২৫ বৈশাখ, বাংলা ১৪১৮ এবং ইংরেজী ৮ মে, ২০১১ইং রবীন্দ্রনাথের ১৫০তম সার্ধজন্মবাষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারত যৌথভাবে পালন করছে দিনটিকে।এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্ম সূচী গ্রহণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার তিনটি স্মারক ডাকটিকিট উন্মোক্ত করেছে রবীন্দ্রনাথের নামে। ভারত সরকার রবীন্দ্রনাথের নামে আর্ন্ত জাতিক পুরস্কার প্রদানের ঘোষনা দিয়েছে। আর টিউন থেকে আজ আপনাদের নিয়ে যাচ্ছি রবীন্দ্রনাথের কাছাকাছি। আর এ কাছাকাছি নেওয়ার কাজটি করেছেন কলকাতার টিউনার। তো শুরু করুন ..............
আজও আমি আপনাদের মনের মণিকোঠায় বেঁচে আছি...এবং চিরকাল থকব....কথা দিলাম.....
আমার জন্মদিন ১৫০ বছর অতিক্রম করেছে........আমি আজ খুব খুশি...........
আজ আমি আমার জন্মভিটের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব....
এই বাড়িতেই আমার জন্ম....
এই বাড়ির ঠিকানা চাই....
নিম্মে দেওয়া হলো....
মহাশূন্য....আকাশ গঙ্গা ছায়াপথ....সৌর পরিবার....পৃথিবী গ্রহ....এশিয়া মহাদেশ....ভারত দেশ....পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য....কলকাতা শহর....জোড়াসাঁকো ....আর যাকেই বলবেন ঠাকুরবাড়ি দেখিয়ে দেবে............
আর উপরের ওই বাড়িটা....সবুজ গালিচা পেড়িয়ে আমার বাড়ির প্রবেশ পথ....
আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ জানালাম...আমার বাড়িতে...সময় পেলেই আসবেন কিন্তু...
আমি আমার ঠিকানা বিস্তারিত জানালাম...
কারণ আমি তো এখন ভিন গ্রহের বাসিন্দা..অন্য কোন ছায়াপথে...
সেখানে আমার অনেক পরিচিত মানুষেরা আছেন তাদের জন্যই বিস্তারিত ঠিকানা দিলাম...যাতে পথ ভুলে না যান.....
#
আমি তখন ১৯ কি ২০
আমি তখন যুবক...
আমার স্ত্রী মৃণালিনী দেবীর সাথে আমি.....
#
ও আমি একটা কথা বলতে ভুলে গিয়েছি.........আজ আমার ইন্টারভিউ নিতে কলকাতা টিউনার আসছে আমার কাছে.....
আমিও প্রস্তুত হচ্ছি আমার ইন্টারভিউ দেবার জন্য............
দুপুরে এক পশলা বৃষ্টি হয়ে গেছে....বৈকালের শান্ত পরিবেশ..মনমু্গ্ধকর সবুজ গালিচা আমি কলকাতা টিউনারের জন্য অপেক্ষা করছি...
আমি আপন মনে গান গাইছি....
' দিন গুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলো না, রইলো না
সেই যে আমার নানা রং এর দিন গুলি
কাঁন্না-হাসির বাঁধন, না না সইলো না, সইলো না
সেই যে আমার নানা রং এর দিন গুলি '.........[ডাউনলোড_ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে]
এমন সময় ....ডাক এলো....বিশ্বকবি আপনি বাড়ি আছেন নাকি........
আমি উওর দিলাম আছি....'এসো আমার ঘরের দ্বারে'
কলকাতা টিউনার:- আমরা এগিয়ে চললাম ঠাকুর বাড়ির সামনের সবুজ গালিচার দিকে...(মাঠে বসে)..কবি আপনি আমাকে এবার প্রশ্ন করার অনুমতি দিন....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- অবশ্যই প্রশ্ন বানে বিদ্ধস্থ কর....আমি প্রসস্ত মনে উওর দেব.....
কলকাতা টিউনার:- আপনার কাব্য রচনার বৈশিষ্ঠ গুলি কি কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- বিরাম হীন গতিশীল জীবনই হল আমার কবিস্বওার প্রধান বৈশিষ্ঠ......
ভাব থেকে ভাবান্তরে,এক উপলব্ধি থেকে অন্য এক উপল্ধিতে নিরন্তর অগ্রসর হয়ে চলাই আমার পরিণাম মুখি প্রতিভা...
কলকাতা টিউনার:- আপনার স্বকন্ঠে কবিতা পাঠ...নাটক সংলাপ..গান শোনাবেন....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমি এই গুলি নিয়েই জীবিত আছি আপনাদের মাঝে....
আমার কবিতা পাঠ....'যুগে যুগে দূত পাঠায়েছ বারে বারে' ..{ডাউনলোড..রবীন্দ্র কন্ঠে}
আমার নাটক সংলাপ...'বীর পুরুষ' নাটকের.....{ডাউনলোড..রবীন্দ্র কন্ঠে}
আমার গান..... 'তবু মনে রেখ'....{ডাউনলোড..রবীন্দ্র কন্ঠে}
কলকাতা টিউনার:- আপনি কি কি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আন্না কালি পাকড়াসী,দনুজমর্দন দেব,ভানুসিংহ.....
কলকাতা টিউনার:- এবার কাব্যর কথায় আসি....আপনার লেখা প্রথম কাবিতার নাম কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার প্রথম রচিত কবিতা 'অভিলাষ...আমার প্রথম স্বাক্ষর যুক্ত কবিতা 'হিন্দু মেলার উপহার'
কলকাতা টিউনার:- আপনি কোন কাব্য গ্রন্থের জন্য নোবেল প্রাইজ পেয়েছিলেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমি 'গীতাঞ্জলি'(১৯১০) কাব্য গ্রন্থের...
ইংরাজি অনুবাদ 'song offering' (সং অফারিং ১৯১২) গ্রন্থের জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল প্রাইজ পাই
কলকাতা টিউনার:- আপনার নোবেল প্রাইজটা একবার দেখতে ইচ্ছা করছে...একবার দেখাবেন ..
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- খুব দুঃখের সাথে জানাচ্ছি...আসল নোবেল প্রাইজটা চুরি হয়ে গেছে...তাই এখন তার ছবি দেখাই... কেমন..
আমিই প্রথম এশিয়ার নোবেল জয়ী....নোবেল প্রাইজ ও আমি...
আমার এই নোবেল প্রাইজ চুরি হয়ে গেছে....আমি তাই মর্মাহত..
নিসঙ্গ পথিক আমি.....
কলকাতা টিউনার:- এই কথা শুনে আমি খুব মর্মাহত...তাই এক জন বাঙালী হিসাবে আমি লজ্জিত....
একটা প্রশ্ন করি.....আপনার প্রথম কাব্যগ্রন্থের নাম কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম লেখা কাব্যগ্রন্থ 'বনফুল'....প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'কবি ও কাহিনী'....
কলকাতা টিউনার:- আপনার লেখা এযাবৎ কালের সর্বশ্রেষ্ঠ কাব্য গ্রন্থের নাম কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'চিত্রা'(১৮৯৬)__ এটিই আমার পরিণত মনের কাব্যগ্রন্থ
কলকাতা টিউনার:- মুক্তক ছন্দে লেখা কাব্য গ্রন্থ কোনটি? মুক্তক ছন্দ কি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'বলাকা'(১৯১৬) হল আমার মুক্তক ছন্দে রচিত কাব্য গ্রন্থ....
মুক্তক ছন্দ প্রধানত অক্ষরবৃও ছন্দ রীতিতে রচিত....অনিয়মিত ও অসমদৈর্ঘের পঙতি সমন্বিত চরনান্তিক মিল যুক্ত আমার দ্বারা সৃষ্ট
যে ছন্দ বদ্ধ ভাবটি পংক্তি পর পংক্তি স্বচ্ছন্দে পর পংক্তিতে স্বচ্ছন্দে প্রবাহিত হয়....
কলকাতা টিউনার:- আপনার হাতের লেখা দেখাবেন.....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- কেন নয়...এই তো আমার হাতের লেখা....নিচেই আছে...
আমার ইরাজী ও বাংলা হতের লেখা ...
আমার পাণ্ডুলিপিতে কারুকার্য আমার নিজের হাতে.....
কলকাতা টিউনার:- আপনার বিরোধী কবি কে কে?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- এই রকম সরাসরি প্রশ্ন করা ঠিক নয়....আমার ব্যক্তি গত বিরোধী কেউ নেই...তবে রাবীন্দ্রিক স্টাইলের বিরোধীতা করেছেন অনেকই..
এই বিরোধীতা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছে....তাঁরা নতুন ভাবনাকে জন্ম দিয়েছেন..তাই তাই তাদের সাধুবাদ জানাই...তাঁদের নাম হল..
মোহিত লাল মজুমদার,যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত,কাজী নজরুল ইসলাম....
কলকাতা টিউনার:- আপনি কি সবসময় লিখতেন?...আপনার লিখছেন এমন কোন ছবি দেখাবেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সব সময় কি লেখা যায় নাকি....আমি তো মানুষ..তবে একমাত্র ঘুমাবার সময় বাদে আমার মস্তিষ্ক সব সময় সৃষ্টি সুখে ব্যস্ত থাকতো..
আমার সেই সময় কার ছবি দেখুন আমি কেমন আমার টেবিলে লেখার সৃষ্টি সুখে ব্যস্ত হয়ে আছি....
এইছবিটিকে আধুনিক বিজ্ঞান কেমন ডিজিটাল করেছে দেখুন...
কলকাতা টিউনার:- আপনার কাব্য গ্রন্থ গুলিকে কতগুলি ভাগে ভাগ করেছেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সেগুলিকে আমি ভাগ করি নি....আমার গবেষকরা (রবীন্দ্র গবেষকরা)ভাগ করেছেন....
শৈশব পর্ব,ঊন্মেষ পর্ব,ঐশ্বর্য পর্ব,ভাবনা পর্ব,গীতাঞ্জলী পর্ব,বলাকা পর্ব,অন্তরাগ পর্ব,লঘু হাস্য রসাত্মক কাব্য এবং গোধূলি পর্ব.....
কলকাতা টিউনার:- আপনার বৃহত্তম ও শেষ প্রকাশিত কাব্য গ্রন্থ কোনটি?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'মহুয়া'(১৯২৯)হলো বৃহওম কাব্যগ্রন্থ....
জীবৎ কালে শেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'জন্মদিনে'(১৯৪১)....
মৃত্যুর পর শেষ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ 'ছড়া'(১৯৪৩)
কলকাতা টিউনার:- আপনার লেখা শেষ কবিতাটির নাম কি? দুই লাইন যদি বলেন......
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথমেই বলে রাখি রোগশয্যায় আমার লেখার ক্ষমতা ছিল না...তা বলে সৃষ্টি থেকে থাকবে....তা হয় না..
আমি মুখে বলি আর শিষ্যা রানী চন্দ্র লেখেন........
কবিতাটির নাম হল__ 'প্রথম দিনের সূর্য'
'তোমার সৃষ্টির পথ রেখেছ আর্কীণ করি
বিচিত্র ছলনার জালে হে ছলনা ময়ী'
কলকাতা টিউনার:- আপনার নিজের হাতে আঁকা কিছু ছবি দেখাবেন....তাহলে খুব ভাল লাগবে...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- কেন নয়....আমি চিত্রকরের ভূমিকায় ...আমার নিজের হাতে আঁকা কতগুলি ছবি দেখুন...
কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগলো...বিশ্বকবি...এবার আপনার প্রবন্ধের দিকে আসি.........আপনার প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম প্রবন্ধ গ্রন্থ হলো'পঞ্চভূত'(১৮৯৭)
কলকাতা টিউনার:- আপনার প্রথম প্রবন্ধ কোথায় প্রকাশ পায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- 'জ্ঞানাঙ্কুর' নামে মসিক পত্রিকায়...১৮৭৬ খ্রিষ্টাব্দে
কলকাতা টিউনার:-আপনার প্রবন্ধ গ্রন্থ গুলিকে কটি ভাগে ভাগ করা হয়? আপনার শেষ লিখিত প্রবন্ধ গ্রন্থ কোনটি..
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- সেগুলিকে ব্যক্তি গত এবং বস্তুগত এই দুই ভাগে ভাগ করা যায়....
আমার শেষ লিখিত প্রবন্ধ গ্রন্থ হল..'সভ্যতার সংকট'(১৯৪১)
কলকাতা টিউনার:- খুব ভাল লাগল ...এবার আপনার উপন্যাস এর সম্বন্ধে কিছু প্রশ্ন আছে....আপনার প্রথম উপন্যাস কোনটা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রথম অসমপূর্ণ উপন্যাস 'করুণা'(১৮৭৭-৭৮)
প্রথম সম্পূর্ণ উপন্যাস 'বউ ঠাকুরাণীর হাট'(১৮৭৩)
কলকাতা টিউনার:- আপনার উপন্যাস গুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রধানত চার ভাগে...১/ঐতিহাসিক উপন্যাস.২/দ্বন্দ্ব মূলক উপন্যাস...৩/বৃহত্তর সমস্যা মূলক উপন্যাস...৪/মিষ্টিক ও রোমান্টিক উপন্যাস
কলকাতা টিউনার:-বৃহওম,মহাকাব্যিক উপন্যাস কোনটা?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- গোরা (১৯১০)হল বৃহওম,মহাকাব্যিক উপন্যাস..
কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগছে আপনার সাথে কথা বলে...এবার আপনার নাটকের সম্বন্ধে..আপনার লেখা নাটক গুলিকে কয়টি ভাগে ভাগ করা যায়?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- প্রধানত সাত ভাগে...১/গীতি নাট্য,২/কাব্য নাট্য.৩/নিয়মানুগ নাটক,৪/তও্ব প্রধান নাটক,৫/রূপক সাংকেতিক নাটক, ৬/হাস্য রসাত্বক নাটক, ৭/নৃত্য নাটক
কলকাতা টিউনার:-আপনার একটা অটোগ্রাফ দিলে খুব ভালো লাগতো....বিশ্ব কবি দিন না.....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- ঠিক আছে....দিলাম...ইংলিশ ও বাংলায় অটোগ্রাফ দিলাম...
কলকাতা টিউনার:- খুব ভালো লাগল...আপনার সাথে আইন্টাইনের ও গান্ধিজীর দুর্লভ ছবি গুলি দেখাবেন....
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আইন্টাইনের সাথে আমি......১৯৩০সালে বিদেশ সফর কালে ছবি
মহাত্মা গান্ধীর সাথে আমি....
কলকাতা টিউনার:- আপনার এত লেখা যদি আমি পড়তে চাই তাহলে আমি কি করে পড়ব...যদি আপনি বলে দেন...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- এরও ব্যবস্থা আছে....এই খানে যান ..আর যত খুশি আমার লেখা বই পড়ুন...আমার অপ্রকাশিত লেখাও পাবেন এখানে..
কলকাতা টিউনার:- আপনি কি জানেন আপনার লেখা গান কটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত রূপে ব্যবহৃত হয়.......যদি জানেন একটু বিস্তারিত বলেন যদি..
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার লেখা গান ও সুর সরাসরি ভারতবর্ষ ও বাংলাদেশ ব্যবহার করে...
আর শ্রীলঙ্কা আমার লেখা গানের সিংহলি অনুবাদ ও আমার সুর ব্যবহার করে....
কলকাতা টিউনার:- একটু বিস্তারিত যদি বলেন..........তাহলে বুঝতে সুবিধা হয়...
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- তাই হোক........নিন্মে বর্ণনা করে দিলাম.........
ভারতের জাতীয় সঙ্গীত ...........
"জনগণমন-অধিনায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
পঞ্জাব সিন্ধু গুজরাট মরাঠা দ্রাবিড় উৎকল বঙ্গ
বিন্ধ্য হিমাচল যমুনা গঙ্গা উচ্ছলজলধিতরঙ্গ
তব শুভ নামে জাগে, তব শুভ আশিষ মাগে,
গাহে তব জয়গাথা।
জনগণমঙ্গলদায়ক জয় হে ভারতভাগ্যবিধাতা!
জয় হে, জয় হে, জয় হে, জয় জয় জয় জয় হে।।".....{ডাউনলোড..রবীন্দ্র কন্ঠে}
এই গানটি ...'গীতবিতানের' স্বদেশ পর্বের ১৪ তম গান....
এই গানটি 'সঞ্চয়িতা' কব্যসংকলনে 'ভারত বিধাতা' নামের কবিতায় সংকলিত...
এই গানটি প্রথম গাওয়া হয় ১৯১১ সালের ২৭ ডিসেম্বর...কলকাতায় জাতীয় কংগ্রেসের ২৬ তম অধিবেশনে....
'জনগণমন' এই গানটিকে জাতীয় সঙ্গীতের স্বীকৃতি দেবার প্রস্তাব প্রথম রাখেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু...
অবশেষে ১৯৫০ সালের ২৪শে জানুয়ারি এই গানটি ভারতের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়
********************
"আমার সোনার বাংলা
আমার সোনার বাংলা,
আমি তোমায় ভালবাসি।
চিরদিন তোমার আকাশ,
তোমার বাতাস
আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি।"............{ডাউনলোড ...ভিডিও ক্লিপ}
এই গানটি ১৯০৫ সালের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের পটভূমিতে রচিত...
এই গানটি ১৯০৫ সালের ৭ই আগষ্ট কলকাতার টাউন হলে প্রথম গাওয়া হয়....
১৯৭১ সালের ৩রা মার্চ এই গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়....
১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল স্বাধীন বাংলাদেশের সরকারের শপথ অনুষ্ঠানে এই গান প্রথম জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গাওয়া হয়...
************************
"আপা শ্রীলঙ্কা নম
নম নম মাতা
সুন্দর শ্রী বর্ণনী সুরনদি
অতি শুভ নামে লঙ্কা
ধন্য ধান্যে নেকে মাল
পালাথুরু পিরি জয় ভূমিয়ে"............{ডাউনলোড}
এখানে বলে রাখা দরকার..এই গানটি সিংহলি ভাষায়...অনুবাদক আনন্দ সমরকুন...ইনি আমার সিংহলি ছাত্র...
১৯৩৮ সালে ইনি আমাকে অনুরোধ করেন শ্রীলঙ্কার জন্য একটি জাতীয় সঙ্গীত রচনা করতে...আমি একটি গান লিখে দিই..সুর এখনো একই আছে...
গানটি ১৯৫৩ সালে শ্রীলঙ্কান গেজেটে জাতীয় সঙ্গীত হিসাবে গ্রহন করা হয়....
কলকাতা টিউনার:- খু্ব ভালো লাগল.......আচ্ছা আপনি সবথেকে বেশি কষ্ট কখন পান..........
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমার তৈরী সাধের শান্তিনিকেতে এখন আর শান্তি নেই....রাজনীতি এসে গেছে...
আমি বর্তমানে শিক্ষার সাথে রাজনীতিকে দেখে খুব কষ্ট পাই
কলকাতা টিউনার:- প্রতিটি মহান মানুষের মহা প্রস্থান বলে একটা দিন থাকে সেই দিনটি কি আপনি জানেন...কারণ কবিরা তো ক্রান্তাদর্শী
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- অবশ্যই, আমার ক্ষেত্রে সেই দিনটি হল....৭ই আগস্ট,১৯৪১সাল, বাংলায় ২২ শ্রাবণ, ১৩৪৮ বঙ্গাব্দ....সমস্ত বাঙালী বাংলা তারিখেই আমার মহাপ্রস্থান পালন করেন...
* * *এই জায়গাটিই হলো আমার স্মৃতি সৌধ.....মহাপ্রস্থানের পথ....নিমতলা মহা শ্মশানের নিমতলা ঘাট...উওর কলকাতা
কলকাতা টিউনার:-খুব ভালো লাগল.......কবি গুরু আপনার সাথে কথা বলে.......অনেক কিছু জানতে পারলাম...আপনার কোন ভিডিও ক্লিপ আপনি আমাকে দেখাবেন?
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- আমারও খুব ভাল লাগল....আমার ভিডিও ক্লিপ এখান থেকে ডাউনলোড করুন.....আমার সাথে নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুও আছেন..
কলকাতা টিউনার:-আমি আপনাকে শেষ প্রশ্ন করতে চাই....
"তুমি কি কেবল ই স্মৃতি, শুধু এক উপলক্ষ্য কবি?
হরেক উৎসবে হৈ হৈ
মঞ্চে মঞ্চে কেবলই ছবি
তুমি শুধু পঁচিশে বৈশাখ
আর বাইশে শ্রাবণ ?"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর:- না এই প্রশ্নের উওর আমি দেব না......আমি সমস্ত বাঙালীর কাছ থেকে এই উওর জানতে চাই.....
টা টা...তবে এবার আমি আমার গ্রহে যাই...
কলকাতা টিউনার:- আমি অমৃত্যু আপনার কথা স্মরণ করে চলব কথা দিলাম........
আমার গভীর ভালোবাসা,হৃদয়ের অন্তরস্থল থেকে উৎসর্গিকৃত করে দিলাম...আপনার প্রতি...
******************
******************
******************
"তুমি কি কেবলই ছবি, শুধু পটে লিখা।
ওই-যে সুদূর নীহারিকা
যারা করে আছে ভিড় আকাশের নীড়,
ওই যারা দিনরাত্রি
আলো হাতে চলিয়াছে আঁধারের যাত্রী গ্রহ তারা রবি,
তুমি কি তাদের মতো সত্য নও।
হায় ছবি, তুমি শুধু ছবি॥
নয়নসমুখে তুমি নাই,
নয়নের মাঝখানে নিয়েছ যে ঠাঁই-- আজি তাই
শ্যামলে শ্যামল তুমি, নীলিমায় নীল।
আমার নিখিল তোমাতে পেয়েছে তার অন্তরের মিল।
নাহি জানি, কেহ নাহি জানে--
তব সুর বাজে মোর গানে,
কবির অন্তরে তুমি কবি--
নও ছবি, নও ছবি, নও শুধু ছবি॥"............[ডাউনলোড_ হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের কন্ঠে]
Read more: http://techtunes.com.bd/reports/tune-id/67780/#ixzz1Lh4BWrgF
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্যে দিয়ে স্বাগত জানানো হয় বৈশাখকে। সেই ধারা আজও অব্যাহত আছে।
ReplyDelete