Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Saturday, November 3, 2012

বাংলাদেশের অগ্রগতি আশ্চর্যজনক


চলতি সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের প্রভাবশালী সাময়িকী ‘দ্য ইকোনমিস্ট’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে। সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার একসময়ে বাংলাদেশকে বলেছিলেন ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’। যে দেশগুলো সব সময় বিদেশি সাহায্যের
ওপর নির্ভর করত, সে দেশগুলোকে কিসিঞ্জার তলাবিহীন ঝুড়ির তালিকায় ফেলেছিলেন। বাংলাদেশ ওই তালিকায় ছিল। কিন্তু এখন সেই তলাবিহীন ঝুড়িটিই ধীরে ধীরে উন্নয়নে ভরে উঠছে। বেরিয়ে আসছে ওই তালিকা থেকে। আর বাংলাদেশের এই অগ্রগতি বা উন্নয়নকে আশ্চর্যজনক বলে মনে করছে ইকোনমিস্ট।
এখন অন্য অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নত। ভারতীয়দের চেয়ে অনেক বেশি দরিদ্র হওয়া সত্ত্বেও বাংলাদেশিদের গড় আয়ু তাদের চেয়ে চার বছর বেশি। নারী ও শিশুমৃত্যুও উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে বাংলাদেশে।
ইকোনমিস্টে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে সবচেয়ে বেশি যে ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করা হয়েছে তা হলো, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থা সত্ত্বেও কীভাবে সামাজিক উন্নয়ন ঘটছে। এ ক্ষেত্রে চারটি ক্ষেত্রকে চিহ্নিত করেছে ইকোনমিস্ট। তাদের মতে, এ ক্ষেত্রগুলো আর্থিক দুর্দশা সত্ত্বেও বাংলাদেশের সামাজিক উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে।
প্রথমত, বাংলাদেশ নারীদের উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে ক্ষুদ্রঋণের সুবিধার জন্য নারীদের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এ ছাড়া স্বাধীনতার পর দেশটিতে পরিবার পরিকল্পনা কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে। পরিবার ছোট হওয়ায় ঘরের বাইরে বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত হতে পেরেছেন নারীরা, বিশেষ করে দেশটির পোশাকশিল্পে ৮০ শতাংশ শ্রমিকই নারী। নারীরা তাঁদের বাড়তি আয় পরিবারে দিতে পারছেন। ফলে শিশুরা স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ আয় বাড়ছে। দারিদ্র্য কমাতে এটা ভূমিকা রাখে। বাংলাদেশে সবুজ বিপ্লব ঘটেছে। বছরে দুই ধরনের শস্য উত্পাদন করতে পারে দেশটি। শুধু তাই নয়, ৬০ লাখ মানুষ দেশের বাইরে কাজ করছেন। তাঁরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন দেশের জন্য।
তৃতীয়ত, সামাজিক উন্নয়ন খাতে বাংলাদেশ সরকার বিশেষ বরাদ্দ রেখেছে। দেশটিতে সামরিক অভ্যুত্থান ও দুটি প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে হানাহানি থাকলেও সামাজিক উন্নয়ন যে ঘটছে, সেটিই আশ্চর্য করেছে ইকোনমিস্টকে।
তবে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দরিদ্র জনগণের জন্য বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করে, অনেক সময় তার অপচয় ঘটে। এ ক্ষেত্রে বেসরকারি সংস্থাগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে দরিদ্র জনগণের উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। অপচয় অনেকটাই কমিয়েছে।
এই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে একটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। আর তা হলো, দেশের অর্থনৈতিক অর্জনের চেয়ে সামাজিক অর্জন যদি বেশি হয়, তা হলে অর্থনৈতিক উন্নয়ন কি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে? তবে পত্রিকার বিশ্লেষণে যা উঠে এসেছে তা হলো, সব ক্ষেত্রে এটি না-ও হতে পারে। এটা সত্যি যে বাংলাদেশ দেখিয়েছে আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য বড় ধরনের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রয়োজন নেই। ছোট ছোট প্রবৃদ্ধি ও পরিকল্পনা কাজে লাগিয়েও সামাজিক উন্নয়ন সম্ভব। যেমন—বেসরকারি সংস্থাগুলোর কর্মসূচি অথবা পরিবার পরিকল্পনা অথবা সবুজ বিপ্লব বাংলাদেশের জনগণের জীবনমান উন্নয়নে ভূমিকা রেখেছে। ক্ষুদ্রঋণ রেখেছে নারীর উন্নয়নে ভূমিকা। আর এগুলোর কোনোটাই বড় ধরনের বাণিজ্য বা বিনিয়োগ নয়।
সূত্র:প্রথমআলো.কম, ০২/১১/২০১২

No comments:

Post a Comment