Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Tuesday, November 22, 2011

বঙ্গবন্ধুর সময়ও রিজার্ভ মানি ছিল না


সোমবার, ২১ নভেম্বর ২০১১
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সীমিত সম্পদ নিয়েও সরকার দেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে। তারপরও বলা হচ্ছে দেশের অর্থনীতিতে হাহাকার। টাকা  নেই, টাকা নেই। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, কিসের টাকা নেই? চালাতে পারলে ঠিকই চালানো যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সময় দেশে কোন রিজার্ভ মানি ছিল না। তখন কি  দেশ চলেনি? গতকাল রাজধানীতে আয়োজিত পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা বলেন, রিজার্ভ মানি রাখা হয় যাতে তিন মাসের জন্য খাদ্য আমদানি করা যায়। যাদের বছরের খাবার থাকে না তাদের দুশ্চিন্তা থাকে। আমাদের খাদ্যের সমস্যা নেই। যেহেতু আমাদের খাদ্য আছে, দুশ্চিন্তা করার কারণ নেই। তিনি বলেন, অনেকে সমালোচনা করেন সরকার ধার-কর্জ করে চলছে। সরকার তো ধার-কর্জ করছে জনগণের জন্য। দেশের উন্নয়নের জন্য, বিলাসিতার জন্য নয়। এত সমালোচনা কেন? সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, মন্দার জন্য বিশ্ব এগিয়ে যেতে না পারলেও আমরা এগোচ্ছি। আমাদের মাথাপিছু গড় আয় ৮২৮ ডলারে উন্নীত করেছি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিরোধী দলের নেত্রী যুদ্ধাপরাধীদের রক্ষা করতে প্রকাশ্যে মাঠে নেমেছেন। রেখে ঢেকে নয়, একেবারে খোলামেলাভাবে। যতই চেষ্টা করা হোক সরকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেই। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি অভিশাপমুক্ত হয়েছে। আর যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে জাতি শুধু অভিশাপমুক্ত হবে না- এর মাধ্যমে দুষ্টচক্র অতীতে দেশের মানুষকে যে অত্যাচার-নির্যাতন করেছে, শোষণ-বঞ্চনার শিকার হয়েছে- মানুষ ওই অত্যাচার-নির্যাতন থেকে মুক্ত হবে। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, পেশাজীবীদের অধিকার নিয়ে অনুষ্ঠিত সমাবেশ ও কনভেনশনে প্রধানমন্ত্রী পেশাজীবীদের উদ্দেশে বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিষয়ে জনমত গড়তে মানুষকে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের কোন অঞ্চল তাদের অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পায়নি এবং যারা তাদের হাতে নিগৃহীত হয়েছেন, তারা কখনও এ স্মৃতি ভুলতে পারেন না। ১৯৭৫ সালে জাতির জনককে হত্যার পর জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ঘাতকরা রাষ্ট্রক্ষমতা দখল এবং জাতিকে শোষণ করে। বিগত ৩ বছরের কম সময়ে অনেক অগ্রগতি হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর এবং জাতিকে হতাশায় নিমজ্জিত করার মতো বক্তব্য দেয়ার পরিবর্তে আশা ও উদ্দীপনা সৃষ্টির চেষ্টা করতে হবে। সরকার উন্নয়ন কর্মকাণ্ড বাস্তবায়নে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে, বিলাসিতার জন্য নয়। আমরা জনগণের আস্থা অটুট রাখতে চাই এবং তাদের জন্য কাজ করছি। অনুষ্ঠানে পেশাজীবী নেতা কনভেনশন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. কামরুল হাসান, কাজী ফারুক আহমেদ, অধ্যাপক আবুল বারাকাত, কৃষিবিদ বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আনোয়ার হোসেন, বুয়েটের ভিসি অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল বাসেত মজুমদার এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরীও বক্তব্য রাখেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে বিকৃত করতে ব্যর্থ হয়ে এখন জনগণকে বিস্মৃতির দিকে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের যুবসমাজ মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস না জানায় তারা এ পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চাইছে। সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে পেশাজীবীদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের যুগপৎ আন্দোলনের ফলে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা জাতিকে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখাতে শুরু করি। ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমাদের শাসনামল ‘জাতির জন্য একটি স্বর্ণযুগ’ ছিল। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের দুঃশাসনের কারণে সকল সাফল্য বিলীন হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা জনগণের এ ভোটাধিকারে বিশ্বাস করি। আমাদের শাসনামলে সকল উপ-নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং কোন নির্বাচনে আমরা হস্তক্ষেপের চেষ্টা করিনি। এ কারণে গত বছর হবিগঞ্জ উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজয় বরণ করেছে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থীর খুবই নগণ্য ভোট পাওয়ার কথা উলেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির উচিত এ নির্বাচন থেকে তাদের অবস্থান ও জনপ্রিয়তা পুনঃমূল্যায়ন করে দেখা। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জোরদার করারও সকল প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার সরকার। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সরকারের কোন প্রকার হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যারা বিদ্যুৎ উৎপাদনে ভর্তুকি দেয়ার বিরুদ্ধে কথা বলছেন তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জরুরিভিত্তিতে পরিস্থিতি মোকাবিলায় তেলভিত্তিক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের অনুমতি দেয়া ছাড়া কোনও বিকল্প ছিল না। গত তিন বছরে আমরা জাতীয় গ্রিডে ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত করেছি। ক্ষুদ্র বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে ভর্তুকি দেয়া না হলে এটা সম্ভব হতো না।
সূত্র: মানবজমিন

No comments:

Post a Comment