এলাকার উন্নয়নে মন্ত্রী-এমপিরা হরহামেশা 'ডিও লেটার' (চাহিদাপত্র) দিয়ে থাকেন। নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি এবং জনগণের দাবি পূরণে মন্ত্রণালয়সহ সরকারি প্রতিষ্ঠানে তারা দেন-দরবার করেন। কিন্তু চাকরিতে নিয়োগ দিতেও এখন অবৈধভাবে 'ডিও লেটার' দেওয়া হচ্ছে। সরকারি, আধা-সরকারি অথবা স্বায়ত্তশাসিত সংস্থায় প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নিয়োগ পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হলেও কোনো ধরনের নীতি-নৈতিকতার ধার না ধেরে পিডিবিতে বিভিন্ন পদে লোক নিয়োগের জন্য মন্ত্রী ও এমপিরা ডিও লেটার পাঠাচ্ছেন। ফলে জনবল নিয়োগে রাষ্ট্রীয় সংস্থাটিতে এখন রীতিমতো তদবিরের হাট বসেছে। নিয়োগ নিয়ে চলছে বাণিজ্য। তদবিরের ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই সরকারি দলের প্রভাবশালী নেতারাও। নিয়োগপ্রার্থীর পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সঙ্গে মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতাদের ভিজিটিং কার্ড জুড়ে দিয়ে কিংবা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রের ফটোকপির ওপর মন্ত্রী-এমপি ও প্রভাবশালী নেতারা জোর সুপারিশ করেও তদবির চালাচ্ছেন। শ্রম প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) পদের এক নিয়োগ প্রার্থীর পক্ষে পিডিবির চেয়ারম্যানকে ডিও দিয়েছেন। খুলনার তেরখাদার মোঃ নূরউদ্দীন শেখের ছেলে মোঃ রকিবুল ইসলামের জন্য সুপারিশ করে ডিওতে তিনি লিখেছেন, "সে আওয়ামী পরিবারের সদস্য এবং তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি ও জানি। উলি্লখিত প্রার্থীকে 'সহকারী পরিচালক (প্রশাসন)' পদে নিয়োগ প্রদানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আপনার ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপ ও সহযোগিতা কামনা করছি।" শুধু এই প্রার্থী নয়, এমন আরও বেশ কয়েকজনের জন্য তদবির করেছেন তিনি। প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী
নাজমুল ইমাম
ডা. আফছারুল আমীন এক ডিও লেটারে তিনজনকে চাকরি দিতে বলেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আবার তাতে সুপারিশ করে পিডিবিতে পাঠিয়েছেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলীও তদবির করেছেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর ইসপিনজারপুরের মোঃ আবদুল হাকিমের ছেলে নূরে আলম সিদ্দিকীকে 'উপ-সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ)' পদে নিয়োগ দিতে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদুল হাসানের কার্ড জুড়ে দিয়ে তদবির করা হয়েছে। শুধু এসব তদবির নয়; এমন হাজারো তদবির এসেছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও পিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে। এর মধ্যে ডিও লেটারই শতাধিক। প্রতিদিনই পিডিবিতে নিয়োগের জন্য তদবির আসছে। বাড়ছে এ সংক্রান্ত ডিও লেটারের সংখ্যা। শুধু মন্ত্রী, এমপি নন; ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা, আমলা, সাংবাদিক মহল থেকেও তদবির আসছে। প্রভাবশালীদের তদবিরের চাপে বেকায়দায় পিডিবি। ডিও দেওয়া ছাড়াও কেউ কেউ সশরীরে হাজির হয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে তদবির করছেন।
মন্ত্রণালয় ও পিডিবি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন সহকারী পরিচালক (হিসাব, অর্থ ও অডিট) পদের প্রার্থী কায়সার আহমেদ নোমানী (পিতা- রুহুল আমিন) ও খাইরুল হাবীব মিয়া (পিতা-আবদুল হাই মিয়া) এবং সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) পদে সুবাশিস চক্রবর্তীর (শ্যামল বরণ চক্রবর্তী) জন্য ডিও দিয়েছেন। তাতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীও সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, জামালপুর-২ আসনের সাংসদ ফরিদুল হক খান দুলালসহ শতাধিক এমপি নিয়োগ, বদলি, বদলি বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয়েও ডিও লেটার প্রদান অথবা তদবির করেছেন।
এদিকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে এই তদবিরকে ঘিরে পিডিবির ভেতরে-বাইরে চলছে বাণিজ্য। গত দু'বছরে নিয়োগ নিয়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রক্রিয়াধীন পদগুলো ঘিরে আরও বিরাট অঙ্কের বাণিজ্য হবে। অনেকে তদবির করে চাকরি দিয়ে প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছেন। কোনো কোনো মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপির পিএস অথবা এপিএসরা সুযোগ বুঝে দান মারছেন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে পিডিবির সিবিএর প্রভাবশালী নেতারাও সরাসরি নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পিডিবির চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির নিয়োগ নিয়ে কোনো প্রকার বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বিভিন্ন মহল থেকে তদবির অব্যাহত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। সমকালকে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই একাধিক তদবির আসছে। মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে তদবির আসছে। কোনো কোনো তদবির বিব্রতকর অবস্থায়ও ফেলে দেয়। তবে পিডিবিতে সব নিয়োগ নিয়ম মেনে হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এ জন্য নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিজেরা না নিয়ে বুয়েট, ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টকে (বিআইএম) দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক সমকালকে বলেন, যেখানে পরীক্ষার সাহায্যে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের এ ধরনের ডিও দেওয়া অথবা তদবির করা সরাসরি অপরাধ। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। তাই আইনের চোখে এটা দুর্নীতি ও অপরাধমূলক আচরণ। আইন অনুযায়ী দুদক এ ধরনের অপরাধ কার্যক্রমকে আমলে নিয়ে তদবিরকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অ্যাডহক ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করা হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কথা বলার সুযোগ থাকে। এলাকার উন্নয়নেও তারা ডিও লেটার দিতে পারেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুযোগ কোনোভাবেই নেই।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রথম এক বছরে পিডিবিতে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। গত বছর থেকে নতুন নিয়োগ শুরু হয়। ইতিমধ্যে দুটি পদে ১৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির এক পরিচালক জানান, তদবির এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি তদবির আসছে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে। কেউ ডিও দিয়ে, কেউবা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সুপারিশ করে দিচ্ছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়োগের জন্য ডিও দেওয়াসহ মন্ত্রী-এমপিদের তদবির এখন সাধারণ ব্যাপার। মন্ত্রণালয়েও প্রায় প্রতিদিনই তদবির আসছে।
সূত্রের অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যন্ত সব পদে তদবির হচ্ছে। চতুর্থ শ্রেণীর পদে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বাণিজ্য হচ্ছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে তদবিরে চাকরি নিতে পাঁচ লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। প্রথম শ্রেণীর পদে দিতে হয় পনের লাখ টাকার ওপরে। এক শ্রেণীর তদবিরকারীকে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হচ্ছে।
ডা. আফছারুল আমীন এক ডিও লেটারে তিনজনকে চাকরি দিতে বলেছেন। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আবার তাতে সুপারিশ করে পিডিবিতে পাঠিয়েছেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সুবিদ আলীও তদবির করেছেন। টাঙ্গাইলের ধনবাড়ীর ইসপিনজারপুরের মোঃ আবদুল হাকিমের ছেলে নূরে আলম সিদ্দিকীকে 'উপ-সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ)' পদে নিয়োগ দিতে তার পরীক্ষার প্রবেশপত্রের সঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক এবং মন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী মাকসুদুল হাসানের কার্ড জুড়ে দিয়ে তদবির করা হয়েছে। শুধু এসব তদবির নয়; এমন হাজারো তদবির এসেছে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী ও পিডিবির চেয়ারম্যানের কাছে। এর মধ্যে ডিও লেটারই শতাধিক। প্রতিদিনই পিডিবিতে নিয়োগের জন্য তদবির আসছে। বাড়ছে এ সংক্রান্ত ডিও লেটারের সংখ্যা। শুধু মন্ত্রী, এমপি নন; ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী নেতা, আমলা, সাংবাদিক মহল থেকেও তদবির আসছে। প্রভাবশালীদের তদবিরের চাপে বেকায়দায় পিডিবি। ডিও দেওয়া ছাড়াও কেউ কেউ সশরীরে হাজির হয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর কাছে তদবির করছেন।
মন্ত্রণালয় ও পিডিবি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী ডা. আফছারুল আমীন সহকারী পরিচালক (হিসাব, অর্থ ও অডিট) পদের প্রার্থী কায়সার আহমেদ নোমানী (পিতা- রুহুল আমিন) ও খাইরুল হাবীব মিয়া (পিতা-আবদুল হাই মিয়া) এবং সহকারী প্রকৌশলী (তড়িৎ) পদে সুবাশিস চক্রবর্তীর (শ্যামল বরণ চক্রবর্তী) জন্য ডিও দিয়েছেন। তাতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীও সুপারিশ করেছেন। এ ছাড়া বাণিজ্যমন্ত্রী লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান এমপি, জামালপুর-২ আসনের সাংসদ ফরিদুল হক খান দুলালসহ শতাধিক এমপি নিয়োগ, বদলি, বদলি বাতিলসহ বিভিন্ন বিষয়েও ডিও লেটার প্রদান অথবা তদবির করেছেন।
এদিকে বিভিন্ন পদে নিয়োগ নিয়ে এই তদবিরকে ঘিরে পিডিবির ভেতরে-বাইরে চলছে বাণিজ্য। গত দু'বছরে নিয়োগ নিয়ে প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার বাণিজ্য হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রক্রিয়াধীন পদগুলো ঘিরে আরও বিরাট অঙ্কের বাণিজ্য হবে। অনেকে তদবির করে চাকরি দিয়ে প্রার্থীর কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিচ্ছেন। কোনো কোনো মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও এমপির পিএস অথবা এপিএসরা সুযোগ বুঝে দান মারছেন। ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে পিডিবির সিবিএর প্রভাবশালী নেতারাও সরাসরি নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে পিডিবির চেয়ারম্যান এএসএম আলমগীর কবির নিয়োগ নিয়ে কোনো প্রকার বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে বিভিন্ন মহল থেকে তদবির অব্যাহত থাকার কথা তিনি স্বীকার করেছেন। সমকালকে তিনি বলেন, প্রায় প্রতিদিনই একাধিক তদবির আসছে। মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দলের নেতাসহ বিভিন্ন পর্যায় থেকে তদবির আসছে। কোনো কোনো তদবির বিব্রতকর অবস্থায়ও ফেলে দেয়। তবে পিডিবিতে সব নিয়োগ নিয়ম মেনে হচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, এ জন্য নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা নিজেরা না নিয়ে বুয়েট, ঢাকা পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টকে (বিআইএম) দিয়ে নেওয়া হচ্ছে।
আইন বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক সমকালকে বলেন, যেখানে পরীক্ষার সাহায্যে লোক নিয়োগ করা হচ্ছে, সেখানে মন্ত্রী-এমপিদের এ ধরনের ডিও দেওয়া অথবা তদবির করা সরাসরি অপরাধ। এটা ক্ষমতার অপব্যবহার। তাই আইনের চোখে এটা দুর্নীতি ও অপরাধমূলক আচরণ। আইন অনুযায়ী দুদক এ ধরনের অপরাধ কার্যক্রমকে আমলে নিয়ে তদবিরকারীদের শাস্তির মুখোমুখি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, অ্যাডহক ভিত্তিতে লোক নিয়োগ করা হলে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কথা বলার সুযোগ থাকে। এলাকার উন্নয়নেও তারা ডিও লেটার দিতে পারেন। কিন্তু প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক পরীক্ষা দিয়ে জনবল নিয়োগের ক্ষেত্রে এ ধরনের সুযোগ কোনোভাবেই নেই।
বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং বর্তমান মহাজোট সরকারের প্রথম এক বছরে পিডিবিতে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। গত বছর থেকে নতুন নিয়োগ শুরু হয়। ইতিমধ্যে দুটি পদে ১৮৩ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
পিডিবির এক পরিচালক জানান, তদবির এখন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সবচেয়ে বেশি তদবির আসছে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে। কেউ ডিও দিয়ে, কেউবা নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্রে সুপারিশ করে দিচ্ছেন।
বিদ্যুৎ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, নিয়োগের জন্য ডিও দেওয়াসহ মন্ত্রী-এমপিদের তদবির এখন সাধারণ ব্যাপার। মন্ত্রণালয়েও প্রায় প্রতিদিনই তদবির আসছে।
সূত্রের অভিযোগ, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী থেকে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা পর্যন্ত সব পদে তদবির হচ্ছে। চতুর্থ শ্রেণীর পদে তিন লাখ থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত বাণিজ্য হচ্ছে। দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা পদে তদবিরে চাকরি নিতে পাঁচ লাখ থেকে দশ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ করতে হয়। প্রথম শ্রেণীর পদে দিতে হয় পনের লাখ টাকার ওপরে। এক শ্রেণীর তদবিরকারীকে চাকরি দেওয়ার নামে মোটা অঙ্কের অর্থ দিতে হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment