Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Thursday, May 17, 2012

জিন-পরী তাদের হাতের মুঠোয়

জিন-পরী তাদের হাতের মুঠোয়। জাদুটোনায়ও দীক্ষিত। কেউ গুরু সম্রাট। কেউ বা মুশকিলে আহসান। নামের আগে পিছে নানা বিশেষণ। সবাই নিজেকে দাবি করেন পীর। তবে তাদের কাজ এক। মানুষ ঠকানো। এটিকেই বেছে নিয়েছেন পেশা হিসেবে। আর গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। আলিশান বাড়ি, অত্যাধুনিক গাড়ি। মানুষকে ভোলানোর সকল মন্ত্রই তাদের জানা। স্বামী-স্ত্রীর মনোমালিন্য, প্রেমে ব্যর্থতা, পড়লেখায় অমনোযোগী, অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা, শত্রু দমন, বিদেশ যাত্রায় বাধা, ব্যবসায় উন্নতি, জাদু-টোনা ও বদ জ্বিনের আছর কাটানো, নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান লাভ, মনের মানুষকে আয়ত্তে আনা- সবই তারা করতে পারেন ঐশ্বরিক ক্ষমতায়- এমনটাই দাবি তাদের। মনভোলানো বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষকে আকৃষ্ট করার পথ করে নেন তারা। আর সহজ সরল মানুষকে ফতুর করে রাস্তায় ছুড়ে ফেলাই হলো তাদের শেষ চিকিৎসা। এমন বহু উদাহরণ সমাজে। তারপরও তাদের জাদুর পরশ হাতছানি দিয়ে ডাকছে বিপদগ্রস্তদের। হয়তো সমস্যার সমাধান হবে-এ আশায় ছুটে যান তারা। ডাকেন পীর বাবা হিসেবে। এ পীর বাবাই এক সময় তাদের কাছে ধরা দেন ভণ্ড বাবা হিসেবে।
রাজধানীজুড়েই এমন ভণ্ড বাবাদের আস্তানা। প্রকাশ্যে প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। প্রতারণা করতে গিয়ে কেউ কেউ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বেরিয়ে আবার নামছেন এ ব্যবসায়। জ্যোতিষ আর ভণ্ড বাবাদের নিয়ে সরজমিন অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে প্রতারণার নানা কৌশল। একেবারে চমকে ওঠার মতো। প্রতারণার শিকার কানাডা প্রবাসী আনোয়ার হোসেন সেখানকার নাগরিকত্ব পাচ্ছিলেন না। পত্রিকায় সব মুশকিল আছানের বিজ্ঞাপন দেখে তিনি সাইকি ভবনের মালিক পীরজাদা, মহাগুরু, জ্যোতিষ সম্রাট ড. জীবন চৌধুরীকে ফোন করেন। সমস্যা সমাধানের ১০০ পার্সেন্ট নিশ্চয়তা দেন তিনি। বলেন, তোর শনি খারাপ। শনি ভাল করতে পৃথিবীর ৭ মাথায় ৭টি গরু কোরবানি দিতে হবে। এ জন্য টাকা লাগবে ৩ লাখ। ৭ দিনের মধ্যে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়ে যাবি। কথা অনুযায়ী তিনি জীবন চৌধুরীর কাছে ৩ লাখ টাকা পাঠিয়ে দেন। কিন্তু ১০ দিন পার হয়ে গেলেও সমস্যা সমাধান হয় না দেখে তিনি আবারও ফোন করেন। এবার জীবন চৌধুরী সাজানো এক গুরু মায়ের সঙ্গে কথা বলতে বলেন তাকে। গুরু মায়ের মোবাইল নম্বরে ফোন করলে তিনি আনোয়ার হোসেনকে বলেন, তুই নরাধম। টাকা দিয়েছিস বাম হাতে। এ জন্য কাজ হয়নি। তুই ডান হাতে টাকা পাঠা। আনোয়ার হোসেন আবারও ৩ লাখ টাকা পাঠান। কিন্তু এবারও ১০ দিন পার হয়ে গেলেও কোন ফল হয় নি। ওদিকে কানাডার ইমিগ্রেশন দপ্তর তাকে দেশে ফিরে যাওয়ার জন্য চূড়ান্ত সময় বেঁধে দেয়। মরিয়া হয়ে আবারও তিনি জীবন চৌধুরীর কাছে ফোন করেন। জীবন তাকে বলেন, তুই পাপী। তোর সমস্যা সমাধান হবে না। এবার আনোয়ার টাকা ফেরত চান। এতে জীবন চৌধুরী ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। ধমক দিয়ে বলেন, তুই ৩ দিনের মধ্যে বিষাক্ত সাপের কামড়ে মারা যাবি। সে ব্যবস্থা করে রাখলাম। প্রতারণা বুঝতে পেরে দেশে চলে আসেন আনোয়ার হোসেন। তিনি র‌্যাব ৩-এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এ অভিযোগে র‌্যাব জীবন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে ২০০৮ সালের ৩০শে জুন। জীবনের আখড়া সাইকি ভবন থেকে উদ্ধার করা হয় নানা ধরনের গোলক, বিভিন্ন রঙের পাথর, ছদ্মবেশ ধরার কাজে ব্যবহৃত বিশেষ ধরনের আলখাল্লা, মাদকদ্রব্য। সেই সঙ্গে জীবন চৌধুরীর ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন থেকে উদ্ধার করা হয় অর্ধশতাধিক পর্নো ভিডিও। যেগুলোতে বিভিন্ন নারীর সঙ্গে যৌনকাজে লিপ্ত দেখা যায় জীবন চৌধুরীকে। পরে র‌্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে জীবন স্বীকার করে, যেসব নারীর বাচ্চা হয় না বা বন্ধ্যাত্বের সমস্যা নিয়ে তার কাছে আসতো তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতেন তিনি। এতে অনেকে গর্ভবতী হয়ে যেতো। জীবন চৌধুরীকে সোপর্দ করা হয় পল্টন থানায়। পরে ১ মাস জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে আসেন। এখন তিনি আবারও ওই ব্যবসা শুরু করেছেন। কিন্তু এখন ভোল পাল্টে সাইনবোর্ড লাগিয়েছেন হারবাল ও ইউনানী চিকিৎসার। জীবন চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি নিজেকে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সভাপতি দাবি করেন। বলেন, র‌্যাব সে সময় আমাকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে গ্রেপ্তার করেছিল। আমি পীর নই, প্রতারকও নই। আমি ভারত থেকে অল্টারনেটিভ মেডিসিনের ওপর পিএইচডি করেছি। তিনি বলেন, আমি দৈনিক ভোরের সময়ের মালিক এবং সম্পাদক। এছাড়া, বেশ কয়েকটি ইন্ডাস্ট্রির মালিক, চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা।
রাজধানীতে আরেকজন নিজেকে জ্যোতিষরাজ ও পীরে কামেল হিসেবে দাবি করেন। তার নাম লিটন দেওয়ান চিশতী। তিনি কয়েক কোটি টাকার মালিক। চড়েন পাজেরো গাড়িতে। রাজধানীর বসুন্ধরা সিটির লেভেল-১ এ ৭০ ও ৭১ নম্বর দোকান নিয়ে তিনি আলিশান আস্তানা তৈরি করেছেন। তার স্লোগান- ‘আর হতাশা নয় সফলতার জন্য আসুন’। তিনিও একাধিকবার আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। লিটন দেওয়ানের দাবি, যে কোন মুশকিলের আসান তিনি করে দিতে পারেন মুহূর্তেই। এ জন্য তিনি রাশি গণনা করে পাথর দেন। এছাড়া, মন্ত্রের মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে থাকেন। তিনি ২২ বছর ধরে এ পেশায় আছেন। তবে তিনি নিজেই বলেছেন, তার শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি পাস। তবে যে পেশায় তিনি আছেন সে পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতার কোন প্রয়োজন নেই। গতকাল তার আস্তানায় গেলে দেখা যায়, অনেক মন্ত্রী-এমপি’র সঙ্গে তার ছবি। অনেকের কাছ থেকে তিনি পুরস্কার নিচ্ছেন। তার দাবি- মন্ত্রী, এমপি থেকে শুরু করে অনেক ভিআইপি তার ক্লায়েন্ট। তিনি বলেন, আমার পিতা কামেল পীর ছিলেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে আমি এখন গদিনশিন পীর। এছাড়া, খাজা মঈনুদ্দীন চিশতীর মাজারের বর্তমান খাদেম হাসনাইন চিশতী আমাকে মুরিদান দিয়েছেন। তিনি বলেন, যে কোন মানুষের মুখ দেখেই আমি তার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ বলে দিতে পারবো। এ প্রতিবেদকেরও হাত দেখেন তিনি। হাত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে মন্ত্র উচ্চারণ করে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। যার একটিও সঠিক হয়নি। লিটন দেওয়ানের সঙ্গে সাক্ষাতের ভিজিট ৫ শ’ টাকা। তিনি ৫ শ’ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত বিভিন্ন দামে পাথর বিক্রি করেন। অনুসন্ধান করতে গিয়ে রাজধানীতে এরকম শতাধিক ভণ্ড বাবার সন্ধান পাওয়া যায়। ৩১১ সি আর দত্ত রোডে পাশাপাশি বসছেন গুরুসম্রাট সাধন বাবু ও জাহাঙ্গীর শাহ চিশতী। সাধন বাবুর আস্তানার দেয়ালে হিন্দুদের দেবী কালীর ছবি। আর জাহাঙ্গীর শাহ চিশতীর আস্তানার দেয়ালে রওজা মোবারক ও কোরআন শরীফের ছবি পাশাপাশি লাগানো। সাধন বাবু পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়েছেন ‘মহাকালী মহাশক্তির সাধন বলে আশ্চর্য সমাধান’। তিনি প্রেমে ব্যর্থতা, মনের মানুষকে আয়ত্তে আনা, স্বামী-স্ত্রীর অমিল, অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য করা, বিবাহে বাধা, বিদেশ যাত্রায় বাধা, মনের মতো স্বামী-স্ত্রী পাওয়া, শত্রুকে দমন করা, মামলায় জেতানো, মিল-কারখানায় লোকসান, শনি রাহু থেকে মুক্তি, জাদুটোনা ও বাণ থেকে ফেরানো এবং জটিল ও কঠিন গোপন সমস্যার ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে সমাধান দেন। গতকাল তার আস্তানায় গেলে দেখা যায়, ছোট একটি ঘরে তিনি বেশ কয়েকজনকে নিয়ে বসে আছেন। পান খাচ্ছেন আর সিগারেট ফুঁকছেন। টেবিলে রাখা তার মোবাইল ফোনে মিনিটে ২-৩টি করে ফোন আসছে। তিনি বলেন, আমি তান্ত্রিক জগতের গুরু। বিভিন্ন দেশ ঘুরে তন্ত্র-মন্ত্র শিক্ষা লাভ করেছি। এখন মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। তিনি স্বীকার করেন, বেশি দূর পড়ালেখা করেননি। এসএসসি পাস করেছেন। তার সাক্ষাৎ ফি ২০০ টাকা। একই ভবনে তার পাশের কক্ষে বসা বাবা জাহাঙ্গীর শাহ চিশতী। তিনি নিজেকে খাজা বাবার আশেক বলে পরিচয় দিলেন। সাধন বাবুর বিজ্ঞাপনের মতোই তিনি সব ধরনের সমস্যার সমাধান দেন ১ থেকে ৭ দিনের মধ্যে। গতকাল তার আস্তানায় গেলে তিনি বলেন, ১৮ থেকে ২০ বছর ধরে এ পেশায় আছি। অনেক লোক উপকার পেয়েছে। তিনি স্বীকার করেন, তার কোন একাডেমিক পড়ালেখা নেই, বিভিন্ন মাজার ঘুরে তিনি তান্ত্রিকতা শিখেছেন। আল্লাহর ওলিদের কেরামতে চলেন তিনি। মন্ত্রশক্তির বলে এবং পাথর দিয়ে তিনি মানুষের বিভিন্ন মুশকিলের আসান করে দেয়ার দাবি করেন। এসব চিকিৎসার কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা বিশ্বাসের বিষয়। কেউ বিশ্বাস করলে করবে না করলে করবে না। বিশ্বাস থেকেই অনেকে আমাদের কাছে আসেন। তার সাক্ষাৎ ফি ২০০ থেকে ৫০০ টাকা।
বসুন্ধরা সিটির লেভেল-৫ এ বিলাসবহুল দোকান খুলেছেন হাসান কবির নামের এক জ্যোতিষ, তান্ত্রিক আচার্য। তার আস্তানার নাম সুমঙ্গল। গতকাল তার কার্যালয়ে গেলে তিনি বলেন, আমি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করে জ্যোতিষ শাস্ত্রের ওপর পড়ালেখা করেছি। আমার পূর্বপুরুষ সবাই সিদ্ধ তান্ত্রিক ছিলেন। পাথর ও তান্ত্রিকতা দিয়ে মানুষের সমস্যার সমাধান করি। তিনি বলেন, পাথরের শক্তিতে অনেক সমস্যার সমাধান হয়। তবে যারা বিবাহ বিচ্ছেদ ঠিক করা, টাকা পয়সা আদায় করে দেয়া বা মামলা জিতিয়ে দেয়ার কথা বলেন তারা প্রতারক। তাদের গ্রেপ্তার করা উচিত। তিনি বলেন, তন্ত্র-মন্ত্র খারাপ কিছু নয়। এগুলো বহুকাল আগে থেকেই ছিল। এখনও আছে। তবে সিদ্ধ তান্ত্রিকের সংখ্যা এখন হাতেগোনা। বেশির ভাগই ভণ্ড। তার দোকানে ৪০০ থেকে ২ লাখ টাকার পাথর আছে বলে জানালেন তিনি। এছাড়া, আরও দামি পাথর আছে। ভারতের সুপারস্টার অমিতাভ বচ্চন ২৫ কোটি টাকা দামের পাথর পরেন বলে জানালেন তিনি। বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৫-এ আরেকটি কার্যালয় জ্যোতিষ হাসান সেলিমের।’ তার কার্যালয়ের নাম জেমস স্টোন। তিনি ভিজিটিং কার্ডে লিখেছেন ‘পিএইচডি এ্যাস্ট্রোলজি এবং স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত। ইনশাআল্লাহ এখানে রত্ন পাথর এবং তাবিজ দিয়ে সব সমস্যার সমাধান করা হয়। তার কার্যালয়ে গেলে তিনি বলেন, পাথরের কথা হাদিস শরীফে বলা হয়েছে। নবী করিম (সাঃ) আকিক পাথর ব্যবহার করতেন। তিনি বলেন, পাথর আহামরি কিছু নয়, এটা ওসিলা মাত্র। তবে অনেকে মন্ত্রটন্ত্র দিয়ে মুশকিল আসানের কথা বলে। এটা কুফরি। এসব করা ঠিক নয়। তার পিতা ও দাদা জ্যোতিষ ছিলেন, তিনি তাদের যোগ্য উত্তরসূরি। বসুন্ধরা সিটির লেভেল ৫-এ জ্যোতিষ শাস্ত্রী এ কে রয়ের কার্যালয়। তিনিও পাথর দিয়ে সব সমস্যার সমাধানের নিশ্চয়তা দিয়েছেন। মিরপুর শাহ আলী মহিলা কলেজ মার্কেটের দোকান নং ই/৪ দোতলায় আস্তানা গেড়েছেন এনায়েত শাহ নামের এক বাবা। তার আস্তানার নাম রহমতে মুক্তি রত্নঘর। তার দাবি, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে তিনি আজমীর, কামরূপ কামাখ্যা ও বাংলাদেশের ৩৪১টি মাজার জিয়ারত করে আউলিয়াদের মেহেরবানীতে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ করেছেন। ওই শক্তি দিয়ে সমস্যাগ্রস্ত মানুষকে সমাধান দিয়ে থাকেন। ভিপি-পার্সেলযোগেও তিনি তদবির ও ওষুধ পাঠান। রাজধানীর শান্তিনগর প্লাজার ১২৪/৪ নম্বর হোল্ডিংয়ে আস্তানা খুলেছেন বাবা গোলাম মওলা। তার আস্তানার নাম দরবারে নূরানী। ১৪ মোহাম্মদপুর রিং রোডে আরেকটি আস্তানার নাম রাবেয়া চিশতীর চ্যালেঞ্জ, ৮৯/১ কাকরাইলে আস্তানা খুলেছেন জ্যোতিষ দীননাথ। ভণ্ডপীর, বাবা ও জ্যোতিষদের প্রতারণার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রতারকদের অনেককে বিভিন্ন সময় গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু তারা আবার জেল থেকে বেরিয়ে এসে পুরনো পেশায় ফিরে যাচ্ছে। এসব প্রতারকের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে। র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক কর্নেল জিয়াউল আহসান বলেন, এ সংক্রান্ত আইন আরও শক্তিশালী করতে হবে। তা না হলে তাদের শুধু গ্রেপ্তার করে লাভ হবে না। তিনি বলেন, একজন প্রতারককে আমি তিনবার গ্রেপ্তার করেছি। কিন্তু সে প্রত্যেকবারই বেরিয়ে এসেছে।

 সূত্র: বিডিনিউজ২৪.কম, 16/05/2012

No comments:

Post a Comment