Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Friday, April 13, 2012

স্কুলে পর্নোভিডিওর ছড়াছড়ি

ঢাকা, ১২ এপ্রিল: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিরতে অবস্থিত  ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও নীলক্ষেতের পাশে নীলক্ষেত হাই স্কুলে ক্লাসে শিক্ষার্থীদের কাছে মোবাইলে পর্নোভিডিও পাওয়া গেছে। তবে এই ঘটনা বিদ্যালয় প্রশাসনের অনেকই জানলেও বলতে চান না কেউ। এমনকি এই বিষয়ে কথা বলতে গেলে একটি স্কুলের অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন ভাষায় কথা বলেন।
জানা গেছে, এ সপ্তাহের প্রথমদিকে  ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক আর শিক্ষার্থীরা নীচের দিকে তাকিয়ে আছেন। বিষয়টি শিক্ষকের নজরে এলে তিনি এগিয়ে যান শিক্ষার্থীদের কাছে। গিয়ে দেখেন তারা মোবাইলে পর্নোভিডিও দেখছে। তারা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিষয়টি  জানানো হয় অধ্যক্ষকে। কৌশলে অনেকের মোবাইল বাজেয়াপ্ত করা হয়। ৫৬ জন শিক্ষার্থীর মোবাইলে পাওয়া যায় পর্নোভিডিও।
একই ঘটনা ঘটেছে নীলক্ষেত হাইস্কুলে। সেখানে ৭০ জন শিক্ষার্থীর মোবাইলে পর্ণোভিডিও পাওয়া যায়। পর্ণোভিডিও পাওয়াদের মধ্যে বেশিরভাগই মেয়ে। ওইসব শিক্ষার্থীর মোবাইল আটক করেছে কর্তৃপক্ষ। আর এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ ২৪ জন শিক্ষার্থীকে প্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানা গেছে। আবার কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, একজন শিক্ষার্থী বহিষ্কারের করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ বলেছে, শিক্ষার্থীদের ব্যবহৃত বেশিরভাগ মোবাইলই দামি। রাজধানীর বেশিরভাগ স্কুলগুলোতেই ক্লাশ চলাকালীন অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। ১৮ বছরেরর কম বয়েসীদের মোবাইলের সিম বিক্রিও নিষিদ্ধ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত স্কুলগুলোতে গত কয়েক মাসে প্রায় তিন শতাধিক মোবাইল আটক করা হয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর অধিকংশই নবম-দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
অপরদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থিত নীলক্ষেত হাইস্কুলে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ। কিন্তু এক শিক্ষকের হিসাব মতে এখানকার শিক্ষার্থীদের অধিকাংশই মোবাইল ব্যবহার করে। বিভিন্ন  সময় পর্নোছবি পাওয়ায় মোবাইল ফোন ভেঙেও ফেলা হয়েছে। তারপরেও থেমে নেই। গত সপ্তাহে এই স্কুলে আটক হয়েছে প্রায় ৭০টির মতো মোবাইল ফোন। এসব ফোনের বেশিরভাগই মেমোরি কার্ড ভর্তি ছিল বিভিন্ন দেশী বিদেশি পর্নোগ্রাফিতে। এর কারণ অনুসন্ধানের জন্য গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। কমিটির দেয়া রিপোর্টের আলোকে ব্যবস্থা নেবে স্কুলের শৃঙ্খলা কমিটি। তবে অতীতেও এ ধরনের ব্যবস্থা নিতে গেলেও ব্যর্থ হয়েছে স্কুল প্রশাসন।
নীলক্ষেত স্কুলের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, ‘‘অভিবাবকদের উদাসীনতার জন্যই সন্তানরা এই কুপথে যাওয়ার সুযোগ পায়। অতি দ্রুত এই সর্বনাশা পথ থেকে শিশুদের অক্ষত না রাখতে পারলে আগামী প্রজন্মকে চরম মূল্য দিতে হবে।’’
তিনি বলেন, ‘‘২০১০-১১ সালে এই ধরনের প্রবণতা অনেক কম ছিল। বর্তমানে অনেক বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী ও শিক্ষকদের জন্য এই ঘটনায় কাউকে বহিষ্কার করা যায়নি। আর বাবা-মার অবহেলার জন্যই এই ধরনের ঘটনা ঘটছে।’’
এই সব শিক্ষার্থীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে আরও ভয়াবহ অবস্থা ঢাকা ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের। এ স্কুলেরও প্রায় ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী ব্যবহার করে মাল্টিমিডিয়া মোবাইল। তাদের খবরও বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জানেন না অভিবাবকরা। গত দুই মাসে প্রায় ৫৬ জনের কাছে পাওয়া গেছে পর্নোগ্রাফিসহ মোবাইল ফোন। এর মধ্যে ২৪ জনের বিরুদ্ধে নেয়া হয়েছে ব্যবস্থা। তাদেরকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
অভিযোগ ওঠেছে, অনেক শিক্ষক এদের বহিষ্কারের পক্ষে থাকলেও কলেজের অধ্যক্ষ দ্বৈত ভূমিকা পালন করছেন।
সূত্র মতে, তিনি বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। অনেক শিক্ষার্থীর অভিবাবক প্রভাবশালী। ফলে তিনি ঝুঁকি নিয়ে তার পদ হারাতেও চাইছেন না। স্কুলের ক্লাসের ফাঁকে ফাঁকে এসব পর্নো ভিডিও দেখেন শিক্ষার্থীরা। বাথরুমের নাম বলে সেখানে চার পাঁচজন একত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পর্নোভিডিও দেখেন। গত কয়েকদিন আগে ফুল গাছের ঝোপের আড়ালে বসে এক শিক্ষার্থী পর্নোভিডিও দেখার সময় হাতেনাতে আটক হয় এক শিক্ষকের হাতে। পরে তাকেও বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তাছাড়া অনেক শিক্ষার্থীই ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় বসে পর্নোছবি দেখে। স্কুল চলাকালীন প্রতিদিনই দেখা যায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এসব স্কুলের ড্রেস গায়ে শিক্ষার্থীদের আড্ডা দিতে।
অনেকেই শিক্ষক ও প্রক্টরিয়াল টিমের হাতে আটকও হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড.এম আমজাদ আলী বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, ‘‘দু তিনজনের বহিষ্কারের কথা শুনেছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা শুনেছি।’’
এ বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবুল এহসান বার্তা২৪ ডটনেটকে বলেন, “আমি দু’একটি ঘটনা শুনেছি। তবে বহিষ্কারের খবর জানি না।”
এ বিষয়ে  কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষ সেলিনা বানুর সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় তিনি উত্তেজিতভাবে বলেন, ‘‘আমার স্কুলে কী হবে না হবে সেটা আমি কারও কাছে বলতে বাধ্য নই। যদি কোনো তথ্য দিতে হয় সেটা ভিসি-প্রক্টর দিবেন। আমার স্কুল সম্পর্কে কোনো নিউজের প্রয়োজন নেই।’’
পরে এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এম আমজাদ আলী বলেন, ‘‘সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা ঠিক হয়নি। এভাবে কথা বলা তার উচিত হয়নি। তথ্য ভুল হলে তিনি বললেই পারতেন।’’
ভিসি অধ্যাপক ড.আআমস আরেফিন সিদ্দিককে বার্তা২৪ ডটনেট বলেন, ‘‘কি হয়েছে আমি জানি না। প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলি।” আর সাংবাদিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা সঠিক হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।

No comments:

Post a Comment