেসে থাকার সম্ভাবনা আছে। বাকিগুলো ডুবে যেতে পারে।
জাহাজটি গত অক্টোবর মাসে আটকে পড়ার পর থেকে শত শত টন তেল সমুদ্রে গড়িয়ে পড়ে। এতে পরিবেশ দূষণ হয় এবং কয়েক শ সামুদ্রিক পাখি মারা যায়। উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা এক হাজার ১০০ টনেরও বেশি তেল সরিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছেন। এখনো ৩৮৫ টন তেল জাহাজটিতে রয়ে গেছে।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের পরিবেশমন্ত্রী নিক স্মিথ বলেছেন, তিন মাস ধরে উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা অনেক কষ্ট করেছেন। এ কারণে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ‘ন্যাশনাল অন সিন কমান্ডার’ অ্যালেক্স ভ্যান বলেন, ‘জাহাজটি ডুবে যাওয়ার পর ধারণা করা হয়েছিল, বিপুল পরিমাণ তেল উপকূলের দিকে ভেসে আসবে। কিন্তু উদ্ধারকারী দলের তত্পরতায় ভেসে আসা তেলের পরিমাণ অনেক কমে আসবে বলে আশা করছি।’ তিনি আরও বলেন, এর পরও সমুদ্রের উপকূলে কোথাও কনটেইনার বা জাহাজের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেলে তার আশপাশে সাঁতার বা সার্ফিং করা ঠিক হবে না।’ বিবিসি অবলম্বনে।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ০৮/০১/২০১২

No comments:

Post a Comment