Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Friday, December 30, 2011

জেলে না যাওয়ার শিক্ষা দিচ্ছেন জল্লাদ বাবুল!


বিখ্যাত হওয়ার কত-ই না উপায়! তবে সবাই বিখ্যাত হন কোনো-না কোনো গুণবাচক কীর্তির জন্য। কিন্তু হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন জেল খাটা আসামি যদি কুখ্যাত না হয়ে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন, তাতে আশ্চর্য হওয়ারই কথা। এমনটিই ঘটেছে জল্লাদ বাবুল মিয়ার ক্ষেত্রে। বঙ্গবন্ধুর খুনিসহ ১৭ ব্যক্তির ফাঁসির রায় কার্যকর করা বাবুলকে বিবিসির প্রতিবেদনে বাংলাদেশের সবচেয়ে ‘বিখ্যাত’ জল্লাদ হিসেবেই আখ্যায়িত করা হয়েছে।

নিজ গ্রামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে বাবুল মিয়াকে সারা জীবন জেলের ১৪ শিকের ভেতরই পচে-গলে মরার কথা ছিল। তবে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া ১৭ ব্যক্তিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা ও জেলখানায় ভালো আচরণের জন্য তাঁকে আগেভাগেই মুক্তি দেওয়া হয়। ২২ বছর জেলে থাকার পর গত বছর তিনি সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্তি পান। গ্রামে ফিরে কাউকে যাতে আর জেলে যেতে না হয় সবাইকে সেই শিক্ষা দিচ্ছেন বাবুল।
আজ শুক্রবার বিবিসিতে জল্লাদ বাবুলের সাক্ষাত্কার ছাপানো হয়। এতে বলা হয়, বাংলাদেশে কয়েক ডজন জল্লাদ থাকলেও বাবুল মিয়াই অন্য সবার চেয়ে ‘বিখ্যাত’। 
১৯৮৯ সালে বাবুলকে যখন কারাগারে নেওয়া হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ১৭। নিজ গ্রামের এক ব্যক্তিকে খুনের দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হলেও বাবুলের দাবি, তিনি খুন করেননি।
বিবিসির সঙ্গে সাক্ষাত্কারে বাবুল বলেন, ‘ইচ্ছার বিরুদ্ধেই জল্লাদ হতে হয়েছিল। জেল কর্তৃপক্ষ বলেছিল, যদি জল্লাদ হই, তবে একজনের ফাঁসি কার্যকরের বিনিময়ে আমার দুই মাসের সাজা কমিয়ে দেওয়া হবে। সুতরাং, তাদের ওই প্রস্তাব আমি গ্রহণ করি।’ 
প্রায় দুই দশক পর গত বছর মুক্তি পাওয়ার পর বিবিসিকে বাবুল বলেন, ‘মুক্তির পর আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়ি। গ্রামের বাড়িতে ফেরার সময় মনে হচ্ছিল, এটা নতুন একটি পৃথিবী।’
বাড়িতে ফেরার পর তিনি বিয়ে করে সংসার পেতেছেন। অনেকেই তাঁকে চাকরি দিতে চেয়েছেন। তবে সেসব কিছুই করেননি তিনি। নিয়মিত চাকরির পরিবর্তে তিনি বর্তমানে নিজ ভাইয়ের জমিতে কাজ করে ও গবাদিপশু পালন করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। 
বাবুল জানান, ফাঁসি দেওয়ার প্রত্যেকটি ঘটনায় তিনি কষ্ট পেলেও একটি ঘটনায় তিনি নিজেকে গর্বিত মনে করেন। ২০১০ সালের জানুয়ারি মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করার জন্য তাঁর ডাক পড়ে। এ সময় সাবেক পাঁচ সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে তাঁদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন তিনি। বাবুল বলেন, ‘...তারা দেশের সবচেয়ে মহান নেতাকে হত্যা করেছিল। হত্যাকারীরা সংখ্যায় শতজনও হলেও, কোনো দ্বিধা ছাড়াই আমি তাদের ফাঁসিতে ঝোলাতাম।’
নিজ গ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠায় জেলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাচ্ছেন বাবুল। জানালেন, গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে ঝগড়া বা মারামারি বাধলে তিনি সেখানে গিয়ে বিবাদ মিটিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি সবাইকে বলেন, ‘আমাকে দেখে শিক্ষা নাও। এ ধরনের একটি ঘটনার কারণেই আমাকে জেলে যেতে হয়েছিল। ২২ বছর পরে ফিরেছি। তোমরাও কি এ ধরনের পরিণতি চাও? এতেই কাজ হয়। তারা আলোচনার মধ্য দিয়ে সমঝোতা করে নেয়।’ বিবিসি অনলাইন।
সূত্র: প্রথমআলো.কম, ৩০/১২/২০১১

No comments:

Post a Comment