শেষ বিদায় জানানো হলো উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ভূপেন হাজারিকাকে। আজ বুধবার সকালে জন্মভিটা আসামে লাখো মানুষ শেষ বিদায় জানায় তাঁকে। তারপর সম্পন্ন হয় শেষকৃত্যানুষ্ঠান। এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় গুয়াহাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে শিশু উদ্যানে।
ভূপেন হাজারিকা গত শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
ভূপেন হাজারিকা গত শনিবার বিকেলে মুম্বাইয়ের কোকিলাবেন ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।
সোমবার দুপুরে মুম্বাই থেকে বিমানযোগে তাঁর মরদেহ নিয়ে আসা হয় আসামের রাজধানী গুয়াহাটিতে। এরপর হাজারো মানুষের শোক মিছিলসহ মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় ২৬ কিলোমিটার দূরে তাঁর নিজরাপাড়ের আবাসগৃহে।
শেষকৃত্যে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁর কানাডাপ্রবাসী একমাত্র ছেলে তেজ হাজারিকা সস্ত্রীক গুয়াহাটি আসেন মঙ্গলবার।
সোমবার বিমানবন্দরে ভূপেন হাজারিকার মরদেহ এসে পৌঁছানোর পর সেখানে গিয়ে মরদেহে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে গভীর শ্রদ্ধা জানান আসামের রাজ্যপাল জানকিবল্লভ পাটনায়েক, মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈসহ আসামের বিশিষ্টজনেরা।
সর্বসাধারণের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ভূপেন হাজারিকার মরদেহ রাখা হয় গুয়াহাটির জাজেস ময়দানে। কথা ছিল, মঙ্গলবার দুপুরে শেষকৃত্য হবে। কিন্তু ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধা জানানোর সুযোগ দেওয়ার জন্য জন্য শেষকৃত্যানুষ্ঠান এক দিন পিছিয়ে বুধবার সকাল সাতটায় করা হয়।
ভূপেন হাজারিকার শেষকৃত্য শান্তিপূর্ণভাবে শেষ করতে আসামের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন উলফা পরেশ গোষ্ঠী অস্ত্রবিরতি ঘোষণা করে। আসাম সরকার তাঁর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য রাজ্যব্যাপী তিন দিনের শোক পালন করে।
শেষকৃত্যানুষ্ঠানে প্রয়াত শিল্পীর মুখাগ্নি করেন তাঁর একমাত্র ছেলে তেজ হাজারিকা। তখন হাজারো কণ্ঠে ধ্বনিত হয়, ‘ভূপেন হাজারিকা অমর রহে।’
ভূপেন হাজারিকার শেষকৃত্যানুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ থেকে ৮০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গুয়াহাটি গেছে।
সূত্র: প্রথমআলো.কম
No comments:
Post a Comment