শাহ্রিয়ার সৌরভ
ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। দিনক্ষণ জানিয়ে ঘোষণা করেছেন তারা। অনেকের মতে, পৃৃথিবীর বুকে নেমে আসবে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়। আবার কারও কারও মতে, প্রকৃতি নয়, মানুষের নিজের ভুলেই ঘনিয়ে আসছে পৃথিবীর শেষ দিন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের মুখে ছাই দিয়ে এখনও বহাল তবিয়তে পৃথিবী নামক এই গ্রহটি। ভবিষ্যদ্বাণী ব্যর্থ হলেও মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে এসব বাণী। এ নিয়ে হলিউডে নির্মিত হয়েছে অসংখ্য ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র। বর্তমান বিশ্বের পরিস্থিতি, বিজ্ঞানীদের গবেষণা আর নানা দিক ব্যাখ্যা করে পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা একেবারে উড়িয়েও দেওয়া যায় না। তবে ব্যাপক আলোচিত হলেও ব্যর্থ হয়েছে এমন কিছু ভবিষ্যদ্বাণী তুলে ধরা হয়েছে এ রচনায়।
মায়ান ক্যালেন্ডার- ২০১২
আর মাত্র বছর দেড়েক। এরপরই নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী! ভাবতে অবাক লাগলেও মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার বলছে, ২০১২ সালে ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। এ নিয়ে হলিউডে নির্মিত '২০১২' শীর্ষক মুভিটি দারুণ সাড়াও জাগিয়েছে। সভ্যতার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন ছিল ২০০০ বছর আগেকার মায়া সভ্যতা। মায়াদের সময় বিশ্বজুড়ে স্থাপত্য, সংস্কৃতি আর বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে অগ্রগতি ছিল নজিরবিহীন। সেই সময় মায়ারা তৈরি করে এক রহস্যময় ক্যালেন্ডার। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যাপার হচ্ছে, মায়া পঞ্জিকায় আজ পর্যন্ত যত ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে তার প্রতিটিই কালের আবর্তে সত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে। আর এ কারণেই পৃথিবী ধ্বংসের আশঙ্কা নিয়ে এত বেশি আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু কী আছে মায়া ক্যালেন্ডারে? জিনিসটাই-বা কী? পুরাতন সেই মায়া সভ্যতা ইতিহাসের এক অনুপম সৃষ্টি। সময় এবং সৃষ্টির সুন্দর বিন্যাস সম্পর্কে মায়ারা অনেক আগেই অবগত ছিলেন। তাদের ছিল ভবিষ্যৎ জানার নান্দনিক ক্ষমতা। মায়ারা আগে থেকেই জানত যে চাঁদ, শুক্র এবং অন্য গ্রহগুলো মহাবিশ্বে চক্রাকারে ঘুরছে। সেই সময়েই তারা নিখুঁতভাবে সময় গণনা করতে পারত। তাদের একটি পঞ্জিকা ছিল, যাতে সৌর বছরের প্রতিটি মিনিটের নিখুঁত বর্ণনা ছিল। মায়ারা মনে করত, প্রতিটি জিনিসের ওপর সময়ের প্রভাব রয়েছে এবং প্রতিটি জিনিস একেক সময় একেকটি অবস্থানে বিরাজ করে। মায়াদের কাছে মহাকাশের ওপর ২২টি দুর্বোধ্য ভিন্ন ভিন্ন পঞ্জিকা ছিল। এর মধ্যে কোনো কোনো পঞ্জিকা এখন থেকে ১০ মিলিয়ন বছর আগের। অধিংকাশ আর্কিওলজিস্ট মনে করেন, মায়ারা খ্রিস্টের জন্মের প্রায় ৩ হাজার ১১৪ বছর আগে থেকে সময় গণনা করা শুরু করেছে। আমাদের বর্তমান পঞ্জিকামতে, খ্রিস্টের জন্মের বছরের জানুয়ারি মাস থেকে প্রথম বছর গণনা করা হয়। আর মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী এই বছরটাকে হিসাব করা হয় শূন্য বছর।
সময়টাকে লেখা হয় এভাবে : ০-০-০-০-০।
একটা নতুন চক্র শুরু হওয়ার আগের ১৩ চক্রে ৩৯৪ বছর শেষ হয়ে যাবে। আর নতুন চক্রটি শুরু হবে ২০১২ সালে। আশঙ্কার ব্যাপার হলো, ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে মায়া পঞ্জিকাতে আর কোনো দিনের উল্লেখ নেই। তাহলে এখানেই শেষ হয়ে যাবে বর্তমান সভ্যতা। আজকের বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষ থেকে শুরু করে বিজ্ঞানের সব গুরুত্বপূর্ণ উত্থানের উল্লেখ মায়াদের ক্যালেন্ডারে আগে থেকেই ছিল। তাই বিশ্বের বাঘা বাঘা বিজ্ঞানীও ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বরের পর থেকে কী ঘটতে পারে তাই নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন। কারণ আজ পর্যন্ত কেউ মায়া পঞ্জিকার খুঁত খুঁজে পাননি। দেখা যাক, ২০১২ সালে কী আছে পৃথিবীর ভাগ্যে!
হ্যারল্ড ক্যাম্পিংয়ের ভবিষ্যদ্বাণী
বাইবেলের নানা সংখ্যাতাত্তি্বক বিষয় বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করার পর হ্যারল্ড ক্যাম্পিং [৮৯] পৃথিবী ধ্বংস হওয়ার ব্যাপারে এ ভবিষ্যদ্বাণীটি করেছেন। তিনি এর আগেও ১৯৯৪ সালে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। তবে সেবার গণনা ভুল হয়েছিল বলে ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। এরপর তিনি ঘোষণা দেন, ২১ মে ২০১১তে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে। হ্যারল্ডের অনুসারীরা আমেরিকার বিভিন্ন জায়গায় বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যাবে বলে প্রচার চালান। আর এ ঘটনায় বিশ্বাসীদের দলে যোগ দেন ১ লাখ ২৫ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই ধ্বংসের বিষয়টি প্রচার করার জন্য তার সমর্থকরা যুক্তরাষ্ট্রে ২ হাজার ২০০ বিলবোর্ড স্থাপন করে। ক্যাম্পিং ভবিষ্যদ্বাণীর পেছনে কিছু যুক্তি দাঁড় করান যার মধ্যে রয়েছে সংখ্যাতাত্তি্বক বিশ্লেষণ। বাইবেলের একটি খণ্ড জেনেসিসে উল্লেখ রয়েছে, খ্রিস্টপূর্ব ৪৯৯০ অব্দে নূহের সময়কালে পৃথিবীতে একটি মহাপ্লাবন সংঘটিত হয়েছিল। ঈশ্বর সে সময় নূহকে বলেছিলেন, ৭ দিনে তিনি পৃথিবী ধ্বংস করবেন। এদিকে বাইবেলের অপর একটি খণ্ড ২ পিটার ৩:৮-এ বলা হয়েছে, পৃথিবীর এক হাজার বছর ঈশ্বরের একদিনের সমান। ক্যাম্পিং এ যুক্তি দেখিয়ে বলেন, মহাপ্লাবনের সময় থেকে এ পর্যন্ত ৭ হাজার বছর পার হয়ে গেছে। আর ঈশ্বর ৭ দিনে পৃথিবী ধ্বংসের ঘোষণা দিয়েছিলেন। জেনেসিস মতে, পৃথিবী ধ্বংসের এই দিনক্ষণ বাইবেল এবং কিছুটা গাণিতিক সমীকরণের ওপর ভিত্তি করে হিসাব করা হয়েছে। গাণিতিক সমীকরণটি হচ্ছে ৪৯৯০+২০১১-১=৭০০০।
নূহ আমলের সাত হাজার বছর পরের বছর হচ্ছে ২০১১।
সুতরাং এদিনই নেমে আসবে মহাপ্রলয়।
উইলিয়াম মিলার
উইলিয়াম মিলারকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ভণ্ড ভবিষ্যদ্বক্তা বলা হয়। নিজেকে ঈশ্বরের দূত বলে দাবি করতে থাকেন তিনি। তিনি বলেন, যিশুখ্রিস্ট পৃথিবীতে ১৮৪৩ সালের ২১ মার্চ থেকে ১৮৪৪ সালের ২১ মার্চের মধ্যে ফিরে আসবেন। এ সময় বিশাল এক অগি্নকুণ্ড পৃথিবীকে গ্রাস করবে। ধ্বংস সুনিশ্চিত_ এ ভেবে ১৮৪০ থেকে ১৮৪৪ সাল পর্যন্ত তিনি ও তার কিছু সমর্থক এক পাহাড়ের ওপর আশ্রয় নেন। কিন্তু তার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হলে তিনি এর সময় পরিবর্তন করেন। পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন একই বছরের ২২ অক্টোবর। তার এ ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রতিপন্ন হয়।
উইলিয়াম বার্নহাম
১৯৬৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি। আমেরিকার অ্যারোজিনা অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল। এখানকার অধিবাসীরা ঘুম থেকে ওঠার পরই দেখল একখণ্ড মেঘ তাদের পার্শ্ববর্তী বিশাল জঙ্গলকে গ্রাস করছে। একই দিনে ইহুদিদের নবান্ন উৎসবে যাজক উইলিয়াম বার্নহাম ঘোষণা করলেন, মেঘ আকাশকে গ্রাস করার সময় তিনি সাত দেবদূতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। দেবদূতরা তাকে জানিয়েছেন, পৃথিবীর ধ্বংস আসন্ন। তার ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা প্রমাণিত হয়। তবে দুর্ভাগ্য, এ দিনটি পর্যন্ত বেঁচে থাকা হয়নি তার। ১৯৬৫ সালেই মারা যান বার্নহাম।
হাল লিন্ডসে
হাল লিন্ডসের বইগুলোকে অনুসরণ করলেও পৃথিবীর ধ্বংসের বেশ কয়েকটি ভবিষ্যদ্বাণী পাওয়া যায়। তার 'লেইট গ্রেট প্লানেট আর্থ' বইটিতে তিনি ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, ১৯৮৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর তারিখের কাছাকাছি যে কোনো সময়ে পৃথিবী ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। তিনি বলেছিলেন, পরমাণু যুদ্ধের কারণেই পৃথিবী ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে। তিনি তার বিভিন্ন বইয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন_ ১৯৮০, ১৯৯০, ২০০০ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে। তবে তার সবক'টি ভবিষ্যদ্বাণী মিথ্যা হলেও বইগুলো জনপ্রিয় হয়েছিল।
ওয়াইটুকে [ণ২ক]
অনেকেই মনে করেন, ধর্মীয় কারণে নয়, বরং পৃথিবী ধ্বংস হবে প্রযুক্তির কারণে। ২০০০ সাল শুরুর কয়েক মাস আগে গবেষকরা ধারণা করেছিলেন, সব কম্পিউটার যোগাযোগ ব্যবস্থা নষ্ট হয়ে যাবে। ফলে বর্তমান বিশ্বের কম্পিউটারনির্ভর মানুষের সব ধরনের কর্মকাণ্ড ভেস্তে যাবে। সমস্যাটা ছিল, বেশিরভাগ কম্পিউটারে বছর লেখা হয় শেষ দুটি সংখ্যা দিয়ে। অর্থাৎ ২০০০ সাল লেখা হবে ১৯০০ সাল হিসেবে। কিন্তু এমনটি হয়নি। কিছু দেশে বিদ্যুৎ বিপর্যয়, জাপানের কয়েকটি পারমাণবিক কেন্দ্রে তথ্য সরবরাহে সমস্যা আর যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা বিভাগে সাময়িকভাবে তথ্যপ্রাপ্তিতে সমস্যা ছাড়া নতুন এই বছরটি সম্ভাব্য কোনো ক্ষতিই করেনি।
ডেভিড কোরেশ
১৯৯৩ সালে টেক্সাসের গির্জায় নিজের মতবাদ প্রচার করেন ডেভিড কোরেশ। তিনি তার অনুসারীদের বোঝান যে, তিনিই যিশুখ্রিস্ট। আর পৃথিবী ধ্বংসের জন্য মাউন্ট কারমেল সেন্টারকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাই সেখানে একটি গর্ত খুঁড়ে রাখা উচিত। কিন্তু আইন রক্ষাকারী বাহিনী জানতে পারে যে, সেখানে অস্ত্রের ভাণ্ডার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং নারী ও শিশুদের ওপর হচ্ছে নির্যাতন। পরে সেখানে অভিযান চালিয়ে মদ, তামাক, আগ্নেয়াস্ত্র এবং বিস্টেম্ফারক উদ্ধার করা হয়। সেখানে ৫০ দিন ধরে এফবিআইর সঙ্গে কোরেশের সহযোগীদের সংঘর্ষ চলে। পরে ১৯৯৩ সালের ১৯ এপ্রিল এক রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কোরেশসহ তার বেশ কিছু সহযোগী নিহত হয়।
জেহোবার সাক্ষী
প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর কিছু লোক দিশেহারা হয়ে পড়ে। এই অবস্থা সবচেয়ে বেশি ছিল জিয়ন ওয়াচ টাওয়ারের ট্র্যাক্ট সমাজের মধ্যে। তাদেরকেই এখন জেহোবার সাক্ষী বলা হয়। এই সমাজের প্রতিষ্ঠাতা চার্লস টেজ রসেল। প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে তিনি পৃথিবী ধ্বংসের একটি নমুনা হিসেবে দেখেছেন।
১৬৬৬ সালে লন্ডনে ভয়াবহ অগি্নকাণ্ড
খ্রিস্ট ধর্মে ৬৬৬ সংখ্যাকে ধরা হয় শয়তানের চিহ্ন হিসেবে। কাজেই ১৬৬৬ সালে লন্ডনে যে অগি্নকাণ্ড হয়েছিল, তাতে পশ্চিমা সমাজ কতটা ভীত হয়ে পড়েছিল তা বলাই বাহুল্য। ঠিক এক বছর আগে প্লেগে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনের প্রায় এক লাখ মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনাও চাপা পড়ে গেল। কিন্তু পুডিং লেনের আগুনে প্রায় ১০ হাজার বাড়ি পোড়ার পর মারা যায় ১০ জনেরও কম। এটি নিঃসন্দেহে একটি বড় বিপর্যয় হলেও নিশ্চয় পৃথিবীর ধ্বংস নয়।
মানস্টারের অ্যানাব্যাপ্টিস্টরা
১৫৩০ সালের দিকে জার্মানির মানস্টার শহরের একদল লোক সব ধরনের সামাজিক ও রাজনৈতিক শ্রেণীবিন্যাসকে অস্বীকার করল। তারা বলতে শুরু করল, মানস্টার শহরে আবারও যিশুখ্রিস্ট জন্মগ্রহণ করবেন। আর এই শহর হবে নতুন জেরুজালেম। এই যুক্তিতে শহরটিকে দখল করে নেয় তারা। এ সময় সেখানে জ্যান বোকেলসন নামে এক দর্জি নিজেকে যিশু বলে ঘোষণা করে। তার ছিল অনেক স্ত্রী। সে নিজের নামে মুদ্রা চালু করে। আর সাধারণ মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তোলে। ১৫৩৫ সালে সেনাবাহিনীর অভিযানের মাধ্যমে শেষ হয় বোকেলসনের নব্যুয়ত।
তবে বিজ্ঞানীরা সবচেয়ে বেশি ভাবছেন মায়া ক্যালেন্ডার নিয়ে। সত্যিই কি মায়াদের ভবিষ্যদ্বাণী সফল হতে চলেছে? বিজ্ঞানীরা মায়াদের ক্যালেন্ডারের ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে কথা না বললেও জানিয়েছেন পৃথিবী ধ্বংসের সম্ভাব্য কিছু নমুনা। এর মধ্যে সূর্যের ভেতরের বিস্টেম্ফারণ 'সানর স্টর্ম', ভয়ঙ্কর অগ্ন্যুৎপাত এবং 'গ্গ্নোবাল ওয়ার্মিং'কে পৃথিবী ধ্বংসের সম্ভাব্য দায়ী বলে দাবি করা হচ্ছে। বিজ্ঞানীরাও সান স্টর্ম বা সূর্যঝড়কে পৃথিবীর ভবিষ্যতের জন্য একটি ভয়ঙ্করতম হুমকি বলে মনে করছেন। সেই সঙ্গে সোলার স্টর্ম বা সৌরঝড় তো রয়েছেই।
বিজ্ঞানীদের মতে, ২০১২ সালে সূর্যের সবচেয়ে বেশি পরিমাণ এনার্জি তৈরি হবে, যার নাম 'সোলার ম্যাক্সিমাম'।
এই সৌরঝড়ের ভয়ঙ্কর রেডিয়েশন এবং এনার্জি নির্গমনের ফলে ভূপৃষ্ঠে বা মহাকাশে যোগাযোগ ব্যবস্থা ও অন্যান্য ক্ষেত্রে চরম সমস্যা দেখে দেবে। বেড়ে যেতে পারে মানুষের অসুখ, দুর্ঘটনা ও ভয়াবহ সব প্রাকৃতিক বিপর্যয়। ফলে পৃথিবী এগিয়ে যাবে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে। সত্যিই কি? সেটা সময়ই বলে দেবে।
সূত্র:সমকাল, ০৮/০৭/২০১১
No comments:
Post a Comment