Accounting

হিসাববিজ্ঞানে ভাল রেজাল্টে আগ্রহী
এস.এস.সি , এইচ.এস.সি ও অনার্সের হিসাববিজ্ঞান নিয়ে সমস্যা আছে...
দেরী না করে নিচের লিংকে ক্লিক কর

Honours & Masters Result

নিচের লিংকে ক্লিক করে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে অনুষ্ঠিত অনার্স ও মাস্টার্স এর রেজাল্ট পেয়ে যাবে

রাশিফল জানতে চান?

তাহলে এখনি নিচের লিংকে ক্লিক করে আপনার রাশি সম্পর্কে জেনে নিন। ২০১২ সালটি আপনার কেমন যাবে জানতে এখনি ক্লিক করুণ.....

Tuesday, February 28, 2012

পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ বিল পাস

আর অবাধে পর্ণোগ্রাফি কিছু রাস্তায় বা দোকানে বা কোন মাধ্যমে রেখে পরিবেশ ও সমাজকে দূষিত করার  পায়তারা করা যাবে না। করলে তার জন্য শাস্তি ও উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্য সরকার আইন/বিল পাস করেছে। আশা করা যাচেছ এবার থেকে মানুষ সচেতন হয়ে পরিবেশ ও সমাজকে নষ্ট হওয়া থেকে বাঁচতে সাহায্য করবে। 

 পর্নোগ্রাফি তৈরির জন্য সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে মন্ত্রিপরিষদ অনুমোদিত ‘পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ বিল-২০১২’ সংসদে পাস হয়েছে। গতকাল সংসদের চলতি ১২তম অধিবেশনের ১৮তম কার্যদিবসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন বিলটি পাসের প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে বিলের ওপর অনুপস্থিত বিরোধী দলের এমপিদের দেয়া জনমত যাচাই-বাছই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাব নাকচ হয়। বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে চলচ্চিত্র, স্যাটেলাইট, ওয়েবসাইট ও মোবাইলের মাধ্যমে পর্নোগ্রাফি মারাত্মক ব্যাধির মতো দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। পর্নোগ্রাফি যুব সমাজকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এর শিকার হয়ে অনেক-নারী পুরুষ ও শিশুকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন হতে হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোন আইন না থাকায় অপরাধ রোধ ও অপরাধীদের বিচার করা সম্ভব হচ্ছে না। বাস্তবতার প্রেক্ষাপটে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। বিলে পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা, বিচারিক আদালত, বিচার ও আপিল পদ্ধতি, সংরক্ষণ ও বাজারজাতকরণের শাস্তি, তদন্ত ও তল্লাশি পদ্ধতি ও অপরাধের আমলযোগ্যতার বিষয়টি সন্নিবেশিত করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেছেন।  গত ২রা জানুয়ারি বিলটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিপরিষদ। পরে ২৯শে জানুয়ারি বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞা প্রসঙ্গে বিলে বলা হয়েছে, ‘যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী কোন অশ্লীল সংলাপ, অভিনয়, অঙ্গভঙ্গি, নগ্ন বা অর্ধনগ্ন নৃত্য যা চলচ্চিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও ভিজুয়াল চিত্র, স্থির চিত্র, গ্রাফিকস বা অন্য কোন উপায়ে ধারণকৃত ও প্রদর্শনযোগ্য এবং যার কোন শৈল্পিক বা শিক্ষাগত মূল্য নেই। এছাড়া ‘যৌন উত্তেজনা ’ সৃষ্টিকারী অশ্লীল বই, সাময়িকী, ভাস্কর্য, কল্পমূর্তি, মূর্তি, কার্টুন বা লিফলেট বা এগুলোর নেগেটিভ বা সফট ভার্সনও পর্নোগ্রাফির আওতাভুক্ত হবে। বিলে বলা হয়েছে, ‘পর্নোগ্রাফি উৎপাদন, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, বহন, সরবরাহ, ক্রয়-বিক্রয় ও প্রদর্শন করা যাবে না। পর্নোগ্রাফির অভিযোগ পাওয়া গেলে তা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) বা তার সম-মর্যাদার কর্মকর্তাকে দিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত সম্পন্ন করতে হবে। তদন্তের প্রয়োজনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে আরও ১৫ দিন এবং আদালতের অনুমোদন পাওয়া গেলে আরও ৩০ দিন পর্যন্ত সময় নেয়া যাবে। বিলের ৬ নম্বর দফায় জানানো হয়েছে, এ জাতীয় অপরাধের সঙ্গে জড়িত কোন ব্যক্তিকে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তার বা কোন পর্নোগ্রাফি সরঞ্জাম জব্দের জন্য তল্লাশি চালানো যাবে। বিলে শিশুদের ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও বিতরণকারীদের জন্য সবচেয়ে বেশি শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। এদের জন্য সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড ও ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার বিধান রয়েছে। এর আগে এই আইনের খসড়া ২০১০ সালের জুলাই মাসে প্রথমবারে মতো মন্ত্রিসভার বৈঠকে উত্থাপন করা হয়। ওই সময় সাতটি মন্ত্রণালয়ের লিখিত মতামত নেয়ার জন্য এটি ফেরত পাঠানো হয়। পরে গত বছরের মার্চে অনুষ্ঠিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে সাত মন্ত্রণালয়ের মতামত নিয়ে খসড়াটি সংশোধন করা হয়। এরপর গত মে মাসে এটি পুনরায় মন্ত্রিসভার বৈঠকে ওঠে। এরপর এটি ভেটিংয়ের জন্য লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগে পাঠানো হয়। গত ১৫ই নভেম্বর এটি আবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের হাতে আসে।
সূত্র: মানবজমিন, ২৮/০২/২০১২

No comments:

Post a Comment