Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Thursday, February 2, 2012

নির্মাণের দেড় বছরেই মেঝে ধসে ৯ ফুট নিচে


  • ফেঞ্চুগঞ্জের সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের মেঝে রোববার ধসে পড়ে (বাঁয়ে)। ম�
    ফেঞ্চুগঞ্জের সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষের মেঝে রোববার ধসে পড়ে (বাঁয়ে)। মঙ্গলবার ধসে পড়ে ভবনের বারান্দার মেঝে
    প্রথম আলো



    সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধনের দেড় বছরের মাথায় শ্রেণীকক্ষ ও বারান্দার মেঝে ধসে প্রায় নয় ফুট গভীর হয়ে গেছে। ভয়ে শিশুরা বিদ্যালয়ে যাচ্ছে না বলে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন।
    ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ায় ভবনের দুটি কক্ষে ছাত্রছাত্রীদের পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি এর আগেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহারের লিখিত অভিযোগ করে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কাজের মান নিয়ন্ত্রণ না করায় ভবনটির বিভিন্ন অংশ ধসে পড়ছে। ১৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ ভবনটি ২০১০ সালের ৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

    একটি শ্রেণীকক্ষে গত রোববার আন্তপ্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতিযোগিতা চলার সময় হঠাৎ মেঝে ধসে পড়লে ছয় ছাত্রী গুরুতর আহত হয়। মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা পরিষদের একটি প্রতিনিধিদল বিদ্যালয় পরিদর্শন করতে গেলে তাদের সামনেই ধসে পড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দাও। এতে শিক্ষকসহ ছয় ব্যক্তি আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।

    স্থানীয় প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ২০০৬-০৭ অর্থবছরে পিইডিপি-২-এর আওতায় ১৪ শতাংশ ঊর্ধ্বদরে ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা ব্যয়ে ২০০৭ সালের ২৯ মে বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণের কার্যাদেশ পায় স্থানীয় মেসার্স রঞ্জিত দাস কনস্ট্রাকশন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২০০৯ সালের ১৫ জুন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর নির্মাণকাজের বিভিন্ন অনিয়মের লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। কিন্তু স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা কাজের সঠিক মান নিশ্চিত করেননি। 
    প্রকল্পের কাজ তদারকির দায়িত্বে ছিলেন উপসহকারী প্রকৌশলী অনুপ কুমার। স্থানীয় লোকজন জানান, প্রকৌশলী অনুপ কুমার ঠিকাদার অনাদি রঞ্জন দাশের সঙ্গে মাঝেমধ্যে আসতেন। আবার এক সঙ্গেই চলে যেতেন। ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান বিদ্যালয় ভবনের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে ২০১০ সালের ২ সেপ্টেম্বর চূড়ান্ত বিল তুলে নেয়। আর দেড় বছরের মাথায় ভবনের মেঝে ও বারান্দা দেবে ও ধসে ছাত্রছাত্রীসহ ১২ ব্যক্তি আহত হওয়ায় প্রশাসনের টনক নড়ে। 
    সরেজমিনে মঙ্গলবার সুলতানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘুরে দেখা যায়, পূর্ব দিকের শ্রেণীকক্ষের একাংশ ধসে গেছে। ১৫ ফুট দীর্ঘ আট ফুট প্রস্থের মেঝে ধসে প্রায় নয় ফুট গভীরে চলে গেছে। মেঝের নিচে মাটি নেই। বালুর সঙ্গে পানি রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের পরামর্শে ধসে পড়া ভবন তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছে। 
    দুর্ঘটনার পর থেকে বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতি কমে গেছে। বিদ্যালয়ের ১৮৫ জন ছাত্রছাত্রীর মধ্যে দুর্ঘটনার পরদিন মাত্র ১৩ জন ছাত্রছাত্রী উপস্থিত ছিল। মঙ্গলবার তাদের উপস্থিতির সংখ্যা ছিল ২৬ জন।
    অভিভাবক মঈন উদ্দিন বলেন, ‘দুর্ঘটনার বাদ থাকি পুড়ি (মেয়ে) ডরাইয়া স্কুলো আর না। জোর করলে কান্দি দেয়।’ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শাহিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা নিজেরাই যেখানে ভয় পাচ্ছি, সেখানে ছাত্রছাত্রীরা ভয় পাওয়ার কথা।’ বিদ্যালয়ের শ্রেণীকক্ষ ধসে পড়ার ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
    ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের দক্ষিণ পাশে নতুন ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে। বন্যার পানি যাতে ভবনে ঢুকতে না পারে, এ জন্য পুরাতন ভবনের চেয়ে ছয় ফুট উঁচু করে নির্মাণ করা হয় নতুন ভবন। 
    এলাকার প্রবীণ লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, যেখানে নতুন ভবন নির্মাণ করা হয়েছে, সেখানে ডোবা ছিল। ঠিকাদারিপ্রতিষ্ঠান ভালো করে মাটি ভরাট না করে মেঝে ঢালাই করে ফেলে।
    প্রধান শিক্ষক শশাংক কুমার নাথ বলেন, ‘ভবন নির্মাণকাজের প্রাথমিক পর্যায়ে ঠিকাদার নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করলে আমরা লিখিত অভিযোগ করি। কিন্ত তাদের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিদ্যালয় ছুটি হওয়ার পর ও বন্ধের দিন তারা কাজ করত।’
    ঠিকাদার অনাদি রঞ্জন দাশ অনিয়মের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কাজের কোনো অনিয়ম হয়নি। মেঝের নিচের মাটি সরে যাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আমি বিল তুলে নিয়েছি। এখন আমার কোনো দায়বদ্ধতা নেই।’
    উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী মো. আবুল কালাম আজাদ মোল্লা বলেন, ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। ইতিমধ্যে বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁদের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী কার্যক্রম শুরু করা হবে। 
    সূত্র:প্রথমআলো.কম, 02/02/2012

    No comments:

    Post a Comment