Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Monday, January 2, 2012

জাহানারার চোখে বেঁচে থাকার স্বপ্ন


জাহানারা জব্বার
জাহানারা জব্বার
বিরল এক জন্মগত ত্রুটি নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে জাহানারা জব্বার। জন্মের সময় তার পাকস্থলী, যকৃৎসহ আরও কিছু অঙ্গ ছিল পেটের বাইরে। এ অবস্থায় বাংলাদেশে তাকে বাঁচিয়ে রাখা ছিল প্রায় অসম্ভব। নেওয়া হয় অস্ট্রেলিয়ায়। গত সাত বছর দফায় দফায় তার শরীরে অস্ত্রোপচার করেছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।
১০ বছর বয়সী জাহানারার অবস্থা এখন আগের থেকে কিছুটা ভালো। তবে এখনো সে চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানেই আছে। এ অবস্থায় তাকে আর অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে দিতে চায়নি সেখানকার সরকার। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানান, জাহানারাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো মানে শিশুটিকে
‘নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া। অবশেষে মানবিক দিক বিবেচনা করে শেষমুহূর্তে জাহানারা ও তার পরিবারের সদস্যদের স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার অনুমতি মিলেছে।
জাহানারার মা পপি জানান, অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস বোয়েন নিজে বিষয়টি দেখেছেন জেনে তিনি খুশিতে কেঁদে ফেলেন। তিনি বলেন, ‘সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এখন মনে হচ্ছে, আমার শিশুকন্যা জাহানারা বেঁচে থাকবে এবং ভালো থাকবে।’
জন্মের সময় জাহানারার পাকস্থলী ও যকৃৎসহ আরও কিছু অঙ্গ ছিল পেটের বাইরে। চিকিৎসাবিদ্যায় এই অবস্থাকে বলা হয় ‘এক্সোমফেলোস’। এটি খুবই বিরল একটি জন্মগত ত্রুটি। এর চিকিৎসা করার মতো বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বাংলাদেশে নেই। ওই অবস্থায় ২০০৪ সালে চিকিৎসা ভিসায় জাহানারাকে অস্ট্রেলিয়ায় নেওয়া হয়। সেখানে তার শরীরে প্রথম সফল অস্ত্রোপচার হয়। কিন্তু এর পর থেকে দেখা দেয় বিভিন্ন জটিলতা। র‌্যান্ডউইকে অবস্থিত সিডনি শিশু হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয় তাকে। এরপর গত সাত বছরে তার শরীরে আরও ছয়বার বড় ধরনের অস্ত্রোপচার হয়েছে। সর্বশেষ অস্ত্রোপচার হয় দুই বছর আগে। এর পর থেকে সে শুধু তরল খাবার খাচ্ছে।
এ অবস্থায় জাহানারাকে বাঁচিয়ে রাখতে চিকিৎসকেরা যখন লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন, তখন অভিবাসন অধিদপ্তর হঠাৎ করে জাহানারার পরিবারকে জানিয়ে দেয়, তাদের অস্ট্রেলিয়া ছাড়তে হবে। বিপদে পড়ে যায় তারা। তখন তাদের বিষয়টি নিজের হাতে তুলে নেন সিডনির অভিবাসন আইনজীবী অ্যানি ও’ডনোঘুয়ে ও তাঁর সহযোগীরা। জাহানারার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত নিয়ে তাঁরা জানান, মেয়েটিকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো মানে তাকে ‘নিশ্চিত মৃত্যুদণ্ড’ দেওয়া। তাঁরা দ্বারস্থ হন অভিবাসনমন্ত্রী ক্রিস বোয়েনের। অবশেষে মানবিক দিক বিবেচনা করে জাহানারা, তার মা পপি, বাবা আবদুল ও বোন পপিকে স্থায়ীভাবে অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে দিতে রাজি হন মন্ত্রী।
আইনজীবী ও’ডনোঘুয়ে বলেন, ‘...জাহানারার জীবন ছিল হুমকির মুখে। আমরা যদি ব্যর্থ হতাম, তবে তা থেকে একটি মর্মান্তিক পরিণতির সৃষ্টি হতো।’
জাহানারার পরিবার এখন থাকে সিডনির নিউটাউন এলাকায়। নিজেদের ব্যয়ভার নির্বাহের জন্য তারা এখন একটি রেস্তোরাঁ চালুর পরিকল্পনা করছে। আর সে সঙ্গে শিশু জাহানারার চোখেও জেগে থাকল বেঁচে থাকার স্বপ্ন। সূত্র: সিডনি মর্নিং হেরাল্ড
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ০২/০১/২০১২

No comments:

Post a Comment